শিরোনাম
◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ উন্নয়ন সহযোগীদের একক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী ◈ ড. ইউনূসের পুরস্কার নিয়ে ভুলভ্রান্তি হতে পারে: আইনজীবী  ◈ ত্রিশালে বাসের ধাক্কায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসহ অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত

প্রকাশিত : ১০ জুলাই, ২০১৯, ০৭:২০ সকাল
আপডেট : ১০ জুলাই, ২০১৯, ০৭:২০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ধর্ষণ বাড়ছে, আরো বাড়বে!

ইসমাঈল হুসাইন ইমু : সমাজবিজ্ঞানী বার্কোভিচের ‘পর্যবেক্ষণ শিক্ষণ’ তত্ত্ব বিশ্লেষণ করুন। বিশ্লষণ করুন প্রফেসর ভ্লাদিমির ব্রাটিচের গবেষণা। মানুষ যা দেখে- সেটা তার আচরণে প্রভাব ফেলে। মার্কিন গবেষণায় এটা প্রমাণিত যে, পর্ণোগ্রাফিতে আসক্ত মানুষরা বিপরীত লিঙ্গের মানুষকে জৈবিক সম্পর্কের বাইরে ভাবতে পারে না। ওই আসক্তিতে মত্ত কোন ছেলের কাছে কেন প্রত্যাশা করি যে সে তার প্রেমিকাকে চন্ডিদাস, দেবদাস, মজনুর গভীর ও নিস্পাপ ভালোবাসার দৃষ্টিতে দেখবে! এযুগে কোন মেয়ে রজকিনী, পার্বতী, লাইলি এমনকি বনলতার মর্যাদাও পায় না। একই কথা প্রযোজ্য পর্ণো আসক্ত মেয়েদের বেলায়। এখন মানুষের নৈতিকতা নির্ধারণ করে দেয় বহুজাতিক কোম্পানি। কেউ আমাদেরকে পর্ণোগ্রাফিক নাশকতায় আসক্ত করে। ইন্টারনেট ভরে ফ্রি উপহার দেয় পর্ণোগ্রাফি। অনেক পন্ডিতের (প্রফেসর এমিরটাস রবার্ট রাইনার প্রমূখের) দৃষ্টিতে এটা সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক নাশকতা। সেই নাশকতার অংশ হিসেবেই কেউ কেউ টুথপেস্টের বিজ্ঞাপন দিতে গিয়ে বলে- কাছে এসো, কাছে এসা না। কেউ শিক্ষা দেয় চার-ছক্কার যুগে টেষ্ট ইনিংশের ভালোবাসা অচল। কেউ ওষুধের বিজ্ঞাপন দিয়ে বলে- ভালোবাসায় ভিজিয়ে দাও, ভিজিয়ে দাও না। সেই ভিজিয়ে দেয়ার শিক্ষাটা দেয়ার পর আমরা কেন শুকনো ভালোবাসা প্রত্যাশা করছি?

প্রাত্যহিক সবকিছুতেই জৈবিক চিন্তা জুড়ে দেয়া কি অতীব জরুরি? অবারিত পর্ণগ্রাফিক আসক্তির মুখে মানুষকে ঠেলে দিয়ে, তাদের মনন, চিন্তাশক্তিকে জৈবিক নেশার ঘোরে বিষাক্ত করছি। তারপর প্রত্যাশা করছি মানুষ সৎ হবে। অসৎ চিন্তায় হৃদয় মস্তিস্ক আচ্ছন্ন রেখে কতক্ষণ সৎ আচরণের অভিনয় করা যায়? কি দারুন আমাদের চাওয়া! পর্ণোগ্রাফি দেখা, উৎপাদন, বিপনন তো বাংলাদেশের আইনে অপরাধ। তাহলে বাংলাদেশের ইন্টারনেটে অবারিত এবং উন্মুক্ত পর্নোগ্রাফি কেন? সেটা কি বন্ধ করা যায় না? ও আচরণে সুড়সুড়ি দেয়া বিজ্ঞাপন কি বদলে দেয়া যায় না? খুব সহজেই সেটা সম্ভব। সাবমেরিন কেবলের গেটওয়েতে সেন্সরশিপ চালু হোক। । বন্ধ হোক নৈতিক অধপতনমূলক বিজ্ঞাপন।সেটা আজকেই নয় কেন?

লেখা‌টি এ‌ডিশনাল ডিআইজি নজরুল ইসলা‌মের ফেসবুক ওয়াল থে‌কে নেয়া।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়