শিরোনাম
◈ যুদ্ধ বন্ধের শর্তেই ইসরায়েলি জিম্মিদের ছাড়বে হামাস ◈ হরলিক্স আর স্বাস্থ্যকর পানীয় নয়  ◈ বাংলাদেশে চিকিৎসা সুবিধায় থাইল্যান্ডের বিনিয়োগ চান প্রধানমন্ত্রী ◈ থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে  প্রধানমন্ত্রীকে উষ্ণ আন্তরিক অভ্যর্থনা ◈ যে কোনো ভিসাধারী পবিত্র ওমরাহ পালন করতে পারবেন  ◈ পাটগ্রাম সীমান্তে বিএসএফে'র গুলিতে বাংলাদেশি নিহত ◈  কমবে তাপমাত্রা, মে মাসেই কালবৈশাখী ঝড় ও বৃষ্টির সম্ভাবনা ◈ বাংলাদেশ-চীন সামরিক মহড়া মে মাসে, নজর রাখবে ভারত ◈ দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যু: চুয়েটে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন স্থগিত, যান চলাচল শুরু ◈ বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক ভারত, চীন বা রাশিয়ার মাধ্যমে পরিচালিত নয়: মার্কিন কর্মকর্তা

প্রকাশিত : ০৭ জুলাই, ২০১৯, ০১:০৬ রাত
আপডেট : ০৭ জুলাই, ২০১৯, ০১:০৬ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

কেন্দ্রের আগেই ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সম্মেলন

সমীরণ রায় : গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণের কমিটিরও মেয়াদ শেষ হয়েছে ১০ এপ্রিল। ফলে নগর আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনের বিষয়টি সামনে উঠে এসেছে। যদিও আগামী অক্টোবরে আওয়ামী লীগের ২১তম কাউন্সিলের প্রস্তুতি নিচ্ছে দলটি। সঙ্গত কারণেই কেন্দ্রের আগেই ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সম্মেলনের চিন্তা করছে দলটির হাইকমান্ড। ইতোমধ্যে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনের প্রস্তুতি বিষয়ে দলটির সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আলোচনা করে খুব শিগগিরই দিনক্ষণ ঠিক করা হবে।

তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগের আগামী কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় বিষয়টি উত্থাপন করা হবে। ওই ফোরামে আলোচনার ভিত্তিতে দিনক্ষণ ঠিক করা হবে। তবে নগরের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন কেন্দ্রীয় কাউন্সিলের আগেই হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে পরেও হতে পারে।

ঢাকা মহানগর নেতারা জানান, তারা এখনও পর্যন্ত কেন্দ্র থেকে নগরের ত্রি-বার্ষিকী সম্মেলন বিষয়ে কোনো নির্দেশনা পাননি। তবে আমাদের সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে। শুধু সাংগঠনিক নেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাঁশি পেলেই ত্রি-বার্ষিকী সম্মেলনের দিনক্ষণ ঠিক করা হবে। আশা করছি আওয়ামী লীগের জাতীয় কাউন্সিলের আগেই নগরের সম্মেলন হতে পারে। তবে আগামী সেপ্টেম্বরেও ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন হতে পারে।

উল্লেখ্য, ২০১২ সালের সম্মেলনের সময় ঢাকা মহানগরকে উত্তর ও দক্ষিণ নামে দুই ভাগে ভাগ করা হয়। দীর্ঘদিন পর ২০১৬ সালের ১০ এপ্রিল ঢাকা মহানগর উত্তরে একেএম রহমতুল্লাহকে সভাপতি ও সাদেক খানকে সাধারণ সম্পাদক এবং দক্ষিণে আবুল হাসনাতকে সভাপতি ও শাহে আলম মুরাদকে সাধারণ সম্পাদক করে দুই অংশের কমিটি ঘোষণা করা হয়।
আওয়ামী লীগের এক সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সর্বশেষ গতিবিধির খোঁজ খবর রাখছেন দলীয় সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শুধু তাই নয়, ঢাকা মহানগর কমিটি ঘোষণা করা হলেও থানা ও ওয়ার্ডের কমিটি দিতে পারেনি নেতারা। ফলে নগরের নেতাদের ওপর নাখোশ রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। ফলে নতুন নেতৃত্ব তুলে আনার পক্ষে দলীয় সভাপতি।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কর্নেল (অব.) ফারুক খান বলেন, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সম্মেলন নিয়ে এখনই কিছু বলতে পারবো না। তবে আগামী দলের কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে এ বিষয়টি উত্থাপন করা হবে। দলীয় সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্মতির অপেক্ষায় রয়েছে।
ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ বলেন, নগরের সম্মেলন কবে নাগাদ হবে জানা নেই। তবে সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে। কেন্দ্র থেকে নির্দেশ পেলেই বাকি কাজ সেরে ফেলা হবে। তিনি বলেন, থানা ও ওয়ার্ডের কমিটিগুলোর মধ্যে কিছু ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। বাকিগুলো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে জমা দেওয়া রয়েছে। তিনি ঘোষণার নির্দেশ দিলেই প্রকাশ করা হবে।
ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হেদায়েতুল ইসলাম স্বপন বলেন, নগর আওয়ামী লীগের সম্মেলনের সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে। কেন্দ্র থেকে নির্দেশনা পেলেই দিনক্ষণ ঠিক করা হবে। ইতোমধ্যে আমরা ১২টি থানার পূর্ণাঙ্গ কমিটি দিয়েছি। বাকি ১২টির তালিকা কেন্দ্রে দেওয়া আছে। কেন্দ্র চাইলেই তা প্রকাশ করা হবে।

সম্পাদনা : মিঠুন রাকসাম

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়