শিরোনাম
◈ হাসিনা-পরবর্তী বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিভক্তি প্রকট ◈ দুই দানব ব্ল্যাক হোলের খোঁজ পেল বিজ্ঞানীরা, কী ঘটছে মহাবিশ্বে? (ভিডিও) ◈ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ২য় উচ্চতর গ্রেডে আইনি ছাড় ◈ বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা সুবিধা চালু করেছে মালয়েশিয়া ◈ শান্তির হ্যাটট্রিক, ভুটানকে সহ‌জেই হারা‌লো বাংলাদেশের মে‌য়েরা ◈ মেট্রো স্টেশনে বসছে এটিএম ও সিআরএম বুথ ◈ ১৬ই জুলাই রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা ◈ রহস্যময় নাকামোতো এখন বিশ্বের ১২তম ধনী, বিটকয়েন সম্পদ ১২৮ বিলিয়ন ডলার ◈ শাহবাগ মোড় অবরোধ করলো স্বেচ্ছাসেবক দল ◈ বিএসবির খায়রুল বাশারকে আদালত প্রাঙ্গণে ডিম নিক্ষেপ, কিল-ঘুষি

প্রকাশিত : ২৭ জুন, ২০১৯, ০৯:০৩ সকাল
আপডেট : ২৭ জুন, ২০১৯, ০৯:০৩ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

পিভিসি ফ্লেক্স ব্যানার আমদানিতে ট্যারিফ মূল্য বেড়েছে ৩৭ ভাগ, মূল্য দ্বিগুণ হওয়ায় অর্থপাচারের শঙ্কাও বাড়বে

নুর নাহার : প্রস্তাবিত বাজেটে ডিজিটাল ব্যানারের কাঁচামাল পিভিসি ফ্লেক্স ব্যানার আমদানিতে ট্যারিফ মূল্য বাড়ানো হয়েছে ৩৭ ভাগ। ইনডিপেনডেন্ট টিভি ১১:০০

ট্যারিফ মূল্য বৃদ্ধির এই হারকে অস্বাভাবিক বলছেন আমদানিকারকরা। তারা জানান, এর ফলে বন্ধ হয়ে যাবে বৈধ পথে আমদানি, বাড়বে অর্থপাচারের ঝুঁকি।

ডিজিটাল ব্যানারের কাঁচামাল পিভিসি ফ্লেক্স ব্যানার আসে চীন, ভারতসহ বিভিন্ন দেশ থেকে। আর্ন্তজাতিক বাজারে মানভেদে এর দাম কেজি প্রতি এক ডলার ১৫ থেকে ২০ সেন্ট।

২০১৬ সালে পিভিসি ফ্লেক্স ব্যানারের ট্যারিফ মূল্য এক ডলার ৬৫ সেন্ট নির্ধারণ করে সরকার। এই মূল্যের উপর ৯৩ শতাংশ কর দিয়ে তা আমদানি করতে হয়। ফলে এক বর্গফুটের দাম পড়ে প্রায় সোয়া পাঁচ টাকা। এবারের প্রস্তাবিত বাজেটে ৬০ সেন্ট বাড়িয়ে এই ব্যানারের ট্যারিফ মূল্য ঠিক করা হয়েছে সোয়া দুই ডলার। ফলে এক বর্গফুট ব্যানার আমদানি করতে খরচ পড়বে ছয় টাকা ত্রিশ পয়সা।

এক বিক্রোতা বলেন, এ বছর এক ডলার ৬৫ সেন্টকে দুই ডলার ২৫ সেন্ট করা হয়েছে। যেটা পারচেজ ভ্যালুর দ্বিগুন। যার কারণে কর অনেক বেশি বেড়ে যাচ্ছে।

পিভিসি ফ্লেক্স ব্যানার আমদানিকারক সমিতির নেতাদের অভিযোগ, কর ফাঁকি দিয়ে অনেক ব্যবসায়ী এ পণ্য আমদানি করেছেন। আরেক দফা শুল্ক বাড়ানো হলে তাদের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় টিকতে পারবেন না ভাল ব্যবসায়ীরা। এতে বন্ধ হয়ে যাবে অর্ধশত প্রতিষ্ঠান। বেকার হবেন অনেক কর্মী।

সাইন ম্যাটেরিয়ালস আমদানিকারক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল হক বলেন, আমাদের ব্যবসায়ীরা চিন্তা করবে কিভাবে বন্ডের অপব্যবহার করে এই পণ্য আমদানি করা যায়। সেক্ষেত্রে আমরা যারা প্রকৃত ব্যবসায়ী তারা ছিটকে পড়বো।

নেতারা জানান, ট্যারিফ মূল্য দ্বিগুণ হওয়ায় অর্থপাচারের শঙ্কাও বাড়বে।

সাইন ম্যাটেরিয়ালস আমদানিকারক সমিতির সভাপতি হোসাইন মোহাম্মদ ইমরান বলেন, কিছু ব্যবসায়ী আছে যারা বিদেশি টাকা পাচার করতে চায় তারা এই সুযোগে বিপুল পরিমাণ টাকা পাচার করবে।

সমিতির নেতারা জানান, এ পণ্য আমদানিতে বছরে প্রায় একশ কোটি টাকা রাজস্ব পায় এনবিআর। বৈধপথে আমদানি বন্ধ হলে বড় অংকের রাজস্ব হারাবে সরকার। সম্পাদনা : রেজাউল আহ্সান

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়