শিরোনাম
◈ মির্জা ফখরুলের কণ্ঠ নকল করে অসত্য ভিডিও প্রচার: বিএনপির বিবৃতি ◈ বাহরাইনে একাধিক দ্বিপাক্ষিক বৈঠক: কাতারের ভিসা পুনরায় চালুর অনুরোধ পররাষ্ট্র উপদেষ্টার ◈ পুঁজিবাজারে মূলধন কমেছে ১১ হাজার ১০ কোটি টাকা ◈ জাতীয় নির্বাচনে মাঠে থাকবে সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর ৯৪ হাজার সদস্য ◈ জাকির নায়েকের সফর প্রসঙ্গে দিল্লির মন্তব্যের জবাব দিল ঢাকা ◈ নভেম্বরে ছুটি নেই সরকারি চাকরিজীবীদের, ডিসেম্বরে মিলবে টানা অবকাশ ◈ ২০২৬ সালে রোজা শুরু কবে? ◈ রেস্তোরা থেকে খামার, সবখানে অভিযান! অবৈধ অভিবাসীদের বের করে দিচ্ছে কানাডা (ভিডিও) ◈ সকল রাজনৈতিক দল ও পক্ষের মধ্যে একতা থাকতে হবে, যত প্রতিকূলতাই আসুক না কেন ঐক্য ধরে রাখতে হবে : প্রধান উপদেষ্টা  ◈ দেশের বাজারে আবার বাড়ল স্বর্ণের দাম!

প্রকাশিত : ২৭ জুন, ২০১৯, ০৫:৫১ সকাল
আপডেট : ২৭ জুন, ২০১৯, ০৫:৫১ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

রণদা প্রসাদ হত্যা মামলায় আসামি মাহবুবুর রহমানের মৃত্যুদণ্ড

এস এম নুর মোহাম্মদ ও মহসীন কবির: একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে রণদা প্রসাদ সাহা এবং তার ছেলে ভবানী প্রসাদ সাহাসহ ৭ জনকে হত্যার ঘটনায় আসামি মাহবুবুর রহমানকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যেরএ রায় পড়া শুরু করেন। ট্রাইব্যুনালে রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন প্রসিকিউটর রানা দাশগুপ্ত। অন্যদিকে আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী গাজী এমএইচ তামিম।

ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশনের তথ্য অনুযায়ী, মুক্তিযুদ্ধের সময় গঠিত মির্জাপুর শান্তি কমিটির সভাপতি বৈরাটিয়া পাড়ার আব্দুল ওয়াদুদের ছেলে আসামি মাহবুবুর রহমান। সে সময় মাহবুব ও তার ভাই আব্দুল মান্নান রাজাকার বাহিনীতে ছিলেন।

তদন্ত সংস্থার তথ্য অনুসারে, ১৯৭১ সালে ৭ মে আসামি মাহবুব অন্যদের সহায়তা ও পাকিস্তানি বাহিনীর সদস্যদের নিয়ে নারায়ণগঞ্জের খানপুর এলাকার সিরাজউদ্দৌলা রোডে যায়। সেখানে বাড়ি থেকে রণদা প্রসাদ সাহা ও তার ছেলে ভবানী প্রসাদ সাহাকে ধরে নিয়ে যায়।

সেই সঙ্গে রণদা প্রসাদের ঘনিষ্ঠ সহচর গৌর গোপাল সাহা, রাখাল মতলব ও রণদা প্রসাদ সাহার দারোয়ানকে তুলে নেয়। এরপর তাদের হত্যা করে লাশ শীতলক্ষ্যা নদীতে ফেলে দেওয়া হয়। পরে তাদের লাশ আর পাওয়া যায়নি।

তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, মুক্তিযুদ্ধের সময় মির্জাপুরের ভারতেশ্বরী হোমসের আশপাশের এলাকা, নারায়ণগঞ্জের খানপুরের কুমুদিনী ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট ও তার আশপাশের এলাকা এবং টাঙ্গাইল সার্কিট হাউজ এলাকায় অপরাধ সংঘটন করেন আসামি মাহবুব।

চূড়ান্ত তদন্ত প্রতিবেদনে মাহবুবুর রহমানের বিরুদ্ধে ১৯৭১ সালে রণদা প্রসাদ সাহা হত্যাসহ অপহরণ, অগ্নিসংযোগ ও গণহত্যার তিনটি অভিযোগ আনা হয়।

২০১৬ সালের ১৮ এপ্রিল মামলাটির তদন্ত শুরু হলে ট্রাইব্যুনাল থেকে মাহবুবের বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি হয়। ওই বছরের নভেম্বরে গ্রেফতার করা হয় তাকে। তখন থেকে তিনি গাজীপুরের কাশিমপুরের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি রয়েছেন।

রণদা প্রসাদ সাহা সমাজসেবক ছিলেন। তিনি কুমুদিনী ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের প্রতিষ্ঠাতা। তার পৈত্রিক নিবাস ছিল টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে। সেখানে তিনি একাধিক শিক্ষা ও দাতব্য প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়