শিরোনাম
◈ এসএমই মেলা-২০২৪ উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী ◈ ১১ বছর পর পঞ্চমবার এভারেস্ট জয় করলেন বাংলাদেশের বাবর আলী ◈ গাজায় ইসরায়েলি বর্বর হামলায় ফের বাস্তুচ্যূত ৯ লাখ ফিলিস্তিনি ◈ আরাকান আর্মির শহর দখল, বাড়িঘর জ্বালিয়ে ফের রোহিঙ্গাদের বিতাড়ন ◈ জাবালিয়া শরণার্থী শিবির গুঁড়িয়ে দিচ্ছে ইসরায়েল, ২৪ ঘন্টায় নিহত ৮৩ ◈ সারাদেশে ঝড় ও বজ্রবৃষ্টির শঙ্কা ◈ স্কুলের টয়লেটে আটকা শিশু, ৬ ঘণ্টা পর বের হতে সক্ষম  ◈ পাসপোর্ট অফিসে ভোগান্তি কিছুটা কমেছে, জনবল বাড়ানোর তাগিদ  ◈ কিরগিজস্তানের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে, বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের ঘরে থাকার পরামর্শ দূতাবাসের ◈ সংসদ ভবন এলাকায় দুই প‌ক্ষে‌র সংঘর্ষে শিক্ষার্থী নিহত

প্রকাশিত : ১৯ জুন, ২০১৯, ০৮:২২ সকাল
আপডেট : ১৯ জুন, ২০১৯, ০৮:২২ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

তুরস্কে মুরসির গায়েবানা জানাজায় হাজারো মানুষের প্রার্থনা

ডেস্ক রিপোর্ট : মিসরে প্রথমবারের মতো গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসির মৃত্যুতে শোকাহত মুসলিম বিশ্বের নেতারা। যুগান্তর

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান ও মুসলিম ব্রাদারহুড তাকে শহীদ আখ্যা দিয়ে তার রুহের মাগফিরতা কামনা করেছেন।

এদিকে গতকাল মঙ্গলবার তুরস্কের প্রায় সব মসজিদেই অনুষ্ঠিত হয়েছে মুরসির গায়েবানা জানাজা। দেশটির ৮১টি প্রদেশে এই জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। সেসব জানাজায় অংশগ্রহণ করতে লাখো লাখো মানুষের ঢল নামে। খবর ইয়েনি শাফাকের।

ইস্তাম্বুলের ফাতিহ মসজিদে অনুষ্ঠিত জানাজায় হাজার হাজার মুসল্লির সঙ্গে মুরসির একনিষ্ঠ সমর্থক তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগানও অংশগ্রহণ করেছেন।

এসময় এরদোগান মুরসির মৃত্যুর জন্য মিশরের অত্যাচারী শাসক আব্দেল ফাত্তাহ আল সিসিকে দায়ী করেন। তিনি মুরসিকে ‘শহীদ’ বলে উল্লেখ করেন।

এছাড়াও মুরসিকে তাড়াহুড়ো করে এবং গোপনীয়তার সঙ্গে কবর দেয়ার জন্য তিনি মিশরের কর্তৃত্ববাদী শাসকের ব্যাপক সমালোচনা করেন।

এরদোগান বলেন, ‘তারা এতোই কাপুরুষ যে তারা মুরসির মরদেহও তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেনি।’

মুরসির বিষয়ে পশ্চিমা নেতাদের নীরবতার কঠোর নিন্দাও করেন এরদোগান। পশ্চিমাদের সমালোচনা করে ক্ষোভ প্রকাশ করে এরদোগান বলেন, ‘আমি পশ্চিমা দুনিয়া এবং মানবতার নিন্দা জানাচ্ছি। অভ্যুত্থানের মাধ্যমে তার ক্ষমতাচ্যুতি এবং কারাগারে তার অত্যাচার তারা কেবলই দেখে গেছে।’

প্রসঙ্গত, সোমবার মিসরের একটি আদালতের এজলাসেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন দেশটিতে প্রথমবারের গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মুরসি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৭ বছর।

এরপর কায়রোয় মুরসির পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে তাকে কবর দেয়া হয়। এসময় মিশরের সাধারণ জনগণকে সেখানে উপস্থিত হয়ে তাকে সম্মান জানাতে দেয়া হয়নি।

মিসরের স্বৈরশাসক হোসনি মোবারকের পতন ঘটিয়ে ক্ষমতায় আসেন মুরসি। টানা ১৮ দিনের গণআন্দোলনে মোবারকের ৩০ বছরের শাসনের অবসান ঘটে। মোহাম্মদ মুরসি মুসলিমপন্থী দল মুসলিম ব্রাদারহুডের ওপরের সারির নেতা ছিলেন।

তিনি ২০১২ সালে জনগণের ভোটের মধ্য দিয়ে মিসরের প্রথম গণতান্ত্রিক প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পান। তবে ক্ষমতার এক বছরের মাথায় ২০১৩ সালে তার বিরুদ্ধে গণবিক্ষোভ শুরু হয়। এই বিক্ষোভের সুযোগ নিয়ে মিসরের সেনাবাহিনী মুরসিকে ক্ষমতাচ্যুত করে। পরে প্রেসিডেন্টের মসনদে বসেন মুরসির হাতে সেনাপ্রধান হওয়া আবদেল ফাত্তাহ আল সিসি।

মিসরের আদালত মুরসিকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়