আসাদুজ্জামান সম্রাট : আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক ও সেতুমন্ত্রী অসুস্থ ওবায়দুল কাদেরের চলাচলের সুবিধার্থে তার সংসদ ভবনস্থ সরকারি বাসভবনে লিফট লাগানো হচ্ছে। মঙ্গলবার গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম লিফট লাগানোর কাজ পরিদর্শন করেছেন।
সরকারের মন্ত্রী হলেও মন্ত্রিপাড়ার বাসভবনে ওঠেননি ওবায়দুল কাদের। তিনি সংসদ ভবনের পশ্চিমপাশের এ/২ বাংলোতে উঠেছেন। এগুলো সাধারণত: জাতীয় সংসদের হুইপদের বরাদ্দ দেয়া হয়। সড়ক ও সেতুমন্ত্রীর পছন্দের কারণেই সংসদ এলাকার বাংলোটি তার নামে বরাদ্দ করা হয়। লুই আই কানের নকশায় নির্মিত দ্বিতল এই বাংলোতে লিফট লাগানোর কোনো ব্যবস্থা নেই।
সম্প্রতি অসুস্থ হয়ে দীর্ঘদিন সিঙ্গাপুরে চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরেছেন ওবায়দুল কাদের। কিন্তু বাসার সিড়ি ভেঙে দোতলায় ওঠা তার জন্য কষ্টকর। এ ব্যাপারে চিকিৎসকদের নিষেধাজ্ঞা থাকায় গত বৃহস্পতিবার ওবায়দুল কাদেরের বাসভবনে লিফট লাগাতে গণপূর্ত অধিদপ্তরকে নির্দেশ দেয়া হয়।
ভবনের মূল পরিকল্পনায় লিফট লাগানোর ব্যবস্থা না থাকায় গণপূর্ত অধিদপ্তর ভবনের পেছনের অংশে আলাদা শেফট নির্মাণ করে তাতে লিফট প্রতিস্থাপনের সিদ্ধান্ত নেয়।
গণপূর্ত অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. আবুল কালাম জানান, ‘সাধারণত: লিফট ‘রেডিমেড’ পাওয়া যায় না। আমরা অনেক খোঁজাখুঁজি করে একটি লিফট পেয়েছি। টু স্টেপের এই লিফট লাগানোর কাজ ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে। আশা করছি, জুলাইয়ের দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যে লিফট চালু করা সম্ভব হবে।’
মঙ্গলবার একনেকের বৈঠক শেষে গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম সংসদ ভবনস্থ ওবায়দুল কাদেরের বাসায় লিফট স্থাপনের কাজের অগ্রগতি পরিদর্শনে যান। তিনি দ্রুততম সময়ের মধ্যে লিফট স্থাপনের কাজ শেষ করতে গণপূর্তের প্রকৌশলীদের নির্দেশ দেন।
গণপূর্ত অধিপ্তরের সার্কেল-৩ এর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. রোকন উদ্দিন জানান, ভবনটির মূল নকশায় লিফট লাগানোর ব্যবস্থা না থাকায় আলাদা ‘শেফট’ নির্মাণ করতে হচ্ছে। না হলে খুব অল্প সময়ের মধ্যে লিফট স্থাপন সম্ভব হতো।
সম্পাদনা: অশোকেশ রায়
আপনার মতামত লিখুন :