শিরোনাম
◈ হাসিনা-পরবর্তী বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিভক্তি প্রকট ◈ দুই দানব ব্ল্যাক হোলের খোঁজ পেল বিজ্ঞানীরা, কী ঘটছে মহাবিশ্বে? (ভিডিও) ◈ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ২য় উচ্চতর গ্রেডে আইনি ছাড় ◈ বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা সুবিধা চালু করেছে মালয়েশিয়া ◈ শান্তির হ্যাটট্রিক, ভুটানকে সহ‌জেই হারা‌লো বাংলাদেশের মে‌য়েরা ◈ মেট্রো স্টেশনে বসছে এটিএম ও সিআরএম বুথ ◈ ১৬ই জুলাই রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা ◈ রহস্যময় নাকামোতো এখন বিশ্বের ১২তম ধনী, বিটকয়েন সম্পদ ১২৮ বিলিয়ন ডলার ◈ শাহবাগ মোড় অবরোধ করলো স্বেচ্ছাসেবক দল ◈ বিএসবির খায়রুল বাশারকে আদালত প্রাঙ্গণে ডিম নিক্ষেপ, কিল-ঘুষি

প্রকাশিত : ১৯ জুন, ২০১৯, ১২:৩৯ দুপুর
আপডেট : ১৯ জুন, ২০১৯, ১২:৩৯ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

সব বিমানবন্দরে ডগ স্কোয়াড গঠনের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

আবুল বাশার নূরু: সব বিমানবন্দরে অধিকতর নিরাপত্তায় ডগ স্কোয়াড গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় ‘আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরগুলোর নিরাপত্তা ব্যবস্থার উন্নয়ন’ প্রকল্প অনুমোদনের সময় এ নির্দেশনা দেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, কুকুরের ঘ্রাণশক্তি অত্যন্ত প্রখর। পৃথিবীর অনেক দেশের বিমানবন্দরেই ডগ স্কোয়াড থাকে। বাংলাদেশের বিমানবন্দরগুলোর নিরাপত্তায়ও ডগ স্কোয়াড গঠন করতে হবে।

সভায় জানানো হয়, বাংলাদেশে তিনটি আন্তর্জাতিক ও ছয়টি অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দর রয়েছে। দেশের স্থিতিশীল অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বিমানবন্দরগুলোর ব্যস্ততাও দিন দিন বাড়ছে। নতুন প্রকল্পের আওতায় এসব বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করা হবে। কমিউনিকেশন ও নেভিগেশন সার্ভেইল্যান্স (সিএনএস) ব্যবস্থা উড়োজাহাজ পরিচালনা ও এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ কাজে বাংলাদেশে ব্যবহৃত যন্ত্রাংশগুলোর বেশিরভাগই পুরনো, অনেক সময় এসব ঠিকঠাক কাজ করে না। গৃহীত প্রকল্পের আওতায় এ কাজের জন্য নতুন যন্ত্রপাতি কেনা হবে।

‘আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরগুলোর নিরাপত্তা ব্যবস্থার উন্নয়ন’ প্রকল্পে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৫৯ কোটি ৬২ লাখ টাকা। এ অর্থ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, যশোর বিমানবন্দর, সৈয়দপুর বিমানবন্দর ও সিভিল এভিয়েশন ট্রেনিং সেন্টারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজে ব্যয় করা হবে।

একনেক সভায় জানানো হয়, আকাশপথে নিরাপদ ও নির্বিঘ্নে বিমান চলাচলের লক্ষ্যে দেশের দক্ষিণ-পূর্ব ফ্লাইট ইনফরমেশন রিজিওন (এফআইআর) কাভারের সার্ভেইল্যান্স গভীর সমুদ্র পর্যন্ত বিস্তৃত করতে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরকে প্রকল্প এলাকা হিসেবে নির্বাচিত করা হয়েছে। যশোর ও সৈয়দপুরে দুটি কনভেনশনাল ভেরি হাই ফ্রিকোয়েন্সি ও মনিডিরেকশনাল রেঞ্জ (সিভিওআর) রয়েছে, যা ২৫ বছরের পুরনো। এখানে ডপলার ভেরি হাই ফ্রিকোয়েন্সি ওমনিডিরেকশনাল রেডিও রেঞ্জ (ডিভিওআর) প্রতিস্থাপন ও ডিসট্যান্স মেজারিং ইক্যুইপমেন্ট (ডিএমই) স্থাপন করা হবে। এছাড়া, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল (এটিসি) প্রতিস্থাপন করা হবে।

শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রাইমারি সার্ভেইল্যান্স রাডার (পিএসআর) ও সেকেন্ডারি সার্ভেইল্যান্স রাডার (এসএসআর) নেই। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের এসএসআর ৩০ বছরের পুরনো। এ যন্ত্রটি দিয়েই বাংলাদেশের সব এফআইআর কাভার করা হচ্ছে। তাই, যত দ্রুত সম্ভব, এসব বিমানবন্দরে এএসআর ও পিএসআর প্রতিস্থাপন করা প্রয়োজন। এছাড়া, যশোর ও সৈয়দপুরে সিভিওআর ও ডিভিওআর ২৫ বছরের পুরনো। এগুলোও প্রতিস্থাপন করা জরুরি।

গৃহীত প্রকল্পের আওতায় এসব যন্ত্রপাতি প্রতিস্থাপন করে বাংলাদেশের বিমানবন্দরগুলোতে নিরাপদ উড়োজাহাজ পরিচালনার ব্যবস্থা করা হবে বলেও সভায় জানানো হয়।

সম্পাদনা: অশোকেশ রায়

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়