শিরোনাম
◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ উন্নয়ন সহযোগীদের একক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী ◈ ড. ইউনূসের পুরস্কার নিয়ে ভুলভ্রান্তি হতে পারে: আইনজীবী  ◈ ত্রিশালে বাসের ধাক্কায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসহ অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত

প্রকাশিত : ১৯ জুন, ২০১৯, ১২:৩৯ দুপুর
আপডেট : ১৯ জুন, ২০১৯, ১২:৩৯ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

সব বিমানবন্দরে ডগ স্কোয়াড গঠনের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

আবুল বাশার নূরু: সব বিমানবন্দরে অধিকতর নিরাপত্তায় ডগ স্কোয়াড গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় ‘আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরগুলোর নিরাপত্তা ব্যবস্থার উন্নয়ন’ প্রকল্প অনুমোদনের সময় এ নির্দেশনা দেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, কুকুরের ঘ্রাণশক্তি অত্যন্ত প্রখর। পৃথিবীর অনেক দেশের বিমানবন্দরেই ডগ স্কোয়াড থাকে। বাংলাদেশের বিমানবন্দরগুলোর নিরাপত্তায়ও ডগ স্কোয়াড গঠন করতে হবে।

সভায় জানানো হয়, বাংলাদেশে তিনটি আন্তর্জাতিক ও ছয়টি অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দর রয়েছে। দেশের স্থিতিশীল অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বিমানবন্দরগুলোর ব্যস্ততাও দিন দিন বাড়ছে। নতুন প্রকল্পের আওতায় এসব বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করা হবে। কমিউনিকেশন ও নেভিগেশন সার্ভেইল্যান্স (সিএনএস) ব্যবস্থা উড়োজাহাজ পরিচালনা ও এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ কাজে বাংলাদেশে ব্যবহৃত যন্ত্রাংশগুলোর বেশিরভাগই পুরনো, অনেক সময় এসব ঠিকঠাক কাজ করে না। গৃহীত প্রকল্পের আওতায় এ কাজের জন্য নতুন যন্ত্রপাতি কেনা হবে।

‘আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরগুলোর নিরাপত্তা ব্যবস্থার উন্নয়ন’ প্রকল্পে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৫৯ কোটি ৬২ লাখ টাকা। এ অর্থ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, যশোর বিমানবন্দর, সৈয়দপুর বিমানবন্দর ও সিভিল এভিয়েশন ট্রেনিং সেন্টারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজে ব্যয় করা হবে।

একনেক সভায় জানানো হয়, আকাশপথে নিরাপদ ও নির্বিঘ্নে বিমান চলাচলের লক্ষ্যে দেশের দক্ষিণ-পূর্ব ফ্লাইট ইনফরমেশন রিজিওন (এফআইআর) কাভারের সার্ভেইল্যান্স গভীর সমুদ্র পর্যন্ত বিস্তৃত করতে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরকে প্রকল্প এলাকা হিসেবে নির্বাচিত করা হয়েছে। যশোর ও সৈয়দপুরে দুটি কনভেনশনাল ভেরি হাই ফ্রিকোয়েন্সি ও মনিডিরেকশনাল রেঞ্জ (সিভিওআর) রয়েছে, যা ২৫ বছরের পুরনো। এখানে ডপলার ভেরি হাই ফ্রিকোয়েন্সি ওমনিডিরেকশনাল রেডিও রেঞ্জ (ডিভিওআর) প্রতিস্থাপন ও ডিসট্যান্স মেজারিং ইক্যুইপমেন্ট (ডিএমই) স্থাপন করা হবে। এছাড়া, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল (এটিসি) প্রতিস্থাপন করা হবে।

শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রাইমারি সার্ভেইল্যান্স রাডার (পিএসআর) ও সেকেন্ডারি সার্ভেইল্যান্স রাডার (এসএসআর) নেই। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের এসএসআর ৩০ বছরের পুরনো। এ যন্ত্রটি দিয়েই বাংলাদেশের সব এফআইআর কাভার করা হচ্ছে। তাই, যত দ্রুত সম্ভব, এসব বিমানবন্দরে এএসআর ও পিএসআর প্রতিস্থাপন করা প্রয়োজন। এছাড়া, যশোর ও সৈয়দপুরে সিভিওআর ও ডিভিওআর ২৫ বছরের পুরনো। এগুলোও প্রতিস্থাপন করা জরুরি।

গৃহীত প্রকল্পের আওতায় এসব যন্ত্রপাতি প্রতিস্থাপন করে বাংলাদেশের বিমানবন্দরগুলোতে নিরাপদ উড়োজাহাজ পরিচালনার ব্যবস্থা করা হবে বলেও সভায় জানানো হয়।

সম্পাদনা: অশোকেশ রায়

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়