শিরোনাম
◈ সরকারি দপ্তরগুলোতে গাড়ি কেনা ও বিদেশ সফরে কড়াকড়ি: কৃচ্ছ্রনীতির অংশ হিসেবে অর্থ মন্ত্রণালয়ের নতুন নির্দেশনা ◈ ২১ বছর বয়স হলেই স্টার্ট-আপ লোনের সুযোগ, সুদ মাত্র ৪%: বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন নির্দেশনা ◈ ঢাকায় একটি চায়না টাউন প্রতিষ্ঠা করা যেতে পারে: আশিক চৌধুরী ◈ তিন বোর্ডে বৃহস্পতিবারের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা স্থগিত ◈ এসএসসির ফল নিয়ে যে বার্তা দিলেন শিক্ষা উপদেষ্টা ◈ সৈক‌তের কা‌ছে দু:খ প্রকাশ ক‌রে‌ছেন ‌বি‌সি‌বির প্রধান নির্বাচক  ◈ ভারত সরকারকে আম উপহার পাঠাল বাংলাদেশ ◈ পুলিশের ঊর্ধ্বতন ১৬ কর্মকর্তা বদলি ◈ কল রেকর্ড ট্রেলার মাত্র, অনেক কিছু এখনো বাকি, অপেক্ষায় থাকুন: তাজুল ইসলাম ◈ জাতীয় নির্বাচনের সব প্রস্তুতি ডিসেম্বরের মধ্যে সম্পন্ন করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা : প্রেস সচিব

প্রকাশিত : ১৮ জুন, ২০১৯, ১২:০৭ দুপুর
আপডেট : ১৮ জুন, ২০১৯, ১২:০৭ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

এক কোটি ডিজেল ব্যবহারকারী কৃষক ভর্তুকি সুবিধা বঞ্চিত হবেন

তানজিনা তানিন : সেচ কাজে বিদ্যুৎ ও ডিজেল ব্যবহারকারীদের মধ্যে শুধু বিদ্যুৎ ব্যবহারকারী কৃষকদের ভর্তুকি অব্যাহত রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে আগামী অর্থবছরের বাজেটে। ২০ শতাংশ ভর্তুকি সুবিধা ভোগ করবেন বড় কৃষকরা। সেচ কাজে ডিজেল ব্যবহারকারী ক্ষুদ্র কৃষকরা বঞ্চিত হচ্ছেন এ সুবিধা থেকে। বাজেটে ডিজেল ব্যবহারে ভর্তুকির প্রস্তাব করা হয়নি। এতে ফসলের উৎপাদন ব্যয়ে বড় ধরনের পার্থক্য তৈরি হবে বলে আশংকা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

দেশে ধান উৎপাদনের সবচেয়ে বড় মৌসুম বোরো আবাদে সেচ পাম্পের প্রায় ৭০ ভাগই ডিজেলে চলে। বোরো থেকে দেশের মোট চাহিদার চাল আসে ৬০ শতাংশ। বাকি ৪০ শতাংশ উৎপাদন হয় আমন ও আউশ থেকে। আউশ ও আমনের বৃষ্টির পানিতে সেচ কাজ চললেও বোরো ধান উৎপাদন করতে হয় সেচের পানির মাধ্যমে। বোরো ধান উৎপাদনের মোট খরচের ৬০ শতাংশ ব্যয় হয় সেচ কাজে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, এক কোটি ২০ হাজার মাঝারি ও বড় কৃষক বোরো ধান উৎপাদনের সেচ কাজে বিদ্যুৎ ব্যবহার করেন। অন্যদিকে, প্রায় এক কোটি ক্ষুদ্র প্রান্তিক কৃষক সেচ কাজে ডিজেল ব্যবহার করে ফসল উৎপাদন করেন। বর্তমানে দেশে কৃষি উপকরণ সহায়তাপ্রাপ্ত কার্ডধারীর সংখ্যা ২ কোটি ৮ লাখ ১৩ হাজার ৪৭৭ জন। এখনও কৃষি কার্ডের বাইরে রয়েছেন বহু কৃষক।

বোরো ধানের উৎপাদন খরচ কমাতে কৃষকরা ডিজেল ব্যবহারের ওপর ভর্তুকির দাবি জানিয়ে আসছেন। এবার আবার ভর্তুকি দেয়া হতে পারে বলে অনেকে আশা করেছিলেন। তবে তা হয়নি। বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে বাজেট উপস্থাপনায় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, কৃষি ক্ষেত্রে বিদ্যুৎচালিত সেচযন্ত্র ব্যবহারে ২০ শতাংশ রিবেট প্রদান অব্যাহত থাকবে। তিনি কৃষি ক্ষেত্রে নানা প্রণোদনা, উদ্যোগ ও ভর্তুকির কথা বললেও ডিজেলে ভর্তুকির বিষয়ে কিছু বলেননি।

বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন-বিএডিসির হিসাবে বর্তমানে দেশে কৃষিকাজে পাম্প ব্যবহার করা হয় ১৩ লাখ ৭৯ হাজার। এর মধ্যে ডিজেলচালিত ১১ লাখ ৯২ হাজার। বিদ্যুতে চলে প্রায় ১ লাখ ৮৬ হাজার। অগভীর নলকূপ বিদ্যুতে চলে ১ লাখ ৫০ হাজার। ডিজেলে চলে ১০ লাখ ৭০ হাজার। গভীর নলকূপের মধ্যে ১২ হাজার ডিজেলে এবং  ২৬ হাজার বিদ্যুতে চলে।

কৃষি মন্ত্রণালয়ের হিসাবে বোরো মৌসুমে দেশে প্রায় ১৬ লাখ টন ডিজেলের ব্যবহার হয়। জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত সেচের জন্য ডিজেলের প্রয়োজন হয় বেশি। সেচ কাজে ৬৫ টাকা লিটার দরে ডিজেল কিনতে হয় কৃষককে। ডিজেলের এই দাম ব্যক্তি ও শিল্প প্রতিষ্ঠানের জন্য সমান। ডিজেল বাবদ খরচ হয় প্রায় ৩ হাজার ২৮৪ কোটি টাকা। ডিজেলচালিত সেচযন্ত্র বিদ্যুৎ দিয়ে চালানো হলে খরচ হতো ১ হাজার ৯১ কোটি টাকা। ডিজেলচালিত সেচযন্ত্রের খরচ বিদ্যুৎচালিত সেচযন্ত্রের প্রায় তিনগুণ।

বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) সাবেক গবেষণা পরিচালক এম আসাদুজ্জামান বলেন, কৃষকের প্রতি সংবেদনশীলতা দেখাতে হলে সেচ কাজে ভর্তুকিসহ নানা প্রণোদনা দিতে হবে। সার-বীজের দাম কৃষকের নাগালের মধ্যে রাখতে হবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়