শিরোনাম
◈ আমদানি-রপ্তানিতে এনবিআরের নতুন নিয়ম: বাধ্যতামূলক অনলাইন সিএলপি দাখিল ◈ জুলাই স্মরণে শহীদ মিনারে ছাত্রদলের মোমবাতি প্রজ্বলন (ভিডিও) ◈ জুলাই বিদ্রোহ: কোটা সংস্কার থেকে গণঅভ্যুত্থান ◈ ভারতের বাংলাদেশ সফর নিয়ে যা বললেন আমিনুল ইসলাম বুলবুল ◈ ৪৪তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ, ক্যাডার পদে মনোনয়ন পেলেন ১৬৯০ জন ◈ ১৮ জুলাই নতুন দিবস ঘোষণা ◈ ডিসি-এসপি কমিটি ও ইভিএম বাদ, ভোটকেন্দ্র স্থাপনে নতুন নীতিমালা জারি করলো ইসি ◈ বাংলাদেশে আগ্নেয়াস্ত্র লাইসেন্স: কীভাবে পাবেন, কী কী শর্ত মানতে হবে? ◈ এবার থাইল্যান্ড থেকে ভারতগামী বিমানে ১৬ টি সাপ, এরপর যা ঘটল ◈ প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ফোনালাপ নিয়ে এবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের বার্তা

প্রকাশিত : ১৭ জুন, ২০১৯, ১১:১১ দুপুর
আপডেট : ১৭ জুন, ২০১৯, ১১:১১ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

‘বেদনাকে বলেছি, কেঁদো না’!

শিবু কান্তি দাস : দেশের প্রধানতম কবি হেলাল হাফিজ। সবাই জানেন, তিনি অসুস্থ। জীবন সংকটময়বস্থায় আছেন। কবি নিজেই তা ব্যক্ত করলেন । ১৩ জুন সকালে কবি ফানে শুভ সকাল দিয়ে কথা শুরু করেন। বিকালে সাক্ষাতে দীর্ঘক্ষণ কথা হয় কবির জীবন ও কবিতা নিয়ে। অসুস্থ হয়েও তিনি তার লক্ষ, হাজার পাঠকের কথাই ভাবছেন শুধু। তিনি না থাকলে তার পাঠকদের কি প্রতিক্রিয়া হবে?

তিনি যেদিন থাকবেন না, পাঠকরা যেন বেদনাহত না হয়। তাই তো ‘বেদনাকে বলেছি কেঁদো না’ কবিতা। তিনি সেই দুই হাজার এগার থেকে রাজধানীর তোপখানা রোডের আবাসিক হোটেল কর্ণফুলী’তে নিবাস যাপন করে আসছেন। প্রথম দিনে রুমে ঘুমিয়েই ভেবেছেন একটা নিঃসঙ্গতা নিয়ে। পাশাপাশি কতো রুমে। রুমে রুমে মানুষ । কিন্তু কেউ কারো দিকে তাকাবার সময় নেই। হোটেলের দ্বিতীয় দিনে লেখেন, তুমি আমার নিঃসঙ্গতার সতীন হয়েছো। কী অসাধারণ না? কে ভাবতে পারেন এমন করে? কবির পক্ষেই শুধু সম্ভব।

আবার,‘পথ’ কবিতায় লেখেন, যদি যেতে চাও, যাও, আমি পথ হবো চরণের তলে, না ছুঁয়ে তোমাকে ছোঁবো, ফেরাবো না, পোড়াবোই হিমেল অনলে। কেউ কেউ হয়ত কবিতার এমন শক্তিময় চরণ পড়ে ভাববেন, কবি তার কোনো প্রেমিকার জন্য লিখেছেন । কিন্তু না। ভালোবাসা শুধু কি একজন নারীর প্রতি? জাগতিক সংসারে কতোজনকে না কতোভাবে ভালোবাসতে হয়।

সিলেটের বাউল কবি শামসুল হক। তিনি হেলাল ভাইকে আশির দশকে বস্তা বস্তা চিঠি লিখতেন। কোনো নোটিশ ছাড়াই ঢাকায় এসে পড়তেন। কবি তখন সেগুন বাগিচায় দৈনিক দেশ পত্রিকায় চাকরি করতেন। পথ কবিতাটি শামসুল হক সাহেবকে নিয়েই লেখা। পটভূমি ছিলো, একদিন তিনি সিলেট থেকে আসলেন দুপুরে। কতোক্ষণ ছিলেন তারপর কিছুই না বলে হাওয়া। কদিন পরে একবস্তা চিঠিতে চলে যাওয়ার কথা ব্যক্ত। হেলাল ভাই সেই কবির উচ্চ প্রসংসা করে বলেন, তার কবিতা সাধারণ পাঠকের বুঝতে কষ্ট হলেও ঋদ্ধ কবিতা। পঞ্চপান্ডবকে টেনে আনলেন এ কবির গুরুত্ব বোঝাতে।

কবির কোন কবিতাটা আমি আজ পাঠকের সামনে আনবে বুঝতে পারছি না, আমারে কান্দাইয়া তুমি, কতোখানি সুখী অইছো, একদিন আইয়া কইয়া যাইও। (নীল খাম)। ভালোবেসেই নাম দিয়েছি ‘তনা’, মন না দিলে, ছোবল দিও তুলে বিষের ফণা (প্রতিদান)। তোমার বুকের ওড়না আমার প্রেমের জায়নামাজ (প্রতিদান)।

থুতুও অমৃত হয় চুম্বকীয় চিকন চুম্বনে। (থুতু) সব অসাধারণ কবিতা নিয়ে কবির আসন্ন জন্মদিনে পাঠকের সামনে কবি হাজির হবেন নতুন প্রেমের দুত্যি ছড়িয়ে। কবির জন্য আমার অন্তরের অতল শ্রদ্ধা জানিয়ে যখন বিদায় নিই, কবি আমাকে লিফট পর্যন্ত এগিয়ে দিতে হেঁটে হেঁটে চলে আসেন বেদনা কে কাঁদতে বারণ করে। শুভ কামনা প্রিয় কবির জন্য। সবার দোয়া হোক কবির নতুন জীবনের পথ চলা। ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়