শিরোনাম
◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ভারত থেকে ১৬৫০ টন পেঁয়াজ আসছে আজ! ◈ বিশ্ববাজারে সোনার সর্বোচ্চ দামের নতুন রেকর্ড ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ চেক প্রতারণার মামলায় ইভ্যালির রাসেল-শামিমার বিচার শুরু ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ প্রফেসর ইউনূসকে প্রদত্ত "ট্রি অব পিস" প্রধানমন্ত্রীকে প্রদত্ত একই ভাস্করের একই ভাস্কর্য: ইউনূস সেন্টার ◈ নির্বাচনী বন্ড কেবল ভারত নয়, বিশ্বের সবচেয়ে বড় কেলেঙ্কারি: অর্থমন্ত্রীর স্বামী ◈ কুড়িগ্রামে অর্থনৈতিক অঞ্চলের স্থান পরিদর্শন করে দেশে ফিরলেন ভুটানের রাজা ◈ জনগণকে সংগঠিত করে চূড়ান্তভাবে বিজয় অর্জন করতে হবে: মির্জা ফখরুল

প্রকাশিত : ১৭ জুন, ২০১৯, ০৯:২১ সকাল
আপডেট : ১৭ জুন, ২০১৯, ০৯:২১ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

গাছপাকা আমের ঘ্রাণে ম ম করছে রাজধানী

তানজিনা তানিন : রাজধানীর খামারবাড়িতে শুরু হয়েছে ‘ফলদ বৃক্ষ রোপন ও জাতীয় ফল প্রদর্শনী ২০১৯’। গতকাল রোববার (১৬ জুন) খামারবাড়ির আ. ক. ম. গিয়াস উদ্দীন অডিটোরিয়ামে শুরু হওয়া এই প্রদর্শনী চলবে আগামী ১৮ জুন পর্যন্ত। কৃষি মন্ত্রণালয় কর্তৃক আয়োজিত এ প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।

এবারের ফল প্রদর্শনীর প্রতিপাদ্য হলো ‘পরিকল্পিত ফল চাষ যোগাবে পুষ্টি সম্মত খাবার’। তিন দিনব্যাপী এই প্রদর্শনী সকাল ৯টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত ক্রেতা-দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।

নানা জাতের ফল সাজিয়ে তৈরি করা হয়েছে প্রকাণ্ড তোরণ। রয়েছে নানা জাতের দেশি ফলের সমাহার। দেশি ফলের সমাহার বলা হলেও, স্টলগুলোতে আমের আধিক্যই বেশি। জিভে জল আনা রাজশাহীর আম আর দিনাজপুরের লিচুতেই ক্রেতাদের আগ্রহ বেশি দেখা যায়। আরও রয়েছে কাঁঠাল, জাম, পেঁপে, আতা, আমড়া, উইতে, কাজী পেয়ারা, জারা লেবু, ডালিম, জামরুল, আমলকী, লটকন, তাল, দেশি খেজুর, লেবু, জাম্বুরা, আঁশফল, দেশে চাষ করা ড্রাগন ফল ও মাল্টা।

আয়োজকরা জানান, এসব ফল ফরমালিন ও কীটনাশকমুক্ত। চাষে ব্যবহার করা হয়েছে জৈব সার।

মেলা প্রাঙ্গণে পাওয়া যাচ্ছে ফলদ গাছও। আমরুপালি, বারি-৬, বারি-১১ ও বীণা আম রাখা হয়েছে কেবল প্রদর্শনীর জন্য। বিক্রি করা হচ্ছে অন্য জাতের আম। দাম নেওয়া হচ্ছে বাজারের সঙ্গে সঙ্গতি রেখেই। স্টলভেদে প্রতিকেজি গোপালভোগ, হিমসাগর, ফজলি আম বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৫০ টাকায়। দিনাজপুরের লিচু ৪০০ টাকা শ’। আকার ভেদে ড্রাগন ফল বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৫০০ থেকে ৬০০ টাকায়।

উদ্বোধনী বক্তব্যে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দেশীয় ফলের জাত সংরক্ষণ এবং বৃক্ষ রোপনে উৎসাহিত করতে এই উদ্যোগ। আমরা কোনো দেশি ফলই বিলুপ্ত হতে দেবো না। দেশি ফল বিদেশে রফতানি করা যায় কি না সেটাও ভাবছি আমরা। তাছাড়া গবেষণার মাধ্যমে নতুন জাত উদ্ভাবন ও সেগুলো চাষে কৃষকদের উৎসাহিত করাও চেষ্টা অব্যাহত রেখেছি আমরা।’

এর আগে মেলা উপলক্ষে সকাল সাড়ে ৯টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজা থেকে আ. ক. ম. গিয়াস উদ্দীন মিলকী অডিটোরিয়াম চত্বর পর্যন্ত বর্ণাঢ্য এক র‍্যালি অনুষ্ঠিত হয়।

এতে অংশ নেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সনৎ কুমার সাহা, হর্টিকালচার উইংয়ের পরিচালক চণ্ডী দাস কুণ্ডু, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. মো. কবীর ইকরামুল হক, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের মহাপরিচালক মীর নূরুল আলমসহ অনেকে।

 

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়