শিরোনাম
◈ ওড়না কেড়ে নিয়ে পুরুষ কর্মকর্তাদের উল্লাস, নারী বন্দিদের ভয়াবহ অভিজ্ঞতা ◈ রেকর্ড উৎপাদনের সুফল কোথায়? চালের বাজারের চালকের আসনে কারা? ◈ পবিত্র আশুরা আজ ◈ তরুণ ক্রিকেটার তানভীরের ফাইফারে সিরিজ সমতায় বাংলাদেশ ◈ 'শিক্ষা ও স্বাস্থ্য দখল করেছে জামায়াত': গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ◈ ১৪ হাজার কোটি রুপি কেলেঙ্কারি, যুক্তরাষ্ট্রে গ্রেপ্তার ভারতের নেহাল মোদি (ভিডিও) ◈ মোবাইল চুরির অভিযোগকে কেন্দ্র করে গ্রাম্য সালিস থেকে রক্তাক্ত ট্র্যাজেডি ◈ জাতীয় নির্বাচনে বাধা দেওয়ার শক্তি কারো নেই: কেরানীগঞ্জে বিএনপি সমাবেশে সালাহ উদ্দিন আহমদের হুঁশিয়ারি ◈ তুর্কমেনিস্তানকে কাঁ‌পি‌য়ে দি‌লো বাংলা‌দেশ, এশিয়ান কাপে যাচ্ছে ঋতুপর্ণারা ◈ চী‌নে জু‌নিয়র হ‌কি‌তে একদিনে বাংলাদেশ পুরুষ ও নারী দ‌লের জয়

প্রকাশিত : ১২ জুন, ২০১৯, ০৪:১৩ সকাল
আপডেট : ১২ জুন, ২০১৯, ০৪:১৩ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

রে মূর্খ! বাঙালিত্ব কি হিন্দুত্ব?

মাসুদ রানা : বাঙালি মুসলমানদের মধ্যে যে ধর্মবাদী মূর্খরা বাঙালিত্ব বলতে হিন্দুত্ব বুঝে এবং বোঝায়, তারা নিজের ইতিহাসটাও জানে না। তারা জানে না যে, ‘বাংলা’ ও ‘বাঙালি’ত্বের ধারণা মুসলিম অবদান। এ কথার সমর্থনে আমি নিচে হিন্দু ধর্মীয় পটভূমির একজন বাঙালি ইতিহাসবিদ ও একজন বাঙালি ভাষাবিদকে উদ্ধৃত করছি।
প্রখ্যাত ইতিহাসবিদ নীতিশ সেনগুপ্ত তার History of The Bengali Speaking People গ্রন্থে Origin of The Name Bengali উপ-অধ্যায়ে লিখেছেন : Name Bengali উপ-অধ্যায়ে লিখেছেন : Like the Bengali language, the name Bengal was not in common usage before the Turkish period, and is of historically recent origin. The name, which loosely applies to the entere territory where Bengali is spoken, does not appear anywhere in this form before the 13th century when Persian and Arabic writers started usinig this name in reference of the lower Gangetic Delta and the surrounding areas. (page-7)অর্থাৎ, ‘বাংলা/বাঙ্গালা ভাষার মতোই, তুর্কি আমলের আগে সাধারণ ব্যবহার ছিলো না ‘বাংলা/বাঙ্গালা’ নামের, যার ঐতিহাসিক উৎপত্তি সাম্প্রতিক। নামটি মোটাদাগে প্রযোজ্য সমগ্র সেই ভূ-খ-ের প্রতি, যেখানে বাংলাভাষা কথিত হয় এবং যার এরূপ উল্লেখ কোথাও দেখা যায় না ১৩ শতকের আগ পর্যন্ত, যখন পারস্যিক ও আরব্য লেখকরা নিম্ন গাঙ্গেয় বদ্বীপ ও তার চতুর্দিকের অঞ্চলসমূহ নির্দেশার্থে এ নামটি ব্যবহার করতে শুরু করেন।’ আজ থেকে শতাধিক বছর আগে ‘বাঙ্গালা ভাষার অভিধানে’র প্রণেতা জ্ঞানেন্দ্রমোহন দাস ‘বাঙালি’ শব্দের সংজ্ঞায় লিখেন :
‘...‘বাঙ্গালী’ বলিলে সমগ্র বঙ্গদেশের মধ্যে যেকোনো অধিবাসী, জন্ম ও সংস্কারগত সম্বন্ধে বাঙ্গালা যাহার স্বদেশ এবং বাঙ্গালা যাহার মাতৃভাষা এরূপ ব্যক্তিকে বোঝায়। বঙ্গের অধিবাসীর ‘বাঙ্গালী’ নাম মুসলমান রাজত্বকালে প্রচলিত হয়। সেন রাজাদিগের আমলে তৎপূর্ব্বে রাঢ়ীয়, বারেন্দ্র প্রভৃতি ও গৌড়ীয় নামে অভিহিত হইতো।’ ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়