শিরোনাম
◈ হাসিনা-পরবর্তী বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিভক্তি প্রকট ◈ দুই দানব ব্ল্যাক হোলের খোঁজ পেল বিজ্ঞানীরা, কী ঘটছে মহাবিশ্বে? (ভিডিও) ◈ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ২য় উচ্চতর গ্রেডে আইনি ছাড় ◈ বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা সুবিধা চালু করেছে মালয়েশিয়া ◈ শান্তির হ্যাটট্রিক, ভুটানকে সহ‌জেই হারা‌লো বাংলাদেশের মে‌য়েরা ◈ মেট্রো স্টেশনে বসছে এটিএম ও সিআরএম বুথ ◈ ১৬ই জুলাই রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা ◈ রহস্যময় নাকামোতো এখন বিশ্বের ১২তম ধনী, বিটকয়েন সম্পদ ১২৮ বিলিয়ন ডলার ◈ শাহবাগ মোড় অবরোধ করলো স্বেচ্ছাসেবক দল ◈ বিএসবির খায়রুল বাশারকে আদালত প্রাঙ্গণে ডিম নিক্ষেপ, কিল-ঘুষি

প্রকাশিত : ৩০ মে, ২০১৯, ০৯:৪৮ সকাল
আপডেট : ৩০ মে, ২০১৯, ০৯:৪৮ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

নরওয়েতে কাঠের তৈরি ১৮ তলা বাড়ি পরিবেশবান্ধব ও নির্মাণ শৈলীর উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত

মঈন মোশাররফ : পাহাড়ি অঞ্চলে বেড়াতে গেলে ছোট কাঠের বাড়ি দেখলে অনেকেরই সেখানে থাকতে ইচ্ছা করে। নরওয়েতে এক আধুনিক বহুতল কাঠের বাড়ি পরিবেশবান্ধব নির্মাণ পদ্ধতির উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে উঠেছে।
নরওয়ের ব্রিমুনডাল উপত্যকায় মিয়োসা হ্রদের তীরে কাঠের তৈরি ১৮ তলার ভবনটির উচ্চতা সাড়ে পঁচাশি মিটার। বিশ্বে এত বড় কাঠের বাড়ি নেই। এই প্রকল্প আবাসন ব্যবসায়ী আর্তুর বুখার্ট-এর ব্যক্তিগত স্বপ্ন ছিলো।

তিনি বলেন, কাঠ দিয়ে কী করা সম্ভব, এই ভবন তার প্রতীক। জটিল ভবন, বহুতল ভবনও বটে। আমাদের কার্বন নির্গমন কমাতে হবে। ইস্পাত ও কংক্রিটের তুলনায় এই ভবন ৬০ শতাংশ কম সিওটু নির্গমন করে। নির্মল ও আরও স্পষ্ট এই ভাবনা মানুষ ও প্রকৃতির স্বাস্থ্যের জন্যও ভালো। ডয়চে ভেলে

১৫ তলায় লাইফ আটলে ভিকেন-এর একটি ফ্ল্যাট রয়েছে । চারপাশে কাঠের সংস্পর্শ তিনি খুবই উপভোগ করেন। লাইফ বলেন, এভাবে কাঠের অনুভূতি, তার গন্ধ পাওয়া যায়। এত কাঠ যেন মনে আবেশ এনে দেয়। কাঠ জীবন্ত, ইস্পাত ও কংক্রিট মৃত। তাই মনে হয় এই ভবনটি যেন আপনার সঙ্গে বেঁচে রয়েছে।

বহু বছরের মৌলিক গবেষণার মাধ্যমে এই ভবনটিকে তীব্র বাতাস ও চরম আবহাওয়ার ধাক্কা থেকে সুরক্ষিত রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। কাঠ দিয়ে নির্মাণে পারদর্শী একটি কোম্পানি বাড়িটি ডিজাইন করেছে।

প্রকল্পের সমন্বয়ক ও্যস্টেন এলিগসাস স্থাপত্যের ক্ষেত্রে একেবারে নতুন এই প্রচেষ্টায় শামিল ছিলেন। তিনি বলেন, এর আগে আমরা কখনো এমন কাজ করি নাই । তাই এটা যে সম্ভব, সেই বিশ্বাস রাখা জরুরি ছিলো। অনেক পরিশ্রম ও বিনিদ্র রজনীর পর আমরা সঠিক দিশা দেখতে পেয়েছি । হালকা উপকরণই ছিলো সবচেয়ে বড় সমস্যা। বাতাসের ধাক্কা, বাইরের সব শক্তি ভবনটিকে হেলিয়ে দিতে বা তা স্থানান্তর করতে পারতো।

ভবনটির ভার সামলাতে থামগুলি মাটির আরও গভীরে বসাতে হয়েছে । অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থাও বড় বিষয় ছিলো । মোটা কাঠের থামগুলি এমনকি ইস্পাতের তুলনায়ও আরও বেশিক্ষণ আগুনের শিখা সামলাতে পারে। কাঠ দিয়ে নির্মাণের ক্ষেত্রে এটা বড় সুবিধা।

ভিয়েনা শহরেও ৮৪ মিটার উচুঁ একটি কাঠের বহুতল তৈরি করা হচ্ছে। ফ্রান্সের বোর্দো শহরেও পরিবেশবান্ধব কাঠ দিয়ে একটি গোটা বসতি গড়ে তোলা হচ্ছে । লন্ডন শহরে স্থপতিরা প্রায় ৩০০ মিটার উঁচু ওক কাঠের ভবন পরিকল্পনা করছেন। নরওয়ের প্রকল্পের সমন্বয়ক ও্যস্টেন এলিগসাস মনে করেন, এমন প্রবণতা পরিবেশবান্ধব নির্মাণের প্রতীক বলে আমি মনে করি । পরিবেশের কথা ভাবতে হবে । ভবিষ্যতে নির্মাণের ক্ষেত্রে কাঠ পরিবেশবান্ধব উপকরণ হতে পারে । শুধু উঁচুভবন নয়, যে কোনো বাড়িতেই তা ব্যবহার করা যায়।

কাঠের এই বহুতল ভবনে হোটেল ও কনফারেন্স রুমও রয়েছে । এখনো পর্যন্ত কাঠের তৈরি বহুতল ভবন ব্যতিক্রম রয়ে গেছে। কিন্তু মিয়োসা টাওয়ারকে ভবিষ্যতের ফ্ল্যাটবাড়ির ভালো দৃষ্টান্ত হিসেবে গণ্য করা যেতে পারে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়