সাজিয়া আক্তার : বরিশাল নগরীর পলাশপুর এলাকায় ৩৩ হাজার ভোল্টের বৈদ্যুতিক খুঁটি মাঝখানে রেখেই চলছে বহুতল ভবনের নির্মাণ কাজ। খুঁটি থেকে নিরাপদ দূরত্বে ভবন নির্মাণ করতে বিদ্যুৎ বিভাগ নোটিশ দিলেও তা মানেননি ভবন মালিক হাসান মোল্লার। বরং তার চাপে মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়েই কাজ করছেন নির্মাণ শ্রমিকরা । বাংলা ট্রিবিউন
কীর্ত্তনখোলা নদীর তীর ঘেঁষে জেগে ওঠা চর রসুলপুরে ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (ওজোপাডিকো) বিদ্যুতের সাবস্টেশন-২ রয়েছে। ২৭ বছর আগে সাবস্টেশনের প্রাচীর সংলগ্ন হাসান মোল্লাসহ আরও ৪/৫ জনের বাড়িতে বিদ্যুতের লাইন দিতে বৈদ্যুতিক খুঁটি বসানো হয়। মাস চারেক আগে হাসান মোল্লা তার জমিতে বহুতল ভবনের নির্মাণ কাজ শুরু করেন। ওই ভবনের মাত্র ৭-৮ ফুট দূরেই ৩৩ হাজার ভোল্টের লাইনসহ খুঁটি। সেটি ভবনের ভেতরে রেখেই হাসান মোল্লা একতলা ও দোতলার ছাদ ঢালাই দিয়েছেন।
শুধু হাসান মোল্লা নয়, তার প্রতিবেশী শাহজাহান ফকিরের একতলা টিনের ঘরের মধ্যেও রয়েছে বৈদ্যুতিক খুঁটি।
এ ব্যাপারে হাসান মোল্লা বলেন, ‘প্রায় ৪ তলা সমান উঁচু দিয়ে ৩৩ হাজার ভোল্টের সঞ্চালন লাইন গেছে। আমি মাত্র দুইতলা করেছি। বাড়ি এর বেশি উঁচু করার ইচ্ছে নেই। দুর্ঘটনার তেমন কোনও আশঙ্কাও নেই। বিদ্যুৎ বিভাগের কোনও নোটিশ আমি পাননি ।
এ ব্যাপারে ওজোপাডিকো সাবস্টেশন-২ এর সহকারী প্রকৌশলী উৎপল চন্দ্র দে জানান, বিষয়টি জানার পর ২৩ মে মালিক পক্ষকে নোটিশ দেওয়া হয়েছে। নোটিশের অনুলিপি বরিশাল সিটি করপোরেশনকেও দেওয়া হয়েছে। এতে, খুঁটি থেকে নিরাপদ দূরত্ব রেখে অথবা নির্মিত ভবনের অংশ ভেঙে নিরাপদ দূরত্ব রাখতে বলা হয়েছে। এ কাজ করা না হলে ভবন মালিকের ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আপনার মতামত লিখুন :