শিরোনাম
◈ স্কুল পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের গল্প-প্রবন্ধ নিয়ে সাময়িকী প্রকাশনা করবে বাংলা একাডেমি ◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ ইরানের ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের নতুন নিষেধাজ্ঞা ◈ আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম  ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ মিয়ানমার সেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না: সেনা প্রধান ◈ উপজেলা নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের ◈ বোতলজাত সয়াবিনের দাম লিটারে ৪ টাকা বাড়লো

প্রকাশিত : ২৮ মে, ২০১৯, ০৮:২৪ সকাল
আপডেট : ২৮ মে, ২০১৯, ০৮:২৪ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

জীবনরক্ষাকারী ওষুধের অভাবে বাড়ছে মাতৃমৃত্যু হার

জাবের হোসেন : দেশের স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলোতে রক্তক্ষরণ ও খিচুনি বন্ধের ওষুধ সরবরাহ অনিয়মিত হওয়ায় বাড়ছে মাতৃমৃত্যু হার। জীবনরক্ষাকারী ওষুধ দুটিতে মুনাফা কম হওয়ায় মাত্র একটি কোম্পানি উৎপাদনের সাথে সম্পৃক্ত বলে অভিযোগ গাইনি চিকিৎসকদের সংগঠন ওজিএসবির। নিরবিচ্ছিন্ন ওষুধ সরবরাহ নিশ্চিত করতে না পারলে মাতৃমৃত্যুর হার আরো বাড়ার আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের। সময় টিভি

অ্যানেসথেসিওলজিস্ট বদলি হওয়ায় ১৮ সালের মার্চ থেকে সিজারিয়ান বন্ধ সাভারের ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। ফলে প্রসব বেদনা নিয়ে আসা জটিল রোগীরা সাভারের প্রাইভেট হাসপাতাল বা ঢাকায় ছুটতে বাধ্য হন। ১৮ সালে ধামরাই উপজেলা হাসপাতালে স্বাভাবিক প্রসব হয়েছে ২২৬, পক্ষান্তরে সিজারিয়ানের সংখ্যা ২ হাজার ৬শ ৫৬ আর স্বাভাবিক প্রসব মাত্র ৩৮৫ জন।

ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. ফজলুল হক বলেন, এখানে অনেকদিন ধরে কোনো অ্যানেসথেসিয়া বিশেষজ্ঞ নেই। আর্গোমেট্রিল ও মেক্সাল নামের দুটি ওষুধও আমরা অনেকদিন ধরে পাচ্ছি না।

দেশে মাতৃমৃত্যুর ৫৪ শতাংশই ঘটে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ ও খিচুনিতে। এই অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যু বন্ধে দুটি জরুরি ইনজেকশন দেশের সব সরকারি স্বাস্থ্য কেন্দ্রে থাকার কথা। অথচ মাতৃমৃত্যুর সবশেষ জরিপ বলছে, প্রায় দুই তৃতীয়াংশ কেন্দ্রে নেই অক্সিটসিন ও তিন চতুর্থাংশ কেন্দ্রে নেই ম্যাগনেসিয়াম সালফেট ইনজেকশনের সরবরাহ।

ওজিএসবির সাবেক সভাপতি অধ্যাপক রওশন আরা বেগম বলেন, বাংলাদেশে একটা মাত্র কোম্পানি মেক্সাল তৈরি করছে। যেটা সহজে পাওয়া যায়। কিন্তু কথা ছিলো ৮টা কোম্পানি এই ওষুধ তৈরি করবে। হয়তো মুনাফার পাচ্ছে না, তাই তারা এটা তৈরি করছে না।

তবে এই অভিযোগ ক্ষতিয়ে দেখে ওষুধ সরবরাহ নিশ্চিতের আশ্বাস ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের। ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, ফার্মাসিউটিক্যালস কোম্পানিগুলোর সঙ্গে আমরা কথা বলব। এটার সরবরাহ কেন কম না হয় সে বিষয়ে আমরা তাদের বলব।

ওজিএসবি’র সভাপতি অধ্যাপক ডা. সামিনা চৌধুরী বলেন, আরও অনেক বেশি প্রশিক্ষিত ধাত্রী আমাদের এখনই প্রয়োজন। এবং আমরা সেই লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি।

গবেষণা বলছে, প্রসব করতে যেয়ে প্রতিদিন গড়ে মৃত্যু হচ্ছে ১৫ জন নারীর। নানা পদক্ষেপের পরও এখনও ৪৫ ভাগ মায়ের নিরাপদ মাতৃত্ব নিশ্চিত করতে পারেনি সরকার। সম্পাদনা- এইচ এম জামাল

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়