আব্দুর রাজ্জাক : সুদানের বিক্ষোভকারী ও বিরোধী জোট সম্মিলিতভাবে সোমবার এ ধর্মঘটের ডাক দেয়। গণতান্ত্রিকভাবে একটি বেসামরিক সরকার গঠনের দাবিতে দেশটির সামরিক কাউন্সিলের সঙ্গে টানাপোড়েনের জেরে স্থানীয় সময় মঙ্গলবার থেকে আবারো কঠোর আন্দোলনের ডাক দেয়া হলো। রয়টার্স, মিডল ইস্ট মনিটর
বিক্ষোভের মুখে গত ১১ এপ্রিল সুদানের প্রেসিডেন্ট ওমর আল-বশির ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে দেশটির সামরিক কাউন্সিল এর (টিএমসি) কাছে একটি বেসামরিক সরকারের দাবি জানিয়ে আসছে গণতন্ত্রকামী জোট (ডিএফসিএফ)। এতে দফায় দফায় আলোচনার পরও কে ক্ষমতার কেন্দ্রে কে থাকবে এ বিষয়ে সমঝোতা হচ্ছে না বরং বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে সামরিক কাউন্সিলের কয়েক দফা সংঘর্ষ হয়েছে।
ডিএফসিএফ এর প্রতিনিধি ওয়াগদি সালেহ বলেন, একটি সার্বভৌম সরকারে সামরিক কাউন্সিল দুই তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা চায়। অন্যদিকে, সামরিক কাউন্সিলও সাংবাদিক সম্মেলন করে জানায়, তারা ক্ষমতা হস্তান্তর করতে প্রস্তুত। কিন্তু আন্দোলনকারীরা ক্ষমতা ভাগাভাগি করতে প্রস্তুত নয়। তারা চায় সামরিক বাহিনী শুধু একটি আনুষ্ঠানিক রাষ্ট্রীয় উপাদান হিসেবে থাকবে।
এদিকে, আন্দোলনকারীদের জোট সুদান পিপলস লিবারেশন মুভমেন্ট-নর্থ (এসপিএলএম-এন) এর প্রতিনিধি ইয়াসির আরমানের সঙ্গে সোমবার সাক্ষাৎ করেন মার্কিন দূত স্টেভেন কোটসিস। তিনি গণতন্ত্রকামীদের সঙ্গে একটি বেসামরিক সরকার ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা করেছেন বলে সুদানে মার্কিন দূতাবাস থেকে জানানো হয়।
আপনার মতামত লিখুন :