শিরোনাম
◈ রেকর্ড উৎপাদনের সুফল কোথায়? চালের বাজারের চালকের আসনে কারা? ◈ পবিত্র আশুরা আজ ◈ তরুণ ক্রিকেটার তানভীরের ফাইফারে সিরিজ সমতায় বাংলাদেশ ◈ 'শিক্ষা ও স্বাস্থ্য দখল করেছে জামায়াত': গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ◈ ১৪ হাজার কোটি রুপি কেলেঙ্কারি, যুক্তরাষ্ট্রে গ্রেপ্তার ভারতের নেহাল মোদি (ভিডিও) ◈ মোবাইল চুরির অভিযোগকে কেন্দ্র করে গ্রাম্য সালিস থেকে রক্তাক্ত ট্র্যাজেডি ◈ জাতীয় নির্বাচনে বাধা দেওয়ার শক্তি কারো নেই: কেরানীগঞ্জে বিএনপি সমাবেশে সালাহ উদ্দিন আহমদের হুঁশিয়ারি ◈ তুর্কমেনিস্তানকে কাঁ‌পি‌য়ে দি‌লো বাংলা‌দেশ, এশিয়ান কাপে যাচ্ছে ঋতুপর্ণারা ◈ চী‌নে জু‌নিয়র হ‌কি‌তে একদিনে বাংলাদেশ পুরুষ ও নারী দ‌লের জয় ◈ কত টাকার বিনিময়ে মানববন্ধনে এসেছেন তারা, এদের পরিচয় কী? আরো যা জানাগেল (ভিডিও)

প্রকাশিত : ২৮ মে, ২০১৯, ০৬:৪০ সকাল
আপডেট : ২৮ মে, ২০১৯, ০৬:৪০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভবন নির্মাণে দুর্নীতির ঘটনায় রুল জারি

নূর মোহাম্মদ : জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাম প্রশাসনিক ভবনের ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ প্রকল্পে দুর্নীতির ঘটনায় রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। ভবন নির্মাণে দুর্নীতি ও অনিয়ম তদন্তে নিষ্ক্রিয়তা এবং জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ও বিভাগীয় পদক্ষেপ নিতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে। মহসীন আহমেদ স্বপন নামে এক ব্যক্তির করা রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গত ২৩ মে বিচারপতি আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। সংশ্লিষ্টদেরকে আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। রিট আবেদনকারী পক্ষের আইনজীবী মো. কামাল হোসেন সোমবার রুল জারির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণে অনিয়মের বিষয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ইত্তেফাকে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছয়তলা একাডেমিক ভবন ১৫তলা করতে ২০১৫ সালে দ্য বিল্ডার্স নামের একটি প্রতিষ্ঠানকে কাজ দেয় শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতরের প্রধান প্রকৌশলী দেওয়ান মোহাম্মদ হানজালা। নির্মাণ ব্যয় ধরা হয় ৪৫ কোটি ২৪ লাখ টাকা। অর্থাৎ মোজাইকসহ প্রতি তলার ব্যয় ধরা হয় ৫ কোটি দুই লাখ টাকা।

২০০৭ সালে ভবনটি ছয়তলা করা হয়েছিল। দ্বিতীয় দফায় ২০১৫ সালে ১৫ তলা পর্যন্ত নির্মাণকাজ শুরুর দুই বছর পর হঠাৎ করেই প্রধান প্রকৌশলী ডিএম হানজালা ‘ভিত্তি দুর্বল’ এমন অজুহাতে ১২ তলা পর্যন্ত ভবন করার মতামত দেন। যদিও ভবনটির ভিত্তি দেয়া আছে ২০ তলার। ১২ তলার জন্য সংশোধিত ব্যয় ধরা হয় ৩৭ কোটি ৪০ লাখ টাকা।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, মূল দরপত্রে মোজাইকের কথা বলা হলেও দেয়া হয় টাইলস। প্রথম দরপত্রে মোজাইকসহ প্রতি তলার ব্যয় ধরা হয়েছিল ৫ কোটি দুই লাখ টাকা। সেই হিসেবে ছয় তলার জন্য ব্যয় হওয়ার কথা ৩০ কোটি ১২ লাখ টাকা। কিন্তু প্রধান প্রকৌশলী ডি এম হানজালার হস্তক্ষেপে দর নির্ধারিত হয় ৭ কোটি টাকা বেশি, ৩৭ কোটি ৪০ লাখ টাকায়। এসব অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয়ে দফায় দফায় মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়ে আপত্তির কথা জানান তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী। কিন্তু কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।

জানতে চাইলে রিটকারী মহসীন আহমেদ স্বপন বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভবন নির্মাণে অনিয়মের বিষয়ে ইত্তেফাক ও সকালের সময়সহ বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। পরে এসব প্রতিবেদন যুক্ত করে আমি জনস্বার্থে হাইকোর্টে রিটটি দায়ের করি। শুনানি শেষে আদালত রুল জারি করেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়