এইচ এম জামাল: দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রপ্তানি করা হচ্ছে মানিকগঞ্জের কাঁচা মরিচ। এবার জেলায় কাঁচা মরিচের বাম্পার ফলন হয়েছে। সেইসঙ্গে ভালো দাম পাওয়ায় হাসি ফুটেছে চাষিদের মুখে। জেলার বরংগাইলে কাঁচা মরিচের হাটে। মরিচের হাট নামে খ্যাত বরংগাইলে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বস্তা ভর্তি মরিচ নিয়ে আসেন চাষিরা । বাজার দর অনুযায়ী পাইকাররা দাম দিয়ে কিনে নেন সেই মরিচ। বাংলা নিউজ
মধ্যপ্রাচ্যের প্রায় সব কয়েকটি দেশে রপ্তানি হয় মানিকগঞ্জের মরিচ। মরিচ ভর্তির পর যে দেশে যাবে সেদেশের সিল মারা হয় সেই কার্টনে। প্রতিদিন গড়ে ৪০ থেকে ৫০ ট্রাক মরিচ দেশে ও দেশের বাইরে যায় এই হাট থেকে। গত বছর মানিকগঞ্জে সাড়ে পাঁচ হাজার হেক্টর জমিতে মরিচের আবাদ হয়েছিলো। ভালো দাম না পাওয়ায় এবার তিন হাজার হেক্টর জমিতে মরিচের আবাদ করেছেন চাষিরা। চলতি মৌসুমে মরিচের দাম ভালো হওয়ায় খুশি চাষিরা। তবে দাম পড়ে গেলে লোকসানের মধ্যে পড়বেন বলেও জানান তারা।
মহাদেবপুর এলাকার মরিচ চাষি আকবর মিয়া বলেন, আমি এ বছর এক বিঘা জমিতে মরিচের আবাদ করছি। গত বছর আরো বেশি করছিলাম, কিন্তু দাম না পাওয়ায় এ বছর আবাদ কমিয়ে দিয়েছি। এ বছর অবশ্য মরিচের দাম এখন পর্যন্ত ভালো আছে, এ রকম দাম থাকলে মরিচ চাষিরা লাভবান হবেন। ঘিওর এলাকার মরিচ চাষি নজুমুদ্দিন বলেন, আমি প্রতি বছর মরিচের আবাদ করি। আমার এক বিঘা জমিতে মরিচ আবাদ করতে সর্বোচ্চ ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা খরচ হয়। ভালো দাম পেলে এক বিঘা জমি থেকে ৪৫ থেকে ৫০ হাজার টাকার মরিচ বিক্রি করা যায়। বর্তমানে বাজারে মরিচের যে দাম আছে এ দাম থাকলে এ বছর চাষিরা লাভের মুখ দেখবেন, আর যদি দাম পড়ে যায় তবে গত বছরের মত জমিতেই মরিচ পচবে।
আপনার মতামত লিখুন :