ইসমাঈল ইমু : মোবাইল এ্যাপ্লিকেশনের (এ্যাপস) মাধ্যমে রাইড শেয়ারের বাইক চালকদের ডাকার কথা থাকলেও তা থেকে বিরত থাকছেন যাত্রী ও চালকরা। রাজধানীর বিভিন্ন মোড়ে মোডে বাইক চালকরা বাসের জন্য অপেক্ষমান লোকজন ও পথচারীদের ডেকে গন্তব্যে নেওয়ার কথা বলছেন। বিশেষ করে নারী পথচারীদের দেখে ইচ্ছে করেই গন্তব্যে নেয়ার ইঙ্গিত করা হচ্ছে। এতে চরম বিব্রত হচ্ছেন তারা। বেশকিছুদিন ধরে এ অবস্থা লক্ষ করা যাচ্ছে।
শনিবার ইফতারির আগ মুহুর্তে ফার্মগেটে যাত্রীদের ভীড়। বাস আসলেই হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন যাত্রীরা। তবে একটু দুরেই দল বেঁধে দাড়িয়ে আছে রাইড শেয়ারের বাইক চালকরা। তারা যাত্রীদের ডেকে ডেকে গন্তব্যের কথা জানতে চাইছেন। অনেকে মৌখিক চুক্তিতে রাজী হয়ে উঠে পড়ছেন বাইকে। আবার অনেক যাত্রী বাইক চালক দেখলেই নিজ গন্তেব্যে নিয়ে যেতে অনুরোধ করছেন। এতে সাধারণ বাইক চালকরা বিব্রত হচ্ছেন।
ফার্মগেটে যাত্রীর জন্য অপেক্ষায় থাকা পাঠাও চালক জাহাঙ্গির হোসেন বলেন, এ্যাপসের মাধ্যমে যাওয়াই নিয়ম। কিন্তু বাড়তি আয়ের আশায় তিনি মৌখিক চুক্তিতে যাত্রী সেবা দিয়ে থাকেন। প্রতিদিন ৪/৫ ঘন্টা চালালেই ১হাজার থেকে ১২শ’টাকা আয় হচ্ছে। এ্যাপসের মাধ্যমে কল রিসিভ করে ট্রিপ পাওয়া গেলেও যাত্রীর নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌছানোর পর দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয়। তাছাড়া এক স্থানে অনেক রাইড শেয়ারের বাইকার উপস্থিত থাকায় কলও কম পাওয়া যায়। রাজধানীর এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে মৌখিক চুক্তিতে চালালে রাইড শেয়ারের চেয়ে তিনগুন বেশি আয় করা যায় বলে জানান তিনি।
রাইড শেয়ারে চলেন এমন একাধিক যাত্রী বলেন, এ্যাপসেও নানা বিভ্রান্তি রয়েছে। ডিসকাউন্ট থাকলে নির্দিষ্ট গন্তেব্যে অনেক কম খরচে যাওয়া যায়। কিন্তু বাইক চালকরা কম খরচ দেখে অনেক সময় কল রিসিভ করলেও গন্তব্যে যেতে রাজী হয়না। তবে বাড়তি টাকা দেয়ার কথা জানালে রাজী হয়।
এ বিষয়ে গোয়েন্দা কর্মকর্তারা বলছেন, রাইড শেয়ারের বাইকে অবশ্যই এ্যাপসের মাধ্যমে যাওয়া উচিত। ওই বাইক চালক ছিনতাইকারি বা অপরাধীও হতে পারে। গন্তব্যের কথা শুনে অগে থেকেই তার সহযোগিদের সতর্ক করে ছিনিয়ে নিতে পারে টাকা-পয়সা মুল্যবান সামগ্রী। যাত্রীর নিজ নিরাপত্তার কারণেই এ্যাপস ব্যবহার করা উচিৎ। এতে চালক ও যাত্রী উভয়েরই তথ্য সার্ভারে পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :