হ্যাপি আক্তার : আগামী ১ জুলাই থেকে শুরু হচ্ছে উচ্চ মাধ্যমিকের ক্লাস। অথচ এখন পর্যন্ত বই ছাপানোর দরপত্র প্রক্রিয়াই শেষ করতে পারেনি জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড -এনসিটিবি। মুদ্রণ মালিকদের সাথে এনসিটিবির মত বিরোধে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এনসিটিবি বলছে, আগামী সপ্তাহের মধ্যে দরপত্র প্রক্রিয়া শেষ হবে। ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশন।
উচ্চ মাধ্যমিকের বাংলা, বাংলা- সহপাঠ এবং ইংরেজি বিষয়ের বই এনসিটিবি ছাপে। পরে সেই বই বাজারে বিক্রি করে।
এবার উচ্চ মাধ্যমিকের জন্য ২৭ লাখ বই ছাপানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে চলতি মাসে দরপত্র আহ্বান করেন এনসিটিবি। নকল বই ঠেকাতে ব্যর্থতার অভিযোগ তুলে বেশিরভাগ মুদ্রণ মালিকই এই দরপত্র বয়কট করে। মাত্র চারটি প্রতিষ্ঠান এই দরপত্রে অংশ নেয়। এদিকে এদের বই ছাপানোর সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে মুদ্রণ মালিক সমিতি। আর এই টানাপোড়েনের মধ্যেই আটকে আছে বই ছাপানোর কাজ।
মুদ্রণ মালিক সমিতি সভাপতি জহুরুল ইসলাম বলেন, নকল বইয়ের বিরুদ্ধে মামলাও করা হয়েছে। কিন্তু তারপরও এনসিটিবি তাদের কাজ দিচ্ছে। এটি আসলে এনসিটিবি’র দ্বৈততা। এই দ্বৈত নীতির কারণে সমস্যাগুলো তৈরি হয়েছে।
এনসিটিবির চেয়ারম্যান নারায়ণ চন্দ্র সাহা বলেন, কোনো সংকট হবে না। আগের মতোই দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। চারটি প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করেছে। এখন মূল্যায়ন চলছে। দ্রুতই কাজ শুরু হবে।
সংশ্লিষ্ঠরা বলছেন, সংকট কাটিয়ে দ্রুত এইসব বই ছাপাতে হবে। নইলে অসাধু ব্যবসায়ীরা নকল বই বাজারে ছেড়ে দেবে। যার ফলে বিপুল অংকের রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হবে সরকার। সম্পাদনা : জামাল
আপনার মতামত লিখুন :