ফাতেমা ইসলাম : ২০০৯ সালের ২৫ মে উপকূলীয় অঞ্চল ঘূর্ণিঝড় আইলার আঘাতে লণ্ডভণ্ড হয়ে যায়। খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরাসহ উপক‚লের বিভিন্ন স্থানে ৫৯৭ কিলোমিটার বাঁধ জলোচ্ছ্বাসে ভেসে যায়। আইলার পর উপক‚লের মানুষের দাবি ছিলো টেকসই বেড়িবাঁধ। কিন্তু ১০ বছরেও তা নির্মিত হয়নি। বাংলা ট্রিবিউন
উত্তর বেদকাশি ইউপি চেয়ারম্যান সরদার নুরুল ইসলাম বলেন, আইলার ক্ষতি এখনও কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হয়নি। কয়রার সবচেয়ে বড় সমস্যা বেড়িবাঁধ। টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ না করা হলে আতঙ্ক কাটবে না এ জনপদের মানুষের।
উপজেলা জলবায়ু পরিষদের সদস্য সচিব অধ্যক্ষ অদ্রিশ আদিত্য মন্ডল বলেন, আইলার ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে বিশেষ বরাদ্দে দিয়ে কয়রাকে আগের মতো ফিরিয়ে আনতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তন জনিত কারণে উপক‚লীয় এলাকা ব্যাপক ঝুঁকিতে রয়েছে।
খুলনার কয়রা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান জিএম মহসিন রেজা বলেন, বেড়িবাঁধ নির্মাণ কাজের মূল ঠিকাদারকে কখনও এলাকায় দেখা যায়নি। তিনি কাজ পাওয়ার পর নির্দিষ্ট কমিশনে কাজটি অন্য ঠিকাদারের কাছে বিক্রি করে দেন। ওই ঠিকাদার আবার তার কমিশন রেখে কাজটি ছোট ছোট অংশে ভাগ করে অন্য ঠিকাদারদের হাতে দেন। এই হাত বদলের পর মাঠ পর্যায়ে ৪০-৪৫ ভাগ বরাদ্দ পাওয়া যায়। এর সঙ্গে পানি উন্নয়ন বোর্ডের লোকজনও জড়িত থাকে।
পাউবোর আমাদী উপ-বিভাগীয় শাখা কর্মকর্তা মশিউল আবেদিন বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ কিছু বাঁধে মাটির কাজ চলছে। তাছাড়া ভাঙন কবলিত অনেক এলাকায় টেন্ডার কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। খুব তাড়াতাড়ি কাজ শুরু হবে। এছাড়া স¤প্রতি যেসব বাঁধ ভয়াবহ ভাঙনের কবলে পড়েছে সেগুলো মেরামতের জন্য সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। সম্পাদনা : কায়কোবাদ মিলন