শিরোনাম
◈ হাসিনা-পরবর্তী বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিভক্তি প্রকট ◈ দুই দানব ব্ল্যাক হোলের খোঁজ পেল বিজ্ঞানীরা, কী ঘটছে মহাবিশ্বে? (ভিডিও) ◈ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ২য় উচ্চতর গ্রেডে আইনি ছাড় ◈ বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা সুবিধা চালু করেছে মালয়েশিয়া ◈ শান্তির হ্যাটট্রিক, ভুটানকে সহ‌জেই হারা‌লো বাংলাদেশের মে‌য়েরা ◈ মেট্রো স্টেশনে বসছে এটিএম ও সিআরএম বুথ ◈ ১৬ই জুলাই রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা ◈ রহস্যময় নাকামোতো এখন বিশ্বের ১২তম ধনী, বিটকয়েন সম্পদ ১২৮ বিলিয়ন ডলার ◈ শাহবাগ মোড় অবরোধ করলো স্বেচ্ছাসেবক দল ◈ বিএসবির খায়রুল বাশারকে আদালত প্রাঙ্গণে ডিম নিক্ষেপ, কিল-ঘুষি

প্রকাশিত : ২৫ মে, ২০১৯, ০৮:২৪ সকাল
আপডেট : ২৫ মে, ২০১৯, ০৮:২৪ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

মমতার শক্তিক্ষয়ে তিস্তার পানিবন্টন চুক্তির পথ কি খুললো?

আশিক রহমান : ভারতের লোকসভা নির্বাচনে এক তরফা জয় পেয়ে আবারও সরকার গঠন করতে যাচ্ছে বিজেপি। কংগ্রেস গত নির্বাচনের চেয়ে ভালো ফলাফল করলেও পশ্চিবঙ্গে বাম ও তৃণমূল কংগ্রেস আগের চেয়ে খারাপ ফল করেছে। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেকেরা বলছেন, মমতা এখন অনেকটাই দুর্বল। আসলেই কী তাই? পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূলের এই আসন হারানো কি তিস্তার পানিবন্টন চুক্তির জন্য শাপেবর হয়ে দাঁড়ালো?

এ প্রসঙ্গে সাবেক রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জমির বলেন, নরেন্দ্র মোদীর শাসনামলেই দীর্ঘদিন ঝুলে থাকা সমস্যা ছিটমহল, সমুদ্র সীমানার সমাধান হয়েছে। আমরা এখন আগ্রহের সঙ্গে তাকিয়ে আছি তিস্তা চুক্তির দিকে। চিস্তাসহ দুই দেশের মধ্যে থাকা সমস্যাগুলো যৌক্তিক সমাধান এবার হবে বলে আমরা বিশ^াস করি। তিনি বলেন, বিজেপির বিশাল ব্যবধানে জয় পেয়েছে। কংগ্রেস, তৃণমূল কংগ্রেস, বামপন্থিসহ অন্যরা বিজেপির কাছে হার মানতে বাধ্য হয়েছে। বিজেপির এই বিশাল জয়ের পেছনে কি ফ্যাক্টর কাজ করেছে? আমার কাছে মনে হয়, কংগ্রেসসহ পরাজিত রাজনৈতিক দলগুলোর ব্যর্থতাই দায়ী।

গবেষক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক আফসান চৌধুরী বলেন, মমতাকে এখন নিজের ঘর সামলাতে হবে। তিস্তা চুক্তি নিয়ে তিনি এখন কোনো চিন্তা করবেন বলে মনে হয় না। সামনের বিধানসভা নির্বাচনে টিকবেন কিনা তাও তো তিনি জানেন না। বিধানসভা নিয়েও তার মধ্যে একটা আতঙ্ক থাকবে। ফলে তিনি এখন এমন কিছু করবেন না যাতে তার জনপ্রিয়তা কমে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। মমতা কেন তিস্তা চুক্তিতে সই করেননি? কারণ জনপ্রিয়তা ধরে রাখার চেষ্টা থেকে। আগামী ২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে তিস্তা চুক্তির সম্ভাবনা খুব কম। বিজেপি যদি পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতায় চলে আসে তখন চুক্তির সম্ভাবনা বাড়তে পারে। তবে সেটাও নাও করতে পারে। যারা তাদের ভোট দেবে তাদের খুশি রাখার চেষ্টা করবে দলটি।

লেখক ও গবেষক মহিউদ্দিন আহমদ বলেছেন, ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার অনেকদিন ধরে বলে আসছে তিস্তা চুক্তির বিষয়ে তারা আন্তরিক। কিন্তু রাজ্য সরকার পশ্চিমবঙ্গ তথা মমতার বিরোধিতার কারণে তারা ইতিবাচক কোনো ঘোষণা দিতে পারছেন না। এবারের নির্বাচনে মোদীর বিপুল বিজয়ে মমতা কিছুটা ব্যাকফুটে চলে যাবেন, সামনের বিধান সভা নির্বাচনের মাধ্যমে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টাও তিনি করবেন। তবে পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূলের উপর বিজেপি প্রভাব বিস্তার করার চেষ্টা করবে। ভারতেও জনতুষ্টির রাজনীতিটা হয়। জনতুষ্টির রাজনীতির কারণে হয়তো তিস্তার পানিবন্টন চুক্তির উদ্যোগ নেবে না বিজেপি সরকার। আগামী অন্তত দুবছর আগে তিস্তা চুক্তির কোনো সম্ভাবনা আমি দেখি না। যদি হয় সেটা মিরাকেল হবে!

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়