সালেহ্ বিপ্লব : রাত দুটো দশ মিনিটে ফেসবুকে মন ভালো করে দিলেন অঞ্জন রায়। এখন জিটিভিতে আছেন, তা বোধহয় মনে করিয়ে দেয়ার প্রয়োজন পড়ে না। অঞ্জনের স্ট্যাটাস পড়ে আর ছবিটা দেখে মন ভালো হয়ে গেলো। তিনি লিখেছেন, ‘আমাদের জিটিভির তিন সহকর্মী সাংবাদিক শমী ইব্রাহিম, রুবিনা ইয়াসমীন আর বিবি জোহরা আবেদীন গিয়েছিলো ইফতারের পর চা খেতে অফিসের নীচের চা দোকানে। সেখানে চা খেয়ে ফিরে আসার সময়ে তাদের চোখে পড়লো- তাদের বসার টুলের পাশে একটা ছোটো ব্যাগ পড়ে আছে। ব্যাগটি কার? কয়েক দফা জানতে চাইলে তারা- কেউ উত্তর দিলো না। কয়েক মিনিট কাটলো, তিনজনের একজন ব্যাগটি খুলে দেখলে- ব্যাগটিতে প্রচুর টাকা। চা দোকানীকে ব্যাগের খোঁজে কেউ এলে অফিসে আসতে বলে তারা ফিরে এলো নিউজরুমে। চিফ রিপোর্টার রাজু আহমেদের কাছে ব্যাগ জমা দিয়ে যে যার কাজে ব্যস্ত হলো তিনজন।
কিছু সময় পরই জিটিভিতে এলেন দুজন- উদভ্রান্ত ভেঙে পড়া অবয়বের দুই সহোদর। তারা চা দোকানীর কাছে জেনেছেন, তিন আপা ব্যাগটা পেয়ে বলে এসেছে জিটিভিতে খোঁজ নিতে। শুরু হলো রাজুর প্রশ্নের পর প্রশ্ন। তারা দুভাই উত্তর দিচ্ছেন। আমি দর্শক গ্যালারিতে। সব উত্তর মিলতেই দুজনের কাছে তাদের ব্যাগে থাকা ৪ লাখ টাকা তুলে দিলো সবাই মিলে। হারানো টাকা ফিরে পাওয়ার খুশিতে দুই ভাই তখন বাক্যহারা।
ছবিটা নিজের ফোনে তুললাম। আবার মনে হলো সাংবাদিক মানে শুধু খবরের পেছনে ছোটা যন্ত্র মানব নয়। চোখটা খোলা রাখা মানবিক মানুষও- যাদের কাছে উপকৃত হয় মানুষ। যেমন হলো আজ। আমরা আজ গর্ব করে বলতে পারি- আমাদের সহকর্মীদের সচেতনতার কথা। এই পুরো ঘটনাটি কয়েক মিনিটের, মনে থাকবে অনেক অনেক বছর।’