আনোয়ার হোসেন জীবন : ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতি বিক্রি হয়ে গেছে এক গাইড বই এর কোম্পানির কাছে। শিক্ষক সমিতির এই বানিজ্য নীতিতে বিপাকে পড়েছেন সাধারণ অভিভাবক মহল। প্রকৃত শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে শিক্ষার্থীরা। মানুষ তৈরি করার কারিগর শিক্ষক যাদের জন্ম দোসর বলা হয় তিনারা আজ টাকার বিনিময়ে শিশুদের অন্ধকার ভবিষ্যতের মুখে ঠেলে দিচ্ছেন। পুরো বিবেক বিক্রি করে জিম্মি করে ফেলেছেন শিক্ষার্থীদের।
জানা গেছে, মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে উপজেলার এই শিক্ষক সমিতির কাছে প্রফেসর মো: সিরাজুল ইসলাম এর লেখা “রেডিয়েন্ট কমিউনিকেটিভ ইংলিশ গ্রামার এ্যান্ড কমপজিশন” এবং ড.রঘুনাথ ভট্রাচার্য এর লেখা “আধুনিক বাংলা ব্যাকরণ ও নির্মিতি” প্রায় প্রতিটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এই গাইড চালাতে বাধ্য করা হচ্ছে । প্রতিটি বিদ্যালয়ের ছাত্র/ছাত্রীদের হাতে ধরিয়ে দেওয়া হয় শিক্ষক সমিতির মনোনীত নতুন পাঠ্য পুস্তক তালিকা সহ প্রাপ্তি স্থানের ঠিকানা সংবলিত লিফলেট।
শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক অনুমোদিত পাঠ্য পুস্কক বাদ দিয়ে শিক্ষকদের মনোরঞ্জিত নিন্ম মানের বই শিক্ষার্থীদের বাধ্যতামূলকভাবে কিনতে হচ্ছে। যাতে করে অসহায় অভিভাবকদের অতিরিক্ত টাকার বই কিনতে হিমসিম খেতে হচ্ছে । অপর দিকে ভাল লেখকের বই পড়তে না পেয়ে শিক্ষার্থীরা গুনগত মানের শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে ।
এ বিষয়ে রাণীশংকৈল উপজেলা আওয়ামী যুবলীগ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এস কে মাসুদ রানা পলক বলেন, শিক্ষার মান উন্নয়নে শিক্ষক সমিতির বাণিজ্য নীতিকে প্রতিহত করে ভালো লেখকের বই / গ্রামার শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেওয়া দরকার।
এছাড়াও নেকমরদ অংশেও একই ভাবে শিক্ষক সমিতির নির্বাচিত ব্যকরণ ও গাইড বই কিনতে হচ্ছে শিক্ষাথীদের। তাদের মনোনীত বই না কিনলে ক্লাসে ঢুকতে দেওয়া হয়না, রৌদ্রে দাড় করিয়ে রাখা হয়, শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা সহ নানা অভিযোগ উঠে আসে।