রাশিদ রিয়াজ : ইরানের সঙ্গে বাণিজ্য করার প্রস্তাবিত বিশেষ অর্থনৈতিক ব্যবস্থা বাতিলের জন্য ফ্রান্স, জার্মানি এবং ব্রিটেনের ওপর যুক্তরাষ্ট্র প্রবল চাপ সৃষ্টি করছে বলে জানিয়েছেন ফরাসি অর্থমন্ত্রী ব্রুনো লি মাইয়েরে। এর অর্থ হচ্ছে অর্থনৈতিকভাবে ইরানকে পর্যুদস্ত করা। ডলারের বিকল্প আন্তর্জাতিক লেনদেন ব্যবস্থায় ইরান মার্কিন অবরোধকে পাশ কাটিয়ে আমদানি ও রফতানি টিকিয়ে রাখতে চাচ্ছে। ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানকে সে সুযোগ দিতে চায় না যুক্তরাষ্ট্র।
ইরানের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল হওয়ার পর ফ্রান্স, ব্রিটেন ও জার্মানি ওই নিষেধাজ্ঞাকে পাশ কাটিয়ে ইরানের সঙ্গে বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন শুরু করার জন্য বিশেষ আর্থিক চ্যানেল ‘ইনসটেক্স’ চালু করার চেষ্টা করছে।
প্রাথমিকভাবে এই ব্যবস্থাটি ইরানে খাদ্য,ওষুধ ও চিকিৎসা সরঞ্জাম বিক্রির কাজে ব্যবহার করা হবে এবং ভবিষ্যতে এর পরিধি বাড়বে। তবে তিনটি দেশ এই ব্যবস্থা চালু করার জন্য এখনো সংগ্রাম করে যাচ্ছে। গত বছর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প পরমাণু সমঝোতা থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে বের করে নেয়ার পর ইরানের ক্ষতি পুষিয়ে দেয়ার ব্যাপারে ইউরোপের দেশগুলোর পক্ষ থেকে দেয়া প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন হবে কিনা তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহের সৃষ্টি হয়েছে।
এদিকে, গত মাসে ইরান পরমাণুর সমঝোতার কিছু ধারা স্থগিতের পাশাপাশি সমঝোতার বিষয়ে নিজেদের দেয়া সব প্রতিশ্রুতি পালনে ইউরোপের দেশগুলোকে ৬০ দিনের সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে। এছাড়া, ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করার ঘোষণা দিয়েছে তেহরান।
মঙ্গলবার ফরাসি অর্থমন্ত্রী লি মাইয়েরে দাবি করেন যে পরমাণু সমঝোতা থেকে সরে যাওয়ার ইরানের ঘোষণা বিশেষ বাণিজ্য ব্যবস্থা চালুর প্রক্রিয়াকে জটিল করে তুলেছে। তিনি তার ভাষায় বলেন, ‘পরমাণু সমঝোতা লঙ্ঘনের ব্যাপারে ইরান বারবার হুমকি দিচ্ছে। প্রকৃতপক্ষে এ ধরনের হুমকি বিশেষ বাণিজ্য ব্যবস্থা উন্মুক্ত হওয়ার পথকে বাধাগ্রস্ত করছে।’ লি মাইয়েরে বলেন, বিশেষ বাণিজ্য ব্যবস্থা বাতিলের জন্য ফ্রান্স, ব্রিটেন এবং জার্মানির ওপর যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে ব্যাপক চাপ দেয়া হচ্ছে। মার্কিন চাপ অনেক শক্তিশালী বলেও উল্লেখ করেন তিনি। প্রেসটিভি
আপনার মতামত লিখুন :