শিরোনাম
◈ জলদস্যুদের ধাওয়ায় ট্রলারডুবি: ২৪ ঘণ্টা সাগরে ভেসে ১৮ জেলের জীবনরক্ষা ◈ চীনের ঋণে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে অগ্রসর হচ্ছে বাংলাদেশ ◈ বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণে সংস্কার সম্পন্ন করা জরুরি: ইইউ রাষ্ট্রদূত ◈ জাকসু নির্বাচনে কারসাজি, এক দলকে জিতিয়ে আনতে সব মনোযোগ ছিল: শিক্ষক নেটওয়ার্ক ◈ হ্যান্ডশেক না করায় ভারতীয়দের উপর চটলেন পা‌কিস্তা‌নের শোয়েব আখতার ◈ ১৩ দিনে রেমিট্যান্স এলো প্রায় ১৬ হাজার কোটি টাকা ◈ বড় সুখবর ছুটি নিয়ে সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য ◈ ফরিদপুরে মহাসড়কে হঠাৎ বিক্ষোভ, যান চলাচল পুরোপুরি বন্ধ  ◈ নিলামে আরও ৩৫৩ মিলিয়ন ডলার কিনলো কেন্দ্রীয় ব্যাংক ◈ কোনো চাপে নয়, ভারতের অনুরোধে ইলিশ পাঠানো হয়েছে: উপদেষ্টা

প্রকাশিত : ২২ মে, ২০১৯, ০৭:৩৩ সকাল
আপডেট : ২২ মে, ২০১৯, ০৭:৩৩ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

উদ্বোধনের আগেই জৈন্তাপুরের চিকারখাল সেতুতে ফাটল

ইউএনবি: সিলেটের জৈন্তাপুরে চিকারখাল নদীতে নির্মিত সেতুর পাইলে (পিলার) উদ্বোধনের আগেই ফাটল দেখা দিয়েছে। গত কয়েকদিনের বৃষ্টিতেই সেতুর গার্ডওয়াল ধুয়ে মাটি সরে ও ভেসে গিয়ে পাইলিং পিলারের ফাটলও বের হয়ে এসেছে। বর্ষায় সেতুটি নদীতে তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী।

জৈন্তাপুর উপজেলা সদরের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগের লক্ষ্যে খারুবিল ও জৈন্তাপুর ইউনিয়ন এবং জৈন্তাপুর বাজার সড়কে যাতায়াতের সুবিধার্থে সেতুটি নির্মিত হয়। ২ কোটি ৩৭ লাখ টাকা ব্যয়ে ৫৪ মিটার আরসিসি গার্ডার সেতুটি তৈরি করেছে স্থানীয় সরকার অধিদপ্তর। ২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর শুরু করে সম্প্রতি এর নির্মাণ কাজ শেষ করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ‘নূরুল হক অ্যান্ড তৈয়বুর রহমান জেবি’।

দুই পাড়ের স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান তাদের মর্জিমতো ৮০ ফুটের পরিবর্তে কোনো কোনো পিলারে সেতুর পাইলিং ৩৫-৪০ ফুট গভীরে করে ঢালাইয়ের কাজ শেষ করেছে। ঢালাই কাজে নিম্নমানের কাদা মেশানো বালু ও পাথর, মরা ও সিঙ্গেল পাথর, সিমেন্ট এবং নির্মাণ সমাগ্রী ব্যবহার করা হয়েছে।

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ‘নূরুল হক এন্ড তৈয়বুর রহমান জেবি’র স্বত্বাধিকারী দাবি করেন, ‘জৈন্তাপুর স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) নির্দেশনায় পুরো কাজ হয়েছে। পাইলিং কাজের সময় পশ্চিম পাশে কয়েকটি পিলার ৩৫ থেকে ৪০ ফুটের মধ্যে ঢালাই করা হয়েছে। পাইলিং (পিলার) যতোটুকু গভীরে গেছে, ততোটুকুর বিলই আমাকে দেওয়া হবে।’
তিনি স্বীকার করেন, সেতুটির পূর্বপাশের প্রধান পাইলিংয়ে (মেইন পিলার) মূল সেতুর ভারসাম্য রক্ষায় ক্যাপ স্থাপনের স্থানটিতে ফাটলের বিষয়টি শুনেছেন। বলেন, ‘নদীতে পানি থাকায় আমি ঘটনাস্থলে যেতে পারিনি।’

তবে সেতুর অন্যান্য কাজ যথানিয়মে হয়েছে, দাবি এই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মালিকের।
এলজিইডি’র জৈন্তাপুর উপজেলা সহকারী প্রকৌশলী তানভীর আহমদ বলেন, সঠিক নিয়মে কাজ হয়েছে, কোনো সন্দেহ ন নেই। ‘পানির স্রােত’ বেশি হওয়ায় গার্ডার ভেঙে যায়। এতে সেতুর কোনো ক্ষতি হবে না।

উপজেলা প্রকৌশলী মো. হাসানুজ্জামান কোনো কোনো পিলারে ৩৫-৪০ ফুট গভীরে পাইলিং ঢালাইয়ের কাজের কথা স্বীকার করে বলেন, ক্যাপে ফাটলের বিষয় তার জানা ছিলো না। বিষয়টি জানার পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এটির প্লাস্টারিং করলে সমাধান হয়ে যাবে।

সম্পাদনা: অশোকেশ রায়

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়