শিরোনাম
◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ ইরানের ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের নতুন নিষেধাজ্ঞা ◈ আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম  ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ মিয়ানমার সেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না: সেনা প্রধান ◈ উপজেলা নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের ◈ বোতলজাত সয়াবিনের দাম লিটারে ৪ টাকা বাড়লো ◈ রেকর্ড বন্যায় প্লাবিত দুবাই, ওমানে ১৮ জনের প্রাণহানি

প্রকাশিত : ২২ মে, ২০১৯, ০৩:৫৭ রাত
আপডেট : ২২ মে, ২০১৯, ০৩:৫৭ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ট্রাম্পের মেক্সিকো সীমান্তনীতি বাংলাদেশ সীমান্তে অনুসরণ করছেন মোদী!

আসিফুজ্জামান পৃথিল : শুধু নির্বাচনী প্রচারণাকালেই নয়, নিজের মেয়াদের পুরো ৫ বছরে প্রত্যেকটি ভারতীয়কে একটি প্রশ্ন ভাবতে বাধ্য করেছেন, একজন ভারতীয় হওয়ার অনুভূতি আসলে কি? চরম জাতয়িতাবাদে সবাইকে তিনি উদ্বূদ্ধ করেছেন এই ৫ বছরে। তার রাজনীতির একটি বড় অংশ জুড়েই ছিলো সীমান্ত নিয়ে তার রাজনৈতিক নীতি। তার এই নীতির সঙ্গে ট্রাম্পের সীমান্ত নীতির মিল বিস্তর। তবে ট্রাম্প সীমান্তে লক্ষবস্তু বানিয়েছেন মেক্সিকোকে আর মোদী বাংলাদেশকে। বিবিসির এক নিবন্ধে বলা হয়েছে এসব কথা। বিবিসি।

অর্ধ শতাব্দি ধরে আসামের একটি অনগ্রসর, ছোট গ্রাম ডিমলাপুরে বাস করেন শান্তি চান্দ্রি। কিন্তু সরকারের নতুন নাগরিকত্বের তালিকায় এই ৭৯ বছর বয়সী বৃদ্ধার নাম নেই। সরকারের ভাস্যমতে তিনি অনুপ্রবেশকারী! তাকে বলা হচ্ছে দেশ থেকে চলে যেতে। এটি যেনো ট্রাম্পের মেক্সিকো সীমান্তে করা আচরণের ভারতীয় চিত্রায়ন।আসাম সরকার জাতীয় জনসংখ্যা নিগম নামে এক তালিকা করেছে। এই তালিকায় তাদেরই নাম থাকবে যারা ১৯৭১ সালের ২৪ মার্চের আগে আসামে এসেছে। অর্থাৎ তারা মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ পাকিস্তান থেকে বিতারণের শিকার সংখ্যালঘুদের নাগরিকত্ব দিতে রাজি। কিন্তু কোনমতেই বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর যদি কেই আসামে হিগয়ে থাতে তাকে স্বীকৃতি দিতে রাজি নয়। এ কারণে নাগরিকত্ব হারাতে পারেন প্রায় ৪০ লাখ মানুষ। হ্যাঁ সংখ্যাটি ৪০ লাখই। বিজেপির জাতীয়তাবাদী নীতি ৪০ লাখ মানুষকে রাষ্ট্রহীন বানাতে প্রস্তুত। কারণ বাংলাদেশ কোনভাবেই এদের নিজ নাগরিক হিসেবে স্বীকৃতি দিতে রাজি নয়। রাজি হওয়ার কোন কারণই নেই। কারণ কারিগরিভাবে এই মানুষগুলো কোনভাবেই বাংলাদেশী হতে পারে না। এমনিতেই জনসংখ্যার ভারে নুহ্য বাংলাদেশ ১০ লক্ষাধিক রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়ে রেখেছে। এর বাইরে ৪০ লাখ অহমিয়াবেক আশ্রয় দেওয়া কার্যত অবাস্তব।

এই মানুষগুলোকে মোদী ও তার দল প্রায়ই বিদেশী অনুপ্রবেশকারী বলে অভিহিত করেন। আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে বলে থাকেন বাঙালি। এমনকি বিজেপির অফিশিয়াল টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকেই এদের বেশ কয়েকবার বাঙালি বা বাংলাদেশি বলা হয়েছে। যা কোনভাবেই কূটনৈতিক শিষ্ঠাচারের মধ্যে পরে না। একই কথা খাটে ট্রাম্পের ক্ষেত্রেও। ট্রাম্পও মেক্সিকান বংশোদ্ভূত হিস্পানিকদের সরাসরি মেক্সিকান বলছেন। যদিও কোনভাবেই তিনি তা পারেন না। ট্রাম্প ‘অবৈধ’ মেক্সিকান আর মোদী ‘অবৈধ’ বাংলাদেশীদের থেকে নিজ নিজ দেশকে মুক্ত করতে চান। ৫০ বছর ধরে কোন দেশে বাস করে, এমনকি জন্ম নিয়েও কেউ যদি নাগরিক না হয়, তবে নাগরিক কে!

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়