শিরোনাম
◈ যে কারণে শিবির ক্যাম্পাসে জিতছে, সেই কারণেই বিএনপি জাতীয় নির্বাচনে জিততে পারে: দ্য ডিপ্লোম্যাটের নিবন্ধ ◈ টানা দুই হা‌রের পর জ‌য়ে ফির‌লো মেসির ইন্টার মায়ামি ◈ করমর্দন বিতর্কে সুনীল গাভাস্কার - ক্রীড়া এবং রাজনীতি কখনোই আলাদা ছিল না  ◈ সীমানা পুনর্নিধারণ নিয়ে চ্যালেঞ্জের মুখে নির্বাচন কমিশন ◈ বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক হবে গঠনমূলক ও ভবিষ্যতমুখী: হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা ◈ এলডিসি থেকে উত্তরণ: আরও তিন বছরের সময় চাইছে বাংলাদেশ ◈ আইসিসির শাস্তির ভ‌য়ে এশিয়া কাপ বয়কট কর‌ছে না পাকিস্তান ◈ ১৭ বিয়ের ঘটনায় মামলা, সেই বন কর্মকর্তা বরখাস্ত ◈ বিএনপি নেতাকে না পেয়ে স্ত্রীকে কু.পিয়ে হ.ত্যা ◈ বাংলা‌দেশ হারা‌লো আফগানিস্তানকে, তা‌কি‌য়ে রই‌লো শ্রীলঙ্কার দিকে 

প্রকাশিত : ২১ মে, ২০১৯, ১১:৫৬ দুপুর
আপডেট : ২১ মে, ২০১৯, ১১:৫৬ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

এক সময়ের কোটিপতি এখন ভাঙারি দোকানের শ্রমিক!

ডেস্ক রিপোর্ট  : একদিন কোটি কোটি টাকার ব্যবসা ছিলো তার। কিন্তু এখন ভাঙ্গারির দোকানে কাজ করে সংসার চালাতে হয়। এ যেন রূপকথার আমির থেকে ফকির হয়ে যাওয়া সেই গল্প।

আরব আমিরাতে এক প্রবাসী পাকিস্তানির গল্প এটি। খালিজ টাইমসে উঠে এসেছে পাকিস্তানি নাগরিক আসগর হোসেইন ও তার পরিবারের এ করুণ কাহিনি।

শারজাহতে কোটি টাকার ব্যবসা ছিল আসগরের। ২০০৮ সালে এক ভারতীয় প্রতারকের খপ্পরে পড়ে পথে বসে যায় সুখী পরিবারটি। আসগরের বিশ্বাস ও আস্থা অর্জন করে তার স্বাক্ষর জাল করে পুরো কোম্পানিই গায়েব করে দেয় ওই ভারতীয় নাগরিক। ব্যাংক লোন শোধ করতে গিয়েই পথে বসেন আসগর।

তার চার ছেলে মেয়ে, যাদের বয়স ১৫ থেকে ২৩ বছর। গত ৫ বছর ধরে শিক্ষা থেকে বঞ্চিত তারা। খরচ চালাতে না পারায় স্কুল থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে তাদের। এছাড়া দেশটিতে বসবাসের বৈধতা হারানোয় নতুন করে কোনো স্কুলও তাদের ভর্তি করছে না।

বিশাল অ্যাপার্টমেন্ট থেকে এখন ছোট একটি রুমে গাদাগাদি করে থাকতে হচ্ছে ছয় জনের এই পরিবারটিকে। নেই প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র, ঘরের মেঝেতেই ঘুমাতে হয় তাদের।

শুক্রবার খালিজ টাইমসকে নিজের দুঃখ দুর্দশা বোঝাচ্ছিলেন আসগর। তার স্ত্রী ফারাহ গুল বলেন, ‘আমার বাচ্চারা গত ৫ বছর ধরে স্কুলে যেতে পারছে না। অন্য বাচ্চারা স্কুলে যায়, তারা দেখে থাকে। শুধু বাচ্চাদের স্কুলে পাঠানোর জন্য দরজায় দরজায় সাহায্য চাইতে গিয়েছি। কিন্তু সবাই ফিরিয়ে দিয়েছে।’

পরিবার নিয়ে এক পর্যায়ে অবৈধ হয়ে পড়েন আসগর। তিনি বলেন, ‘পাকিস্তানে আমার মা মারা যান, তখন আমি এখানে অবৈধ হয়ে পড়ি। শেষ বারের মতো মাকেও দেখতে যেতে পারিনি। আমার স্ত্রীর বাবা-মা দুজনেই মারা গেছেন, সেও তাদের দেখতে যেতে পারেনি।’

আসগর এখন একটি ভাঙারির দোকানের শ্রমিক। এমন পরিস্থিতিতে বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়-স্বজনের এবং বেসরকারি সহায়তাই পারে তাদের ঘুরে দাঁড়াতে, এমনটাই মনে করেন তিনি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়