শিরোনাম
◈ হাসিনা-পরবর্তী বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিভক্তি প্রকট ◈ দুই দানব ব্ল্যাক হোলের খোঁজ পেল বিজ্ঞানীরা, কী ঘটছে মহাবিশ্বে? (ভিডিও) ◈ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ২য় উচ্চতর গ্রেডে আইনি ছাড় ◈ বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা সুবিধা চালু করেছে মালয়েশিয়া ◈ শান্তির হ্যাটট্রিক, ভুটানকে সহ‌জেই হারা‌লো বাংলাদেশের মে‌য়েরা ◈ মেট্রো স্টেশনে বসছে এটিএম ও সিআরএম বুথ ◈ ১৬ই জুলাই রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা ◈ রহস্যময় নাকামোতো এখন বিশ্বের ১২তম ধনী, বিটকয়েন সম্পদ ১২৮ বিলিয়ন ডলার ◈ শাহবাগ মোড় অবরোধ করলো স্বেচ্ছাসেবক দল ◈ বিএসবির খায়রুল বাশারকে আদালত প্রাঙ্গণে ডিম নিক্ষেপ, কিল-ঘুষি

প্রকাশিত : ২১ মে, ২০১৯, ০৪:২৩ সকাল
আপডেট : ২১ মে, ২০১৯, ০৪:২৩ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বুথ ফেরত সমীক্ষা কতখানি বিশ্বাসযোগ্য-বিরোধীরা টিভি বন্ধ রাখার পথে

মৌরী সিদ্দিকা : কিছু বুথফেরত সমীক্ষা মোদী-শাহের দাবি পুষ্ট করলেও সকলের মত এক নয়। বিজেপি একাই তিনশোটির বেশি আসন পেতে পারে, এমন অনুমান অনেকেই করেনি। তবে এনডিএ-কে নিয়ে মোদী যে ফের সরকার গড়বেন, তা নিয়ে তেমন দ্বিমত নেই সমীক্ষাকারীদের মনে। - আনন্দবাজার

বিদেশেও বুথফেরত সমীক্ষার ইঙ্গিত যে সব সময় মেলে, এমন নয়। এর বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নিয়েও অনেক প্রশ্ন রয়েছে। স¤প্রতি অস্ট্রেলিয়াতেও সমীক্ষা বলেছিল, সে দেশে কনজারভেটিভদের উৎখাত করে ক্ষমতায় আসবে লেবার পার্টি। কিন্তু ফল প্রকাশের পর দেখা গিয়েছে, কনজারভেটিভরাই ক্ষমতা ধরে রেখেছে।

এবিপি নিউজ-নিয়েলসেনের মতে, এনডিএ ২৭৭টি আসন পেতে পারে। ইউপিএ ১৩০, আর অন্যরা ১৩৫টি। আবার ইন্ডিয়া টুডে-অ্যাক্সিস পোলের সমীক্ষা এনডিএ-কে ৩৩৯-৩৬৫টি আসন দিচ্ছে, ইউপিএ-কে ৭৭-১০৮টি। মোট ৫৪৩টি লোকসভা আসনের মধ্যে ভোট হয়েছে ৫৪২টিতে। মোট আসন ধরলে সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজন ২৭২টি আসন।
ইন্ডিয়া টুডের মতে, উত্তরপ্রদেশে আগের থেকে একটু আসন কমলেও ৬২-৬৮টি আসন ধরে রাখতে পারবে বিজেপি জোট। অখিলেশ-মায়াবতীরা পাবেন ১০-১৬টি আসন।

সব সমীক্ষাতেই অবশ্য একটি বিষয় সামনে এসেছে। সেটি হল, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তীশগড়ও রাজস্থানের মতো যে তিন রাজ্যে সম্প্রতি ক্ষমতায় এসেছিল কংগ্রেস, সেখানে বিজেপির আসন সংখ্যা কমার কথা বলা হচ্ছে না। মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থানে বেশিরভাগ আসনই ধরে রাখতে পারছে বিজেপি। আর কর্নাটক ছাড়া দক্ষিণের অন্য কোনও রাজ্যে গেরুয়া শিবিরের আসন সংখ্যা বাড়ছে না। উত্তরপ্রদেশে যে ক্ষতির কথা বলা হচ্ছে, তা পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িষ্যার মতো প‚র্ব ভারতের রাজ্যগুলি থেকে মেরামতের সম্ভাবনা থাকছে।

সব সমীক্ষাই এনডিএকে এগিয়ে রাখার পরে স্বাভাবিক ভাবেই বিরোধী শিবিরের নেতারা ২৩ মে আসল ফল প্রকাশ পর্যন্ত অপেক্ষা করার কথা বলেছেন। পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরেন্দ্র সিংহ বলেন, ‘এই বুথ ফেরত সমীক্ষা আমি মানি না। কংগ্রেস আরও ভাল ফল করবে।’ একই মত রাজীব শুক্লরও। তিনি বলেন, ‘অতীতে এমন বুথ ফেরত সমীক্ষা ভুল প্রমাণিত হয়েছে। ২৩ তারিখের ফলেই আসল ছবি ফুটে উঠবে।’ ওমর আবদুল্লাহর মন্তব্য, ‘টেলিভিশন বন্ধ রাখুন।’ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথাতেও এই সমীক্ষা ‘গসিপ’। এ প্রসঙ্গেই উঠে আসছে ২০০৪ সালের ভোটে অটলবিহারী বাজপেয়ীর সরকার গড়তে না পারার উদাহরণ।

তবে ঘরোয়া আলোচনায় বোঝা যাচ্ছে, বিজেপি এখনও যে এই সংখ্যা নিয়ে পুরোপুরি আশ্বস্ত, এমন নয়। তাঁদের মতে, ২০১৪ সালে প্রবল মোদী-ঝড়ের যে পরিমাণ ভোট পড়েছিল, এ বারেও প্রায় একই হারে পড়েছে। এ বারে অবশ্য মহিলা ও প্রথম বারের ভোটারদের সিংহভাগ সমর্থন বিজেপির দিকে যাবে। তবে বিজেপির ফল খুব খারাপ হলেও ২২০টির নীচে যাবে না।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়