শাহানুজ্জামান টিটু : মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েই এই প্রতিবেদককে তিনি বলেন, দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, মহাসচিবসহ দলের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ তারা আমাকে মনে করেছেন আমি সংসদে গিয়ে দলকে তুলে ধরতে পারবো, মানুষের কথা বলবো। তারা আমার উপরে যে আস্থা রেখেছেন এজন্য আমি সবার প্রতি আমার কৃতজ্ঞতা। আল্লাহ যেন আমাকে সেই তৌফিক দেন আমি যেন তাদের সেই আশা ও বিশ্বাস রক্ষা করতে পারি।
সংসদ সদস্য হয়ে প্রথম সংসদে যাচ্ছেন কেমন লাগছে এ প্রশ্নে জবাবে সহাস্য রুমিন বললেন ভালো, তবে খারাপ লাগছে এই ভেবে যে দেশনেত্রী ও গণতন্ত্রের মা বেগম খালেদা জিয়া ভিত্তিহীন মামলায় আজ কারাগারে। তিনি মুক্ত থাকলে এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশে থাকলে আরো ভালো লাগতো।
সংসদ সদস্য হিসেবে আপনার সামনে কোনটিকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে মনে করেন জবাবে তিনি বলেন,আমি বিশ্বাস করি দেশের ১৬ কোটি মানুষ খালেদা জিয়ার মুক্তি চায়। তাকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার করা হয়েছে। তার মুক্তির জন্য সংসদে শক্তভাবে কথা বলবো। এছাড়া ভোটাধিকার, গণতান্ত্রিক অধিকার, সাংবিধানিক অধিকার যাতে মানুষ ফিরে পায়, মামলাহামলা, ধর্ষণ, হত্যা এসব বিষয় নিয়ে আমি সংসদে কথা বলবো।
এতো অল্প সংখ্যক এমপি নিয়ে আপনাদের অবস্থান কতটুকু তুলে ধরতে পারবেন এ প্রশ্নের জবাবে রুমিন বলেন, দেখুন, বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী ১৪৯ আসন নিয়ে গিয়ে কোনো লাভ হয় না। ১৪৯ আসন নিয়ে আপনি কোনো আইন পাস করতে পারবেন না, আইন তৈরিও করতে পারবেন না। সুতরাং সেই জায়গা থেকে ৬ও যা ১৪৯ও তাই।
এরআগে রোববার রাতে তার মনোনয়নের বিষয়টি চ‚ড়ান্ত হয়। সোমবার দুপুর সোয়া একটার দিকে নির্বাচন কমিশনে রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আবুল কাসেমের কাছে তিনি মনোনয়নপত্র জমা দেন। ইসির তফসিল অনুযায়ী, রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র জমা ২০ মে, বাছাই ২১ মে, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২৮ মে ও ভোট ১৬ জুন।
সবকিছু ঠিক থাকলে একটি আসনে একক প্রার্থী থাকায় প্রার্থিতা প্রত্যাহারের দিনে বিনা প্রতিদ্বদ্বিতায় নির্বাচিত হবেন রুমিন। একাদশ সংসদ নির্বাচনের ৫০টি সংরক্ষিত নারী আসনের মধ্যে ৪৯ জন বিনা প্রতিদ্বদ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের ৪৩ জন, জাতীয় পার্টি চারজন, ওয়ার্কার্স পার্টির একজন এবং স্বতন্ত্র একজন রয়েছেন।
রুমিন ফারহানার রয়েছে বাকপটুতা ও ক্ষুরধার যুক্তি দেয়ার সক্ষমতা। বিএনপির কূটনৈতিক উইং শাখায় গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করছেন। টিভি টক শোসহ দলের বিভিন্ন সেলেও কাজ করছেন তিনি। তিনি ভাষা সৈনিক, ডেমোক্রেটিক লীগের প্রতিষ্ঠাতা মরহুম অলি আহাদের মেয়ে।
আপনার মতামত লিখুন :