এইচ এম জামাল: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সলিমুল্লাহ মুসলিম হলে (এসএম হল) ডাকসুর ভিপি নুরুল হক নুর ও তার সঙ্গীদের ওপর হামলার ঘটনায় তদন্ত প্রতিবেদন জমা হয়েছে। গত ৭ মে হল প্রাধ্যক্ষ মাহবুবুল আলম জোয়ার্দারের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামানের কাছে ওই প্রতিবেদন জমা দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তদন্ত কমিটির প্রধান অধ্যাপক সাব্বীর আহমেদ।
তদন্ত প্রতিবেদন সম্পর্কে এসএম হলের আবাসিক এই শিক্ষক বলেন, আমাদের কাজ ছিলো পুরো ঘটনার তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেয়া। আমরা সে অনুযায়ী কাজ করেছি। এ নিয়ে আর কোনো তথ্য প্রদানের এখতিয়ার আমার নেই।
এ বিষয়ে ঢাবির উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মুহাম্মদ সামাদ বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের যেকোনো তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন জমার পর সিন্ডিকেটে পাঠিয়ে দেয়া হয়। সিন্ডিকেটে গিয়েই খোলা হয়, তার আগে কেউ দেখেন না। তবে তদন্ত প্রতিবেদন দেখার একমাত্র এখতিয়ার রয়েছে উপাচার্যের।
প্রতিবেদন খুলে দেখার পর তিনি যদি মনে করেন যে, এই জায়গায় সমস্যা রয়েছে, সেখানে কাজ করার বা ব্যবস্থা নেয়ার উপায় আছে, তাহলে তিনি সংশ্লিষ্টদের কাছে তা পাঠিয়ে দেন বা দিতে পারেন। আমার জানা মতে, উপাচার্য প্রতিবেদনটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরকে মার্ক করে দিয়ে দিয়েছেন এবং দেখতে বলেছেন যে এর মধ্যে কী রয়েছে, যোগ করেন তিনি। তার ভাষ্যে, এসব একটি-দুটি হামলার সত্য অনুসন্ধান করে জড়িতদের সঠিকভাবে শাস্তি দেয়া হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য ভালো হয়। একটি হামলার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলে আরও পাঁচটি হামলা নিয়ন্ত্রণ করা যায়। পরবর্তীতে আর কেউ সাহস পায় না।
ওদিকে এসএম হলে হামলার ঘটনায় তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়া পরবর্তী কার্যক্রম সম্পর্কে জানতে চাইলে ঢাবি প্রক্টর একেএম গোলাম রব্বানী বলেছেন, এসএম হলে হামলার ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশাসনিকভাবে তদন্ত চলছে ও তদন্ত প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে। তবে তদন্ত কমিটির প্রধান বলেছেন যে প্রতিবেদন জমা দেয়া হয়েছে আর আপনি বলছেন তদন্ত চলছে, কোনটি বিশ্বাসযোগ্য? জানতে চাইলে প্রক্টর বলেন, তদন্তপ্রক্রিয়া বলেছি আপনাকে। কারণ-এটি একটি প্রসেস তো। এর পরবর্তী...প্রক্রিয়াধীন আছে। কী হবে, সেটি আমরা দেখছি।
এসব বিষয়ে ডাকসুর ভিপি নুরুল হক নুর বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে আমরা একটা অশুভ তৎপরতা দেখতে পচ্ছি। প্রশাসন বরাবরই ক্ষমতাসীন দলের ছাত্রসংগঠনের সন্ত্রাসী কার্যক্রমকে প্রশ্রয় দিয়ে আসছে। ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেয়ার যে গতানুগতিক প্রবণতা, তাদের মধ্যে সেটিই প্রকট হয়ে উঠছে।
আপনার মতামত লিখুন :