শিরোনাম
◈ চট্টগ্রামে জুতার কারখানায় আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৮ ইউনিট ◈ জিয়াও কখনো স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেনি, বিএনপি নেতারা যেভাবে করছে: ড. হাছান মাহমুদ ◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ উন্নয়ন সহযোগীদের একক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী

প্রকাশিত : ১৯ মে, ২০১৯, ০৯:০৪ সকাল
আপডেট : ১৯ মে, ২০১৯, ০৯:০৪ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সাত বছর পর শিকলমুক্ত হলো শিশু বাদল

তৌহিদুর রহমান নিটল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া : সাত বছরের শিকলে বাঁধা জীবন থেকে মুক্তি মিলেছে শিশু বাদলের। ৯ বছর বয়সী মানসিক প্রতিবন্ধী শিশু বাদলকে শনিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের মৌলভীপাড়া এলাকার একটি বাসা থেকে মুক্ত করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানা পুলিশ। শিশুটির তিন মাস বয়সে বাবা ও দুই বছর বয়সে মা তাকে ছেড়ে চলে যায়। দাদির কাছেই অনেকটা অমানবিকভাবে বেড়ে ওঠছিল বাদল।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ১০ বছর আগে জেলার সরাইল উপজেলার শাহবাজপুর ইউনিয়নের শাহবাজপুর গ্রামের রিপন মিয়া ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদরের কালিসীমা গ্রামের মোমেনা বেগমের বিয়ে হয়। বিয়ের এক বছর পর রিপন-মোমেনা দম্পতির ঘরে জন্ম নেয় শিশু বাদল। তবে মাত্র তিন মাস বয়সেই বাদলকে ফেলে চলে যান বাবা রিপন মিয়া। পরে মা মোমেনা ও দাদি শাহানা বেগম বাদলকে লালন-পালন করতে থাকেন।

বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাদলের মানসিক প্রতিবন্ধকতার বিষয়টি ধরা পড়ে। বাদল স্বাভাবিকভাবে কথা বলতে পারত না এবং তার মধ্যে বেশি চঞ্চলতা ছিল। এ অবস্থায় দুই বছর বয়সে বাদলকে দাদির কাছে রেখে মা মোমেনাও চলে যান। বাবা-মা ছাড়া সন্তান নিয়ে বিপাকে পড়েন দাদি শাহানা। অন্যের বাড়িতে কাজ করে নাতিকে লালন পালন করতে থাকেন শাহানা। কিন্তু অর্থের অভাবে ঠিকমতো বাদলের চিকিৎসা করাতে পারেননি। প্রতিবেশীদের কাছে থেকে সাহায্য নিয়ে কিছুদিন চিকিৎসা করিয়েছেন। কিন্তু তাতে কোনো লাভ হয়নি। বাদলের চঞ্চলতার কারণে তাকে দিনের বেলা শিকলে বেঁধে রাখা হত। এদিকে গণমাধ্যমকর্মীদের কাছ থেকে শিশু বাদলকে শিকলে বেঁধে রাখার খবর পেয়ে তাকে মুক্ত করে দিয়েছে সদর মডেল থানা পুলিশ। পাশাপাশি বাদলের চিকিৎসা এবং তার দাদিকে পুনর্বাসনের ব্যবস্থার বিষয়টিও গুরুত্ব দিয়ে দেখছে পুলিশ।

এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার (ওসি) মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন বলেন, বাদল খুবই চঞ্চল প্রকৃতির। তার বিষয়টি নিয়ে আমরা বিভিন্ন জায়গায় কথা বলেছি। বর্তমানে সে দাদীর হেফাজতে আছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়