নুর নাহার : খসে পড়ছে পলেস্তরা। ছোট বড় ফাটল। ভেতর বাইরে বটের গাছ। খুলনাঞ্চলের সব চেয়ে বড় ব্যবসায়িক কেন্দ্র কে.ডি.এ নিউ মার্কেটের এখন এমনই জীর্ণ দশা। ৫৪ বছর আগে স্থাপিত স্থাপনাটির রক্ষণাবেক্ষণ হয় না দীর্ঘদিন। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ঢোকে বৃষ্টির পানি, নেই গাড়ি পার্কিংয়ের সুব্যবস্থাও। তাই খুব বেশি নিউ মার্কেটমূখি হন না ক্রেতারা। যমুনা নিউজ
বিষয়টি উপলব্ধি করেছেন খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ কে.ডি.এ। তাই ১২ একর জায়গায় আধুনিক স্থাপত্য শৈলীর ৬ তলা বিশিষ্ট নিউ মার্কেট নির্মাণের পরিকল্পনা নিয়েছে তারা। যেখানে একই ছাদের নিচে কাঁচা সবজি, মাছ, মাংস থেকে শুরু করে পাওয়া যাবে সব কিছুই।
কেডিএ নিউ মার্কেট পুনর্নির্মাণ প্রকল্পের উপ পরিচালক মোর্তজা আল মামুন বলেন, অত্যাধুনিক বলছি এই জন্যই, কারণ মার্কেটটির বেজমেন্টে পার্কিং ব্যবস্থা থাকবে। ৫ তালাতেও ফুড কোট থাকবে, সিনে প্লেক থাকবে এবং কিডস প্লেইং জোনও থাকবে।
প্রকল্প পরিচালক জানান নিউ মার্কেট এলাকায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৬ শতাধিক।
কেডিএ প্রকল্প পরিচালক জি এম মাসুদুর রহমান বলেন, এই প্রকল্পে ৬শত দোকানী অস্থায়ী ভিত্তিতে পুনর্বাসন করবো। যাতে তারা তাদের ব্যবসাটি চালিয়ে যেতে পারে।
কেডিএর এমন ইতিবাচক মনোভাবে খুশি দোকান মালিক সমিতি। তবে দোকান বরাদ্দের সময় স্বচ্ছতা বজায় রাখার তাগিদ ব্যবসায়িদের।
দোকান মালিক সমিতির সভাপতি গফফার বিশ্বাস বলেন, নতুন যে দোকান হবে কেডিএ একটি সহনশীল দাম ধরে তার ব্যবস্থও যেনো করে।খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের ৫৮ বছর ইতিহাসে এতো বড় মেঘা প্রকল্প এটিই প্রথম।