সাইদুর রহমান: পবিত্র মাস রমজানে সিয়াম সাধনাকে ফরজ করে আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘সুতরাং তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি এ মাস পাবে সে যেন সিয়াম পালন করে।’ (সূরা বাকারা : ১৮৫)।
এ মাসে আমলের মাধ্যমে অনেক বেশি সওয়াব লাভ করা যায়। এ প্রসঙ্গে হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, হজরত আবদুল্লাহ ইবন আব্বাস (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) এক আনসারি মহিলাকে বললেন, তুমি কেন আমাদের সঙ্গে হজ করতে যাওনি? তিনি বললেন, আমাদের পানি বহনকারী দুটি মাত্র উট রয়েছে। একটিতে আমার ছেলের বাবা (স্বামী) ও তার ছেলে হজ করতে গিয়েছেন, অন্যটি পানি বহনের জন্য আমাদের কাছে রেখে গিয়েছেন। তিনি বলেন, রমজান এলে তুমি ওমরা করবে। কেননা এ মাসের ওমরা একটি হজের তুল্য। সহিহ মুসলিমের অন্য বর্ণনায় আছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) এরশাদ করেছেন, রমজানে ওমরা একটি হজের তুল্য। (বোখারি : ১৭৮২, মুসলিম : ১২৫৬, মুসনাদে আহমাদ : ২০২৫)।
অন্য বর্ণনায় রয়েছে, উম্মে মাকিল (রা.) বলেন, ইয়া রাসুলুল্লাহ! আমি তো হজ করতে ইচ্ছুক। কিন্তু আমার উটটি দুর্বল। তিনি বললেন, তুমি রমজানে ওমরা করো। কেননা রমজানে ওমরা (সওয়াব হিসেবে) হজের তুল্য। (মুসনাদে আহমাদ : ২৭২৮৫)।
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, রমজানে প্রত্যেক মোমিন মুসলিমের দোয়া কবুল করা হয়। (বাযযার, সহি আত-তারগিব ওয়াত-তারহিব : ৯৮৮, মুসনাদে আহমাদ : ৭৪৫০)। এ মাসের প্রতি রাত ও দিনে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন বহু মানুষকে দোজখ থেকে মুক্তি দিয়ে থাকেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামিন রমজানের প্রতি রাতে ও দিনে বহু মানুষকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দিয়ে থাকেন। (আত-তারগিব ওয়াত-তারহিব, মুসনাদে আহমাদ : ৭৪৫০)।