শিরোনাম
◈ পুলিশকে স্মার্ট বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে: আইজিপি ◈ বিএনপির নেতাকর্মীদের কারাগারে পাঠানো সরকারের প্রধান কর্মসূচি: মির্জা ফখরুল ◈ উপজেলায় ভোট কম পড়ার বড় কারণ বিএনপির ভোট বর্জন: ইসি আলমগীর  ◈ আত্মহত্যা করা জবির সেই অবন্তিকা সিজিপিএ ৩.৬৫ পেয়ে আইন বিভাগে তৃতীয় ◈ কুমিল্লায় ব্যবসায়ী হত্যা মামলায় ৭ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৭ জনের যাবজ্জীবন ◈ গোপনে ইসরায়েলে অস্ত্র পাঠাচ্ছে ভারত, জাহাজ আটকে দিয়েছে স্পেন ◈ দ্বিতীয় ধাপে উপজেলা নির্বাচন: ৬১৪ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ৪৫৭ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন ◈ উপজেলা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে ৭১ শতাংশ প্রার্থী ব্যবসায়ী, কোটিপতি ১১৬ জন: টিআইবি ◈ ৩ বাসে ভাঙচুর, ট্রাফিক বক্সে আগুন, গুলিবিদ্ধ ১ ◈ ঢাকা মহানগরীতে ব্যাটারি-মোটরচালিত রিকশা চললেই ব্যবস্থা: বিআরটিএ

প্রকাশিত : ২৫ এপ্রিল, ২০১৯, ১২:৩১ দুপুর
আপডেট : ২৫ এপ্রিল, ২০১৯, ১২:৩১ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ববি’র ভিসির অপসারণের দাবিতে আমরণ অনশনে শিক্ষার্থীরা

বরিশাল প্রতিনিধি : ববি’র উপাচার্য প্রফেসর ড. এসএম ইমামুল হকের অপসারণের দাবিতে আমরণ অনশন কর্মসূচি শুরু করেছে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। বুধবার বেলা ১১টা থেকে যৌথ উদ্যোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনের মূল ফটকের সামনে আমরণ অনশন কর্মসূচি শুরু করা হয়। যা চলবে ভিসি অপসারণ না হওয়া পর্যন্ত।

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি লোকমান হোসেন জানান, এতদিন শিক্ষার্থীরা ভিসির পদত্যাগ নয়তো পূর্ণ মেয়াদে ছুটিতে যাওয়ার লিখিত আবেদনের দাবী জানিয়ে আন্দোলন কর্মসূচি পালন করে আসছে। যেখানে শিক্ষক-কর্মচারীরাও একাত্মতা প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্য করে রাজাকারের বাচ্চা বলে গালি দেয়ায় গত ২৬ মার্চ থেকে আন্দোলন শুরু হয়। বুধবার আন্দোলনের এক মাস পূর্ণ হয়েছে। কিন্তু এইসময়ের মধ্যে শিক্ষার্থীদের দাবি মানার বিষয়ে তেমন কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। বরং গত ২১ এপ্রিল ভিসি লিখিত আবেদনের মধ্যদিয়ে শিক্ষার্থীদের এককথায় সন্ত্রাসী বলেছে। আমাদের প্রশ্ন অহিংস আন্দোলন করে সন্ত্রাসী হলাম কিভাবে। তিনি বলেন, আন্দোলন কর্মসূচির ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ভিসির পদত্যাগ নয় অপসারনের দাবীতে আমরণ অনশন কর্মসূচি পালন শুরু করেছি। যেখানে একাত্মতা প্রকাশ করে শিক্ষকরাও আমাদের সাথে রয়েছেন। দাবি না মানা পর্যন্ত কর্মসূচি চলবে।

এদিকে টানা ৩০দিন ধরে ক্লাশ ও পরীক্ষা বন্ধ রেখে আন্দোলন কর্মসূচি চলার কারণে সেশন জটের শঙ্কা দেখা দিয়েছে ববিতে। তবে শিক্ষক নেতারা জানিয়েছেন, শিক্ষার্থীদের দাবি যৌক্তিক বলেই তাদের সাথে শিক্ষকরা একাত্মতা প্রকাশ করেছে। আর দীর্ঘ সময়ের আন্দোলনে যে ক্ষতি হয়েছে তা অধিক সময় ও পরিশ্রম দিলে অল্পদিনে পুষিয়ে নেয়া সম্ভব হবে। তবে তারা আর ভিসি ইমামুল হকের অধীনে কাজ করতে চান না বলেও উল্লেখ করেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শফিকুল ইসলাম বলেন, ভিসি’র একটি লিখিত আবেদন প্রকাশ পেয়েছে। যেখানে তিনি বলেছেন ৫% শিক্ষার্থীর আন্দোলন এটি, বাকীরা নাকি তার পক্ষে। যা সম্পূর্ণ মিথ্যাচার। আর ৫% এর আন্দোলন হলে, বাকীরা সবাই তার পক্ষে থাকলে তিনি কেন বিশ্ববিদ্যালয়ে আসেন না। এদিকে বিগত সময়ের মতোই শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি সকাল থেকেই কর্মচারীরা ক্যাম্পাসে অবস্থান করছেন। তবে অবাঞ্ছিত ঘোষনা দেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিষ্ট্রার ও জনসংযোগ কর্মকর্তাসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের আন্দোলনের শুরু থেকেই ক্যাম্পাসে দেখা যায়নি। পাশাপাশি ২১ এপ্রিল ভিসির দেয়া ডাকে সারাদিয়ে বুধবারও কোন শিক্ষার্থী ক্লাশে যাওয়ার তৎপড়তা দেখায়নি। আবার ক্লাশ করানো নিয়ে শিক্ষকদেরও কোন তৎপড়তা ছিলো না।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়