নোয়াখালী প্রতিনিধি: বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার নিঝুম দ্বীপসহ বিস্তীর্ণ নিম্নাঞ্চল অস্বাভাবিক জোয়ারে প্লাবিত হয়েছে।
শুক্রবার (১৯ জুলাই) দুপুর থেকে স্বাভাবিকের চেয়ে কয়েক ফুট বেশি উচ্চতার জোয়ারের পানি প্রবেশ করায় বহু ঘরবাড়ি, সড়ক, খামার ও পুকুর পানিতে তলিয়ে যায়। মাছের ঘেরের মাছ ভেসে গেছে। তবে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির খবর এখনো পাওয়া যায়নি।
উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্র জানায়, দুপুর সাড়ে ১২টার পর থেকে হঠাৎ করে জোয়ারের পানি বাড়তে থাকে। এতে নামার বাজার (শতফুল), বন্দরটিলা, চর আবদুল্লাহসহ বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়। চলাচলের প্রধান সড়কগুলো পানির নিচে চলে যায়, ফলে হাজারো মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়ে।
স্থানীয়রা জানান, পুকুর-ঘের ভেসে যাওয়া ছাড়াও অনেক বসতঘরে পানি ঢুকে পড়েছে। কিছু পরিবার নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিতে বাধ্য হয়েছে।
প্রাকৃতিক দুর্যোগের শঙ্কায় হাতিয়া-চট্টগ্রাম ও হাতিয়া-নোয়াখালী নৌরুটে লঞ্চ, স্পিডবোট ও ট্রলার চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করেছে স্থানীয় প্রশাসন।
নিঝুম দ্বীপ ইউনিয়নের বাসিন্দা আবুল হোসেন বলেন, “জোয়ারে দ্বীপের সব পুকুর ও খামার ভেসে গেছে। প্রধান সড়কসহ সব পথঘাট পানির নিচে। বসতঘর ও কৃষিজমিও প্লাবিত হয়েছে।”
স্থানীয় আরেক বাসিন্দা আজগর উদ্দিন বলেন, “প্রতিবছর ঘরবাড়ি, দোকান, গবাদিপশু ও ফসলি জমি জোয়ারে ভেসে যায়। অথচ এখনো এখানে কোনো স্থায়ী বেড়িবাঁধ নেই। আমরা আর ত্রাণ চাই না, চাই টেকসই সমাধান। এটা করুণা নয়, আমাদের অধিকার।”
ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান লাভলী বেগম বলেন, “চলাচলের প্রধান সড়কসহ প্রায় পুরো ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে। বিকেল নাগাদ পানি কিছুটা কমতে শুরু করে।”
হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আলাউদ্দিন জানান, অস্বাভাবিক জোয়ারে নিঝুম দ্বীপের বেশির ভাগ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণের কাজ চলছে।