শিরোনাম
◈ কুমিল্লায় বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নিহত ৫, আহত ৭ ◈ নাইজেরিয়ায় মসজিদে তালা দিয়ে আগুন, ১১ মুসল্লির মৃত্যু ◈ র‌্যাবের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হচ্ছে, এমন দাবি মিথ্যা: যুক্তরাষ্ট্র ◈ শেখ হাসিনার ৪৪তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ ◈ স্লোভাকিয়ার প্রধানমন্ত্রীর প্রাণহানি চেষ্টার নিন্দা জানালেন শেখ হাসিনা ◈ শেখ হাসিনাকে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রীর অভিনন্দন  ◈ আইনি সহায়তা দিতে ‘পরামর্শ কর্মকর্তা’ নিয়োগ দেবে সরকার ◈ মিঠাপানির ঝিনুকে উৎপাদিত মুক্তার গহনা প্রধানমন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর  ◈ কোরবানিতে চাহিদার চেয়ে পশু বেশি: প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী ◈ বাংলাদেশকে নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য ভারত সকল কার্যক্রম পরিচালনা করছে: মির্জা ফখরুল

প্রকাশিত : ২০ এপ্রিল, ২০১৯, ০১:০০ রাত
আপডেট : ২০ এপ্রিল, ২০১৯, ০১:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

রাজধানীতে ডায়রিয়ার প্রকোপ, উদরাময়ে প্রচন্ড রোগীর চাপ

নিউজ ডেস্ক : রাজধানী ও এর আশপাশের এলাকায় ব্যাপক হারে ডায়রিয়ার প্রকোপ দেখা দিয়েছে। আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্রে (আইসিডিডিআরবি) গত এক সপ্তাহে প্রতিদিন ৬শ থেকে ৮শ ডায়রিয়ার রোগী আসছে। অর্থাৎ প্রতি দুই মিনিটে ভর্তি হচ্ছে একজন রোগী।

এ সময় পানি, বাসি-পচা খাবার খাওয়া থেকে সবাইকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। আইসিডিডিআরবিতে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত এক শিশুর মা জানান, পানির মতো পাতলা পায়খানা শুরু হয়। এ ছাড়া পেট প্রচুর ফাঁপা ছিল। তিন দিন ধরে এখানে আছেন। খাবার খাওয়ার পরেই বমি করে ফেলে, এ জন্য ডাক্তার বলেছেন, পাঁচ মিনিট পর পর খাওয়াতে। ডায়রিয়ায় আক্রান্ত আরেক শিশুর মা বলেন, চারটা স্যালাইন লাগানোর পরে কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসছে। উনারা স্যালাইন খুলে দিয়ে খাবার স্যালাইন দিয়েছেন। শুধু শিশুই নয়, ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন সব বয়সের রোগীই।

রাজধানীর যাত্রাবাড়ী, মিরপুর, বাড্ডা, লালবাগসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মহাখালীর আইসিডিডিআরবিতে গত এক সপ্তাহে ভর্তি হয়েছেন কয়েক হাজার রোগী। ডায়রিয়ায় আক্রান্ত এক বৃদ্ধ বলেন, 'পয়লা বৈশাখে শুধু খাওনডা একটু ভালো দিছি। গরুর মাংস খাইলাম, এর পরেই রাতে দুবার পাতলা পায়খানা হইছে।' জানা গেছে, হাসপাতালটিতে শয্যা ৪২৪টি হলেও অতিরিক্ত রোগী সামাল দিতে হাসপাতালের সামনে তাঁবু টানিয়ে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

এ ব্যাপারে আইসিডিডিআরবির পরিচালক ডা. আজহারুল ইসলাম খান বলেন, 'এখন আমরা গড়ে প্রায় সাড়ে ৮০০ রোগী পাচ্ছি। এর মধ্যে ৬৫ থেকে ৭০ ভাগই বয়স্ক ও বাকিরা শিশু। সিভিয়ার ডিহাইড্রেশনের সংখ্যা প্রায় ৪০ শতাংশ। পানির সমস্যাটাই মূল সমস্যা। যেসব জায়গা থেকে বেশি রোগী আসছেন, সেসব জায়গায় আইডিসিআরবি তাদের লোক পাঠাবে। তারা দেখবেন, ঘটনা কী।'

ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার কারণ সম্পর্কে ডা. আজহারুল ইসলাম বলেন, 'গরমে পানির যেমন চাহিদা বেড়ে গেছে, সেখানে স্বাভাবিকভাবেই বাইরের লোকজন বেশিরভাগ দূষিত পানি পান করছে। সঙ্গে সঙ্গে রাস্তার ধারে যে খাবার-দাবার, জুস বিক্রি হচ্ছে, এগুলো দ্রম্নত নষ্ট হয়ে যায়।' আসন্ন রমজানে আক্রান্তের হার কমবে বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা।

সূত্র : যায়যায়দিন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়