শিরোনাম
◈ ভুটানের রাজার সঙ্গে থিম্পু পৌঁছেছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ চট্টগ্রামের জুতার কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে ◈ জিয়াও কখনো স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেনি, বিএনপি নেতারা যেভাবে করছে: ড. হাছান মাহমুদ ◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত : ১৬ এপ্রিল, ২০১৯, ১১:৩৭ দুপুর
আপডেট : ১৬ এপ্রিল, ২০১৯, ১১:৩৭ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

দ্বীপজেলা ভোলায় সয়াবিনের বাম্পার ফলন

মো. তৌহিদ এলাহী : দেশের একমাত্র দ্বীপজেলা ভোলা এবার সয়াবিনের বাম্পার খেল দেখাবে। সময় হয়েছে, আর দিন দশেক পরই কৃষকরা সয়াবিন তুলতে শুরু করবেন। লক্ষ্যমাত্রা যা ছিলো, মাঠ দেখেই বোঝা যাচ্ছে, টার্গেটের চেয়ে অনেক বেশি সয়াবিন উৎপাদিত হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূল থাকলে কৃষকের মুখের হাসি আরো আরো প্রাণময় হবে, লাভের খাতায় বেশ ভালো টাকাই যোগ হবে।

জেলায় চলতি মৌসুমে সয়াবিনের ব্যাপক আবাদ হয়েছে। এরই মধ্যে এখানে আবাদ কার্যক্রম লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করে ৭ হাজার ৫৭২ হেক্টর জমিতে সম্পন্ন হয়েছে। নির্ধারিত জমি থেকে ১৩ হাজার ৪৬২ মে.টন সয়াবিন উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। শেষ পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে জেলায় সয়াবিনের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করছে কৃষি বিভাগ। আর সয়াবিন তেল ছাড়াও নানা কাজে ব্যবহার হওয়ায় কৃষকের এর প্রতি আগ্রহ বাড়ছে। আলোকিত বাংলাদেশ।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক বীনয় কৃষ্ণ দেবনাথ জানান, জেলায় এ বছর সয়াবিনের মোট লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৭ হাজার ৫৬৩ হেক্টর জমিতে। বিপরীতে ৯ হেক্টর জমিতে আবাদ বেশি হয়েছে। পোলট্রি খামার, চায়নিজ ও রেস্তোরাঁয় সয়াবিনের ব্যবহার বৃদ্ধি পাওয়ায় কৃষকও ঝুঁকছেন সয়াবিনের প্রতি।

তিনি বলেন, সয়াবিনের পাতা পড়ে জমিতে সার হয়। ফলে জমির উর্বরা শক্তি বাড়ে। সয়াবিন চাষে কৃষককে সব ধরনের পরামর্শ সেবা দেওয়া হচ্ছে। যদি বড় ধরনের কোনো প্রাকৃতিক বিপর্যয় না হয় তবে এখানে বাম্পার ফলন হবে বলে আশা করেন এ কৃষি কর্মকর্তা।

উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মৃত্যুঞ্জয় তালুকদার বলেন, মাঘের শুরুর দিকে জেলায় সয়াবিনের আবাদ আরম্ভ হয়। বৈশাখের মাঝামাঝি সময়ে ফসল ঘরে তুলবেন কৃষক। এখানকার চরাঞ্চলের বিস্তীর্ণ প্রান্তরে সয়াবিন অধিক পরিমাণ হয়। এখানে মূলত সোহাগ ও বাড়ি সয়াবিন-৪ এর আবাদ বেশি হয়।

কৃষি কর্মকর্তারা বলেন, সয়া আটা, সয়া লুচি, সয়া শষ-দুধসহ বিভিন্ন পুষ্টিকর-মজাদার খাবার তৈরি হয় সয়াবিন দিয়ে। সয়াবিন চাষে রোগ-বালাইয়ের আক্রমণ তেমন না থাকায় ফলন ভালো হয়। তাই সাম্প্রতিক সময়ে জেলায় সয়াবিন চাষ বৃদ্ধি পেয়েছে।

জেলার সবচেয়ে বেশি সয়াবিন চাষ হয়েছে দৌলতখান উপজেলায়। এ উপজেলায় ৪ হাজার ৬৫৫ হেক্টর জমিতে সয়াবিন চাষ হয়েছে। এখানকার মেঘনা নদীর মাঝে জেগে উঠা চরে শোভা পাচ্ছে সয়াবিনের ক্ষেত। কথা হয় এ চরের সয়াবিন চাষি রহিম মিয়া, আনোয়ার হোসেন, কবির হোসেন ও ফিরোজ আলীর সঙ্গে। তারা জানান, কয়েক বছর ধরে তারা সয়াবিন চাষ করছেন। এবার প্রত্যেকে ২ একর করে জমিতে সয়াবিন আবাদ করেছেন। মাঠে ফসলের অবস্থাও বেশ ভালো রয়েছে। বর্ষা শুরুর আগেই সয়াবিন ঘরে তোলা হয়। অল্প কিছুদিন পরেই ফসল কাটা হবে। অপর চাষি মোজাম্মেল ও ফরহাদ মাঝি বলেন, মাঠপর্যায়ের কৃষি কর্মকর্তারা নিয়মিত আমাদের ফসলের মাঠ পরিদর্শন করে যান। এখন পর্যন্ত কোনো উল্লেখযোগ্য সমস্যা নেই। মাঠপর্যায়ের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা বেনজীর আহাম্মদ বলেন, কৃষকের বীজ রোপণ থেকে শুরু করে ফসল কর্তন পর্যন্ত আমাদের সেবা অব্যাহত আছে। অনেক সময় কৃষক ফোন করলে আমরা তাদের সমস্যা সমাধানে ছুটে যাই।

সম্পাদনা : খালিদ আহমেদ ও সালেহ্ বিপ্লব

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়