শিরোনাম
◈ ভাইরাল অডিও: ঘুষ দাবির অভিযোগে এসআই চিরঞ্জীব ৬ ঘণ্টায় প্রত্যাহার ◈ কারফিউ, পথে পথে কাঁটাতারের বেড়া, ৫ই অগাস্ট ঢাকার সকাল কেমন ছিল? ◈ গণঅভ্যুত্থান দিবসে বেনাপোল বন্দরে আমদানি, রফতানি বন্ধ ◈ ড. ইউনূসের ঐতিহাসিক ভাষণ: নির্বাচন ঘোষণা ও ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ আসতে পারে আজই ◈ ঢাকাসহ ৬ অঞ্চলে ঝড়ের আভাস ◈ মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে নাইক্ষ্যংছড়ি-ঘুমধুম সড়ক! ◈ প্রথম ফ্লাইট অবতরণ করল শাহজালালের তৃতীয় টার্মিনালে ◈ টপ এন্ড টি-‌টো‌য়ে‌ন্টি সি‌রিজ খেল‌তে  অস্ট্রেলিয়ায় যাচ্ছে বাংলাদেশ ‘এ’ দল ◈ ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে ভোটগ্রহণের ব্যাপক প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসি ◈ বাংলাদেশ-পাকিস্তান সম্পর্ক নিশ্চয়ই ভারত ঠিক করবে না: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

প্রকাশিত : ০৫ এপ্রিল, ২০১৯, ০৩:৩৬ রাত
আপডেট : ০৫ এপ্রিল, ২০১৯, ০৩:৩৬ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

তাজউদ্দীন আহমদের পনেরোটি অসাধারণ উক্তি

১. ‘শিক্ষা গ্রহণ করে যদি আমরা বাস্তব জীবনে কাজে লাগাতে না পারি সে শিক্ষার কে নো মূল্য নেই।’ ২.‘লেখাপড়া জানতে হয় নিজের বিবেককে শান দেয়ার জন্য। শিক্ষার উদ্দেশ্য শুধুমাত্র চাকরি নয়। শিক্ষা দিয়ে বিবেককে উন্নত করাÑএই ব্রত নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।’ ৩.‘যতো সুন্দর ভাষা ও শব্দ দিয়ে সংবিধান লেখা হোক না কেন, জাতির জীবনে তা প্রয়োগ না হলে সেটা অর্থহীন হয়ে পড়বে।’ ৪. ‘ভেতরে ইঁদুর রেখে বাইরে মাটি দিলে সমস্যার সমাধান হবে না।’ ৫. ‘কৃষকরা জাতির সম্পদ, আমরা তাদের জন্য গর্ববোধ করি।’ ৬. ‘বক্তৃতা কমাতে হবে। এখন ভেবে দেখতে হবে বক্তৃতায় যা বলা হয়েছে তা করা হয়েছে কিনা।’ ৭.‘ঘুম পাড়ানিয়া গান আমাদের গাইলে চলবে না, যে গান আমাদের কঠোর পরিশ্রম করার জন্য জাগিয়ে রাখবে, সে গান আমাদের গাইতে হবে। ৮. ‘আমাদের বুদ্ধিজীবীরা দেশের সত্যিকার সমস্যা তুলে ধরবেন এবং সমাধানের ইঙ্গিত প্রদর্শন করবেন, এটাই কামনা করি। অন্ধভাবে আমাদের শুধু প্রশংসা করলেই চলবে না।’ ৯. ‘দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে যারা বড় বড় কথা বলেন, দুর্নীতিবাজ ধরা পড়লে ছেড়ে দেয়ার জন্য তাদের অনেকেই ওকালতি করে। এমনিভাবে প্রত্যেক দুর্নীতিপরায়ণরাই যদি কারো না কারো ভাই ও খালু হয় তাহলে সরকার কার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে?’ ১০. ‘দেশের কাছে কিছু চাওয়ার আগে দেশকে আপনি কতোটুকু দিয়েছেন, তা বিচার করুন।’ ১১. ‘শুধু বড় বড় কথা বলে এবং অপরের কাঁধে দোষ চাপিয়ে কোনো সমস্যার সমাধান করা যায় না।’ ১২. ‘বর্তমানে জাতীয় দুর্যোগকালে উট পাখির মতো বালিতে মাথা গুঁজে থাকলে চলবে না। বাংলাদেশের মানুষকে বাঁচাতে হবে।’ ১৩. ‘সত্য কথা বলতে বলতে নিজের গর্দান যাওয়ার পর্যায়ে এসেছি। কিন্তু এতে আমি ভিত নই। মরণ আসার আগে কেউই মারতে পারবে না।’ ১৪. অনেকে আমাকে সত্য বলতে নিষেধ করেছেন, কিন্তু আমি সত্য কথা বলে যাবো। সময় আসছে না, বরং সময় দ্রুত চলে যাচ্ছে। এখন যদি মানুষের জন্য কিছু করা না যায়, তাহলে আর কোনোদিনই যাবে না।’ ১৫. ‘আমি দেশের জন্য এমনভাবে কাজ করবো যেন দেশের ইতিহাস লেখার সময় সবাই এ দেশটাকেই খুঁজে পায়, কিন্তু আমাকে হারিয়ে ফেলে।’
উপরের সকল বক্তব্য একজন মানুষের। একজন তাজউদ্দীন আহমদের। ভাবলে অবাক লাগে প্রতিটা বক্তব্য কতোটা সুচিন্তিত, কতোটা প্রাসঙ্গিক এখনো। আমাদের দুর্ভাগ্য, তাকে বড় অকালে হারিয়েছি আমরা। আমাদের সৌভাগ্য, তিনি এদেশে জন্মেছিলেন। সংগৃহীত

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়