শিরোনাম
◈ জাতীয় পতাকার নকশাকার শিব নারায়ণ দাস মারা গেছেন ◈ ইরানের ইস্পাহান ও তাব্রিজে ইসরায়েলের ড্রোন হামলা, ৩টি ভূপাতিত (ভিডিও) ◈ ভেটোর তীব্র নিন্দা,মার্কিন নীতি আন্তর্জাতিক আইনের নির্লজ্জ লংঘন : ফিলিস্তিন ◈ স্কুল পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের গল্প-প্রবন্ধ নিয়ে সাময়িকী প্রকাশনা করবে বাংলা একাডেমি ◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম  ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ চিকিৎসকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সংসদে আইন পাশ করব: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক

প্রকাশিত : ২৭ মার্চ, ২০১৯, ০৯:৫২ সকাল
আপডেট : ২৭ মার্চ, ২০১৯, ০৯:৫২ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

তৃণমূলকে চাঙ্গা করতে স্কাইপিতে তারেক

ডেস্ক রিপোর্ট : হতাশ বিএনপিকে চাঙ্গা করার উদ্যোগ নিয়েছে দলের হাইকমান্ড। নিয়মিত জেলা নেতাদের সঙ্গে স্কাইপিতে কথা বলছেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এরই মধ্যে অন্তত ৩০ জেলার শীর্ষ পর্যায়ের নেতার সঙ্গে কথা বলেন তিনি। সংশ্লিষ্ট জেলার সাংগঠনিক অবস্থা জানার পাশাপাশি করণীয় কী- এমন নানা বিষয়ে তৃণমূল নেতাদের মতামত নেন তিনি। এরপর নেতা-কর্মীদের হতাশা কাটিয়ে দলকে সুসংগঠিত করার পাশাপাশি যে কোনো মূল্যে ঐক্য ধরে রাখার দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য দেন তারেক রহমান। ২০ দলীয় জোটের শরিক দল জামায়াতের সঙ্গে সম্পর্ক রাখা না রাখা নিয়েও মতামত নেওয়া হচ্ছে। অধিকাংশ জেলার নেতারা এ ব্যাপারে সম্পর্ক না রাখার পক্ষেই মত দিচ্ছেন। একই সঙ্গে আগামী দিনে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি আন্দোলনে অংশ নিতে তৃণমূল নেতাদের প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বানও জানান বিএনপির এই শীর্ষ নেতা। দলীয় সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা যায়, রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের দ্বিতীয়তলায় প্রায় প্রতিদিনই অন্তত দুটি জেলার নেতাদের সঙ্গে স্কাইপিতে বৈঠকে বসছেন তারেক রহমান। সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও চাঁদপুরের জেলা পর্যায়ে বেশ কয়েকজন নেতার সঙ্গে কথা বলেন তিনি। এর মধ্যে ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর, রংপুর, লালমনিরহাট, বগুড়া, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, জয়পুরহাট, বরিশাল মহানগর, উত্তর, বরিশাল দক্ষিণ, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান, রাঙামাটি, চট্টগ্রাম উত্তর, চট্টগ্রাম দক্ষিণ এবং জামালপুরসহ ৩০টি জেলার নেতাদের সঙ্গে কথা বলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। প্রথমে একে একে সবার বক্তব্য শুনেন তিনি। এরপর শেষে দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য দেন। বৈঠকে বিএনপির সিনিয়র নেতাদের মধ্যে শুধু দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী অংশ নিচ্ছেন।

এ প্রসঙ্গে রিজভী আহমেদ বলেন, ‘৩০টি জেলার নেতাদের সঙ্গে কথা বলেছেন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। বাকি জেলার নেতাদের সঙ্গেও পর্যায়ক্রমে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। বৈঠকে তারেক রহমান তৃণমূল নেতাদের কথাবার্তা শুনছেন এবং দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য দিচ্ছেন।’
তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বিগত সময়ে আন্দোলন সংগ্রামে ব্যর্থতার জন্য কেন্দ্রীয় নেতাদের বিরুদ্ধেও তারেক রহমানকে খোলামেলা কথা বলছেন তারা। জামায়াত সম্পর্কেও নেতিবাচক মতামত দেওয়া হচ্ছে। জামায়াতের কারণে বিএনপির ভাবমূর্তি ক্ষুণœ হচ্ছে বলেও তৃণমূল নেতাদের অভিযোগ। ২০ দলীয় জোট থেকে জামায়াতকে বাদ দেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন তারা।

বিএনপির রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু বলেন, ‘নানা কারণে নেতা-কর্মীদের মধ্যে এক ধরনের হতাশাভাব চলে এসেছে। তাদের চাঙ্গা করতেই নানা উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। যেসব জেলায় অসম্পূর্ণ কমিটি রয়েছে তা পূর্ণাঙ্গ করতে একটি সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হচ্ছে। জামায়াত ইস্যুতেও নেতাদের মতামত নেওয়া হচ্ছে। তাছাড়া আমাদের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া জেলে। তাকে মুক্ত করার জন্য রাজপথে গণতান্ত্রিক আন্দোলনের বিষয়েও কথাবার্তা হচ্ছে।’

জানা যায়, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর তৃণমূল বিএনপি বড় ধরনের ধাক্কা খায়। মাঠপর্যায়ের নেতা-কর্মীরা আশা করেছিলেন, একাদশে সরকার গঠন করতে না পারলেও বিএনপি অন্তত বিরোধী দলের আসনে বসবে। এমনভাবে দলের পরাজয় হবে তা মেনে নিতে কষ্ট হচ্ছে তাদের। এর মধ্যে মামলা, হামলাসহ সরকারের দমন-পীড়ন তো আছেই। এ অবস্থায় চরম হতাশায় নিমজ্জিত মাঠপর্যায়ের নেতা-কর্মীরা। এ সরকারের নির্ধারিত মেয়াদের আগে কোনো আশার আলোও দেখতে পাচ্ছেন না তারা। এর মধ্যে উপজেলা নির্বাচনকে ঘিরে তৃণমূলের অন্তত দেড়শ নেতাকে দলের সাধারণ পদ থেকেও বহিষ্কার করা হয়। ওইসব নেতার পাশাপাশি তাদের সমর্থকদের মধ্যে আরও হতাশা চলে আসে।

এদিকে কারাবন্দী দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। তাকে ঘিরেই নেতা-কর্মীদের সব আশা-ভরসা। কবে নাগাদ সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর মুক্তি মিলবে তাও স্পষ্ট নয়। এ নিয়েও তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের হতাশাবোধ কাজ করছে। তারা রাজপথের শক্ত কর্মসূচি চাইলেও কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব ধীরে চলার নীতি গ্রহণ করেছে। কেন্দ্রের ওপর ক্ষুব্ধ তৃণমূল নেতারা। সর্বশেষ রাজধানীর সুপ্রিম কোর্ট বার মিলনায়তনে এক গণশুনানি অনুষ্ঠানেও তৃণমূল নেতারা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। বেগম জিয়াকে ছাড়া নির্বাচনে যাওয়াই ঠিক হয়নি বলেও মন্তব্য করেন বেশ কয়েকজন নেতা। তাছাড়া নির্বাচনের অনিয়ম ও বেগম জিয়ার মুক্তি দাবিতে ভোটের পর কেন শক্ত কর্মসূচি দেওয়া হলো না তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেন মাঠপর্যায়ের নেতারা। এ প্রসঙ্গে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘রাজপথের জোরালো কর্মসূচি ছাড়া আমরা বেগম জিয়াকে মুক্ত করতে পারব না। আইনি প্রক্রিয়ায় বেগম জিয়ার মুক্তির সম্ভাবনাও কম।’ তবে আরেক স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘শিগগিরই দলকে গুছিয়ে আমাদের আন্দোলনে যেতে হবে।’

সূত্র : বাংলাদেশ প্রতিদিন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়