শিরোনাম
◈ বাবার ‘আদেশে’ এক ভাইয়ের চোখ তুলে নিলেন অপর দুই ভাই ◈ আজ ভোটের রোডম্যাপ: প্রবাসী ভোট থেকে সীমানা নির্ধারণে অগ্রাধিকার ◈ বাহুবলী: দ্য এপিক, ৫ ঘণ্টা ২৭ মিনিটের দীর্ঘতম সিনেমা ◈ দুঃখ প্রকাশ করলেন রুমিন ফারহানা ◈ ১১৪ সরকারি হাসপাতালে চালু হচ্ছে চিকিৎসা যন্ত্রপাতির ডিজিটাল পর্যবেক্ষণ ◈ ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণাকারী থালাপতি বিজয়ের বিরুদ্ধে মামলা ◈ অনলাইন জুয়ার দাপট ঠেকাতে বিল পাস, ভারতে নিষিদ্ধ ৫ অ্যাপ ◈ রিজার্ভ ফের ৩১ বিলিয়ন ডলার ছাড়াল ◈ বৃহস্পতিবার সব প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ ঘোষণা ◈ প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ, যা বললেন ডিএমপি

প্রকাশিত : ১৫ মার্চ, ২০১৯, ০৫:৪৬ সকাল
আপডেট : ১৫ মার্চ, ২০১৯, ০৫:৪৬ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

এ কে এম শহীদুল হক বললেন, মাদক ব্যবসায়ীরা দেশদ্রোহী ও মানবতাবিরোধী তাদের সমাজচ্যুত করা উচিত

আমিরুল ইসলাম : বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক ইন্সপেক্টর জেনারেল এ কে এম শহীদুল হক বলেছেন, যারা মাদক ব্যবসা করে তারা দেশদ্রোহী, সমাজ ও মানবতাবিরোধী, তাদের সমাজচ্যুত করা উচিত এবং আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করা অপরিহার্য। সূত্র : ইত্তেফাক

গত ১৬ ফেব্রুয়ারি টেকনাফে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে ১০২ জন মাদক কারবারি (যাদের ইয়াবা গডফাদারও বলা হয়) অস্ত্র ও মাদকদ্রব্যসহ আত্মসমর্পণ করে। এটা প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক জিরো টলারেন্স নীতির পলিসির আওতায় চলমান মাদকবিরোধী অভিযানেরই ফলাফল। মে ২০১৮ থেকে পুলিশ ও র‌্যাব মাদক কারবারিদের বিরুদ্ধে সাঁড়াশি অভিযান চালাচ্ছে। এ অভিযানে পুলিশ ও র‌্যাবের সঙ্গে এনকাউন্টারে প্রায় ৪০০ মাদক কারবারি নিহত হয়েছে বলে জানা যায়। টেকনাফেও কয়েকজন নিহত হয়েছে। পুলিশি অভিযানে ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে ওই মাদকস¤্রাটরা পুলিশের মাধ্যমে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে আত্মসমপর্ণ করে। এ ধরনের আত্মসমর্পণ সমাজে একটা ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে আশা করা যায়। মাদক কারবারিদের বিরুদ্ধে চলমান অভিযানকে আরো গতিশীল করবে এবং অন্যরাও অপরাধের পথ ছেড়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার জন্য উদ্বুদ্ধ হবে। মাদক চোরাচালানও হ্রাস পাবে।

আত্মসমর্পণকে কেন্দ্র করে টেকনাফ এলাকায় জনগণের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। বেশিরভাগ মানুষ আত্মসমর্পণকে স্বাগত জানিয়ে আশার আলো দেখতে পায়। আবার কেউ কেউ মনে করে, এতে তেমন কোনো ফল হবে না। তাদের কথা, আত্মসমর্পণকারীদের মাদক কারবারের নেটওয়ার্ক এলাকায় বিরাজ করছে। তারা বিচিত্র উপায়ে এবং নতুন নতুন এজেন্ট নিয়োগ করে মাদক তথা ইয়াবা চোরাচালান অব্যাহত রাখবে। তাদের এ কথার কিছুটা বাস্তবতাও দেখা যায়। আত্মসমর্পণের দিন এবং তারও পরবর্তী সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বিপুল সংখ্যক ইয়াবা উদ্ধার করেছে। এতো কিছু করেও মাদক কারবারিদের বিষদাঁত ভেঙে দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের দাবি, অভিযান ও আত্মসমর্পণের পর টেকনাফ দিয়ে ইয়াবার সরবরাহ প্রায় ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ কমে গেছে। কিন্তু পুরোপুরি বন্ধ হয়নি। পৃথিবীর কোথাও মাদককে শতভাগ নির্মূল করা সম্ভব হয়নি। যুক্তরাষ্ট্র মাদকের বিরুদ্ধে অভিযানের জন্য প্রতিবছর হাজার হাজার ডলার ব্যয় করে। তবুও প্রতিবেশী দেশ মেক্সিকো ও কলম্বিয়া থেকে মাদক আসা বন্ধ করতে পারেনি। তবে অনেক দেশেই মাদকের ভয়াবহ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে নাগরিকদের মধ্যে স্বস্তি আনতে পেরেছে। এক্ষেত্রে ইউরোপের দেশগুলো এবং এশিয়ার সিঙ্গাপুরকে দৃষ্টান্ত হিসেবে উপস্থাপন করা যায়। আমাদেরও সে লক্ষ্যে এগিয়ে যেতে হবে। মাদকের লাগাম ধরে মানুষের মধ্যে স্বস্তি ফিরিয়ে আনতে হবে। বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে রক্ষা করতে হবে। সরকার সে লক্ষ্য নিয়েই কাজ করছে। কিন্তু কাজটি বড়ই কঠিন।

মাদক কারবার যারা করে তাদের মধ্যে দেশপ্রেম, বিবেক, বিচারবুদ্ধি ও মানবিকতা লোপ পায়। তারা অমানুষ হয়ে যায়। টাকা রোজগারের নেশায় তারা কিশোর, তরুণ ও যুবকদের ধ্বংস করে দিচ্ছে। জাতিকে পঙ্গু বানিয়ে দিচ্ছে। একজন মাদক কারবারি কী একবারও চিন্তা করে না যে তার নিজের ছেলে অথবা মেয়েটি যদি মাদকাসক্ত হয়, তখন তার ও তার সংসারের পরিণতি কী হবে? মাদকাসক্ত ছেলে বা মেয়ের শেষ পরিণতি মৃত্যুর দিকে ধাবিত হওয়া। সংসারের সব সুখ-শান্তি বিনষ্ট হয়ে সংসার ধ্বংসের মুখে পতিত হয়। টাকা রোজগারের জন্য কোনো লোকেরই দেশ ও জাতির জন্য এতো বড় ক্ষতি করা উচিত নয়।

 

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়