শিরোনাম
◈ হাসিনা-পরবর্তী বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিভক্তি প্রকট ◈ দুই দানব ব্ল্যাক হোলের খোঁজ পেল বিজ্ঞানীরা, কী ঘটছে মহাবিশ্বে? (ভিডিও) ◈ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ২য় উচ্চতর গ্রেডে আইনি ছাড় ◈ বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা সুবিধা চালু করেছে মালয়েশিয়া ◈ শান্তির হ্যাটট্রিক, ভুটানকে সহ‌জেই হারা‌লো বাংলাদেশের মে‌য়েরা ◈ মেট্রো স্টেশনে বসছে এটিএম ও সিআরএম বুথ ◈ ১৬ই জুলাই রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা ◈ রহস্যময় নাকামোতো এখন বিশ্বের ১২তম ধনী, বিটকয়েন সম্পদ ১২৮ বিলিয়ন ডলার ◈ শাহবাগ মোড় অবরোধ করলো স্বেচ্ছাসেবক দল ◈ বিএসবির খায়রুল বাশারকে আদালত প্রাঙ্গণে ডিম নিক্ষেপ, কিল-ঘুষি

প্রকাশিত : ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১০:২৫ দুপুর
আপডেট : ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১০:২৫ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

৯১তম অস্কারের ভোটের সব ব্যালট এসে গেছে

ডেস্ক রিপোর্ট: ৯১তম অস্কারের ভোটের সব ব্যালট এসে গেছে। শোবিজের সবচেয়ে চাকচিক্যময় আয়োজন অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ডস অনুষ্ঠান দেখতে বিশ্বের কোটি কোটি দর্শক রবিবার (বাংলাদেশ সময় অনুযায়ী সোমবার) টিভি সেটের সামনে বসবে। তবে বেশিরভাগ মানুষই জানে না কীভাবে এই আসরে বিজয়ী নির্বাচন করা হয়।বিনোদন শিল্পের সঙ্গে যুক্ত প্রায় আট হাজার সদস্য এই তালিকা তৈরিতে অংশ নেয়। গত ১৯ ফেব্রুয়ারি ছিল ভোট দেওয়ার শেষ দিন। এবারও ২৪টি বিভাগে বিজয়ীদের পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে জাঁকজমকভাবে।
কারা ভোট দেন

যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসে ভিত্তিক অ্যাকাডেমি অব মোশন পিকচার আর্টস অ্যান্ড সায়েন্সেসের ভোটার সংখ্যা এখন ৭ হাজার ৯০২। অভিনয়শিল্পী, পরিচালক, প্রযোজক, কস্টিউম ডিজাইনারসহ ১৭টি শাখায় অ্যাকাডেমির সদস্যপদ বিভক্ত। ভোটার হতে প্রত্যেকের সক্রিয় থাকা জরুরি। নয়তো বিনোদন শিল্পে স্বতন্ত্র অবস্থান থাকতে হয়। আবেদনকারীকে দু’জন অ্যাকাডেমি সদস্যের পৃষ্ঠপোষকতা থাকা চাই, যারা নিজেদের শাখাকে উপস্থাপন করছেন। অস্কারজয়ী ও মনোনীতরা স্বয়ংক্রিয়ভাবে অ্যাকাডেমির সদস্য হওয়ার যোগ্যতা পান।
অ্যাকাডেমির বোর্ড অব গভর্নররা বছরে একবার আবেদনকারীদের পর্যালোচনা করে থাকেন। অভিজাত দলে কারা যোগ দেবেন তা নির্ধারণ করেন গভর্নররাই। সদস্যরা আজীবন ভোট দেওয়ার সুযোগ পাচ্ছিলেন। তবে ২০১৬ সাল থেকে নিয়ম করা হয়, একজন ভোটার সর্বোচ্চ ১০ বছর ভোট দিতে পারবেন। এরপর তা নবায়ন করতে হবে। এভাবে তিনবার ১০ বছর করে পূর্ণ করার পর আজীবন ভোটাধিকার পাওয়া যাবে। শোবিজে সক্রিয় নন এমন সবাইকে এড়িয়ে যাওয়াই এই পদক্ষেপের লক্ষ্য। তখন তারা এমেরিটাস সদস্য হয়ে যাবেন অর্থাৎ যারা ভোট দিতে পারবেন না।অ্যাকাডেমির সদস্য কারা নীতিগতভাবে অ্যাকাডেমি ভোটিং রোল প্রকাশ করে না। যদিও ব্যালটে ভোট দিতে পারার ব্যাপারে সদস্যরা ঠিকই মুখ খুলতে পারেন। ২০১৫ ও ২০১৬ সালে অভিনয়শিল্পী বিভাগে মনোনীত ২০ জনের মধ্যে একজনও কৃষ্ণাঙ্গ না থাকায় অস্কারস সো হোয়াইট হ্যাশট্যাগ আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।

এ কারণে ২০২০ সালের মধ্যে নারী ও সংখ্যালঘু সদস্য দ্বিগুণ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে অ্যাকাডেমি। ২০১৮ সালের জুনে আমন্ত্রিত ৯২৮ জনের নাম ঘোষণা করে অন্যরকম পদক্ষেপ নেয় অস্কার কর্তৃপক্ষ। তারা সবাই সম্মতি জানালে অ্যাকাডেমির ৩১ শতাংশ নারী ও ১৬ শতাংশ বিভিন্ন জাতির সদস্য হবে।

মনোনীতরা নির্বাচিত হন যেভাবে ১৭টি শাখার সদস্যরা নিজেদের দক্ষতা অনুযায়ী মনোনীতদের বেছে নেন। অভিনয়শিল্পী বিভাগে রয়েছে বৃহৎ ভোটিং দল। তারা সেরা অভিনেতা, পার্শ্ব অভিনেতা, অভিনেত্রী ও পার্শ্ব অভিনেত্রী বিভাগের মনোনয়ন কারা পাবেন তা নির্ধারণ করেন। একইভাবে পরিচালকরা বেছে নেন সেরা পরিচালক বিভাগে মনোনীতদের। সেরা বিদেশি ভাষার ছবি ও সেরা অ্যানিমেটেড ছবির মতো নির্দিষ্ট কয়েকটি পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন তালিকা চূড়ান্ত করে একটি বিশেষ কমিটি। আর অ্যাকাডেমির সব সদস্য ভোট দিয়ে ঠিক করে সেরা চলচ্চিত্র বিভাগে জায়গা পাবে কোনগুলো।

বিজয়ীরা নির্বাচিত হন যেভাবে অ্যাকাডেমির সব ভোটার মিলে বিজয়ীদের নির্বাচন করেন। ২৪টি বিভাগের মধ্যে ২৩টিতে সবচেয়ে বেশি ভোট পাওয়া ব্যক্তি বিজয়ী হন। তবে সেরা চলচ্চিত্র বিভাগের ব্যাপার আলাদা। ২০০৯ সাল থেকে অস্কার ভোটাররা পছন্দমাফিক মনোনীত ছবিগুলোকে সবচেয়ে ফেভারিট থেকে কম ফেভারিট র‌্যাংক দিয়ে থাকেন। এ বছর সেরা চলচ্চিত্র বিভাগে মনোনয়ন পেয়েছে আটটি ছবি। এগুলোর একটি যদি ৫০ শতাংশের বেশি ভোট পেয়ে যায় তাহলে সেটিই বিজয়ী হয়ে যাবে। অন্যথায় যুক্তরাজ্য ভিত্তিক হিসাবরক্ষণ প্রতিষ্ঠান প্রাইস ওয়াটার হাউস কুপারস তাৎক্ষনিক ভোট পদ্ধতির মাধ্যমে নিশ্চিত করে কোন ছবিটি অ্যাকাডেমির ভোটারদের মন কেড়েছে বেশি। অর্থাৎ প্রথমবার ভোটে যেসব ছবি কম নম্বর পেয়েছে সেগুলো বাদে বাকিগুলোর মধ্যে পুনরায় ভোট প্রদানের জন্য ব্যালট দেওয়া হয় সদস্যদের।

যেকোনও একটি ছবি ৫০ শতাংশের বেশি ভোট না পাওয়া পর্যন্ত এই প্রক্রিয়া চলতে থাকে। পুরস্কারের মাপ অস্কার পুরস্কার গ্রহণ করা যে কোনও পরিচালক, অভিনয়শিল্পী ও চলচ্চিত্র নির্মাণে যুক্ত সবার জন্য বিশেষ একটি মুহূর্ত। শিল্পী-কলাকুশলীদের কাছে কাঙ্ক্ষিত সোনালি ট্রফিটি ১৩ ইঞ্চি লম্বা। ৩ দশমিক ৮ কেজি তামার ওপর ২৪ ক্যারেট সোনার স্তর বসিয়ে বানানো হয় এটি।

অস্কার প্রচলনের ভাবনা যার, তিনি হলেন হলিউডের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান মেট্রো-গোল্ডওয়াইন-মেয়ারের (এমজিএম) প্রধান লুইস বি. মেয়ার। অ্যাকাডেমি অব মোশন পিকচার আর্টস অ্যান্ড সায়েন্সেসের প্রথম সভাপতি ছিলেন অভিনেতা ডগলাস ফেয়ারব্যাঙ্কস। ‘অ্যান্ড দ্য উইনার ইজ...’ কথাটির প্রচলন শুরু হয় ১৯৮৯ সালে। তবে বেশিরভাগ তারকা বিজয়ীর নাম ঘোষণার সময় এখন বলে থাকেন, ‘অ্যান্ড দ্য অস্কার গোজ টু...।’সূত্র: বাংলা ট্রিবিউন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়