শিরোনাম
◈ হাসিনা-পরবর্তী বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিভক্তি প্রকট ◈ দুই দানব ব্ল্যাক হোলের খোঁজ পেল বিজ্ঞানীরা, কী ঘটছে মহাবিশ্বে? (ভিডিও) ◈ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ২য় উচ্চতর গ্রেডে আইনি ছাড় ◈ বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা সুবিধা চালু করেছে মালয়েশিয়া ◈ শান্তির হ্যাটট্রিক, ভুটানকে সহ‌জেই হারা‌লো বাংলাদেশের মে‌য়েরা ◈ মেট্রো স্টেশনে বসছে এটিএম ও সিআরএম বুথ ◈ ১৬ই জুলাই রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা ◈ রহস্যময় নাকামোতো এখন বিশ্বের ১২তম ধনী, বিটকয়েন সম্পদ ১২৮ বিলিয়ন ডলার ◈ শাহবাগ মোড় অবরোধ করলো স্বেচ্ছাসেবক দল ◈ বিএসবির খায়রুল বাশারকে আদালত প্রাঙ্গণে ডিম নিক্ষেপ, কিল-ঘুষি

প্রকাশিত : ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ০২:৫৫ রাত
আপডেট : ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ০২:৫৫ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

প্রযুক্তি নয়, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় সবচেয়ে শক্তিশালী অস্ত্র গাছ

লিহান লিমা: সম্প্রতি গবেষণা করে বিজ্ঞানীরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য পৃথিবীর কাছে সবচেয়ে শক্তিশালী অস্ত্র ‘গভীর বনাঞ্চল’। নতুন এই গবেষণায় বলা হয়, বিশ্বকে যদি আবারো সবুজ বনাঞ্চলে আবৃত করা যায় তবে এটি মনুষ্যসৃষ্ট দশকব্যাপী নির্গত কার্বন-ডাই-অক্সাইড নিষ্কাষনে যথেষ্ট ভূমিকা রাখতে সক্ষম। দ্য ইন্ডিপেনডেন্ট

বিজ্ঞানীরা বলছেন, বিশ্বজুড়ে পার্ক ও অব্যবহৃত জমিতে আরো ১ লাখ ২০ হাজার কোটি গাছ রোপণ করা যাবে। ইকোলজিস্ট ড.থমাস ক্রেথার বলেন, ‘যদি এই লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়ন করা যায় তবে এটি হবে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় সবচেয়ে বড় ও কার্যকরি কৌশল।’

পৃথিবীতে গাছের সংখ্যা কত এটি নিয়ে কয়েকবার সমীক্ষা চালানোর পরও সঠিক তথ্য নিরুপণ করা যায় নি। স্যাটেলাইট এবং ভূমি ভিত্তিক সমীক্ষার পর ড. ক্রোথার ও তার সহকর্মীরা বলছেন, বিশ্বজুড়ে গাছের পরিমাণ ৩ লাখ কোটি। থমাস ক্রেথার বলেন, বর্তমানে ৩ লাখ কোটি গাছের ৪০০ গিগাটন কার্বন ডাই অক্সাইন নিষ্কাশন করে। যদি আরো ১ লাখ কোটি গাছের লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়ন করা যায় তবে আরো শত গিগাটন কার্বন নিষ্কাশন হবে। এর ফলে ১০ বছরের মধ্যে মনুষ্যসৃষ্ট দূষিত নির্গমন পুরোপুরি হ্রাস পাবে।

ইতোমধ্যে জাতিসংঘ ‘কোটি গাছের প্রচারণা’ শুর করলেও থমাস ক্রেথার বলছেন, এটি হওয়া উচিত ‘লাখো গাছের প্রচারণা।’ ইতোমধ্যে জাতিসংঘের এই প্রকল্পের আওতায় বিশ্বজুড়ে অব্যবহৃত জমিতে ১ হাজার ৭০০ কোটি গাছ রোপণ করা হয়েছে। ক্রোথার আরো বলেন, ‘কৃষি এবং শহুরে এলাকা আমাদের লক্ষ্য নয়, এই প্রকল্প হবে পতিত জমিতে, যা এই সময়ের সবচেয়ে বৃহত্তম চ্যালেঞ্জ জীব-বৈচিত্রের ক্ষয় এবং জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলা করবে। এছাড়া গাছ উন্নত বায়ু, নিরাপদ পানি, খাদ্য ও বাস্তুসংস্থানের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শহুরে পরিবেশ সবুজাভ গাছ মানুষকে স্বস্তি দেয়।’

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়