জীবননগর(চুয়াডাঙ্গা) প্রতিনিধি :চুয়াডাঙ্গা জীবননগর উপজেলার লক্ষীপুরে পাঁচ বছর বয়সের এক শিশুকে টাকা দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে বাড়ীর পার্শ্ববর্তী ভুট্টা ক্ষেতের মধ্যে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ধর্ষক চাচা ঘটনার পর এলাকা ছেড়ে পালিয়ে গেছে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, জীবননগর উপজেলার লক্ষীপুরের হতদরিদ্র শাহজামালের পাঁচ বছর বয়সের কন্যা স্থানীয় কওমী মাদ্রাসার ছাত্রী। ওই শিশু ছাত্রী বুধবার বিকাল চারটার দিকে তাদের বাড়ীর পার্শ্বে ফাঁকা স্থানে ঘোরাঘুরির সুযোগে প্রতিবেশী মৃত আব্দুল খালেকের ছেলে শাহ আলম ওরফে কাল্যা(৪০) তাকে পাঁচ টাকা দেয়ার প্রলোভন দিয়ে বাড়ীর পার্শ্ববর্তী একটি ভুট্টা ক্ষেতের মধ্যে নিয়ে যায়। সেখানে কুলাঙ্গার কাল্যা তাকে ধর্ষণ করে আহত করে। শিশুটি মেয়েটি চিৎকার দিয়ে বাড়ীতে এসে ঘটনার কথা বলে এবং মারাত্মক ভাবে অসুস্থ্য হয়ে পড়ে। এসময় জনরোষের কবল থেকে মুক্ত হতে পালিয়ে রক্ষা পায়।
শাহজামাল বলেন, কাল্যা আমার আপন ফুফাতো ভাই। কাল্যা একে একে সাতটি বিয়ে করেছে। কাল্যা আমার শিশু মেয়েকে ধর্ষণ করে পালিয়ে গেছে। বর্তমানে মেয়ের অবস্থা আশঙ্কাজনক। বৃহস্পতিবার সকালে থানায় মামলা দেব। কাল্যার আমি কঠিন শাস্তি দাবী করছি।
এব্যাপারে জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ গনি মিয়া বলেন, এ বিষয়ে এখনো কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি তবে রাত্রি ১১ টার দিকে আমার মোবাইলে কেউ একজন কল করে ঘটনাটি আমাকে জানান। আমি শোনা মাত্র জীবননগর হাসপাতালে গিয়ে ভিকটিম শিশুটিকে দেখে আসছি এবং শিশুটির বাবার সাথে ও হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসকের সাথে কথা বলেছি। হাসপাতালের চিকিৎসক শিশুটিকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে রেফার্ড করেছে। এই মুহুর্তে কিছুই বলা যাবেনা ডাক্তারের রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত। তবে আমারা লম্পট চাচাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চালাচ্ছি।