আশরাফ চৌধুরী রাজু, সিলেট: সিলেট নগরীর নয়াসড়ক কিশোরী মোহন উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ১৫ মিনিট পর প্রশ্নপত্র দেওয়া ও যথাসময়ে উত্তরপত্র নেওয়ার অভিযোগ করেছেন শিক্ষার্থীরা। এ অভিযোগে ১৭ জন শিক্ষার্থীর অভিভাবকদের পক্ষে মাওলানা আব্দুল করিম জেলা প্রশাসক বরাবরে কেন্দ্রের শিক্ষকদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগে উলেখ করা হয়, শনিবার গণিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষা শুরুর ১৫ মিনিট পর মেয়ে শিক্ষার্থীদের হিজাব খোলার জন্য বলা হয়। ছেলেদের টাই ধরে টানাটানি করেন শিক্ষকরা। এতে করে কেন্দ্রটির ১৪, ১৭, ১৮, ১৯ ও ২০ নং কক্ষে ১৫ মিনিট পর প্রশ্নপ্রত্র বন্টন করা হয়। আবার যথাসময়ে উত্তরপত্র ফেরত নেওয়া হয়। এ নিয়ে শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তারা উত্তরপত্র বিশেষভাবে মূল্যায়ন করার দাবি জানান।
এদিকে, পরীক্ষার নির্ধারিত সময় শেষ হতে না হতেই ঐ কেন্দ্রের অনেক শিক্ষার্থী পরীক্ষার হল থেকে বেরিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন। পরীক্ষার প্রশ্নপত্র দিতে ১৫ মিনিট দেরি হওয়ায় এবং সময়ের আগে উত্তর পত্র নিয়ে যাওয়ায় পুরোপুরি পরীক্ষা দিতে পারেননি তারা।
অন্যদিকে, বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী অভিযোগ ২০১৬ শিক্ষাবর্ষের সিলেবাসের পরীক্ষার প্রশ্ন দিয়ে দশ মিনিটের ভেতরে সেটা নিয়ে নতুন প্রশ্ন দেওয়া হয়েছে। এজন্য পরীক্ষা ১৫ মিনিট পরে নতুন করে শুরু করা হয়েছে।
কেন্দ্র সচিব ও এইডেড স্কুলের প্রধান শিক্ষক শমসের আলী বলেন, ২০১৬ সালের প্রশ্ন দেওয়ার অভিযোগ সত্য নয়। শুধুমাত্র বোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত একজন শিক্ষার্থীই ২০১৬ সালের প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা দিয়েছে।
হিজাব-টাই খুলে নেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে কেন্দ্রের যুগ্ম সচিব গৌরা ঘোষ বলেন, মেয়ে শিক্ষার্থীরা যাতে কানে কোন ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস নিয়ে পরীক্ষা দিতে না পারে, সেজন্য তাদের কান পর্যন্ত হিজাব খুলতে বলেছি। ছেলেদের টাই খুলে নেওয়ার অভিযোগ প্রমাণিত হলে দোষী শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সিলেট শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কবীর আহমদ বলেন, পরীক্ষা বিলম্বে শুরু হওয়ার অভিযোগ পেয়েছি। আমরা বিষয়টি তদন্ত করে দেখছি।