শিরোনাম
◈ ওড়না কেড়ে নিয়ে পুরুষ কর্মকর্তাদের উল্লাস, নারী বন্দিদের ভয়াবহ অভিজ্ঞতা ◈ রেকর্ড উৎপাদনের সুফল কোথায়? চালের বাজারের চালকের আসনে কারা? ◈ পবিত্র আশুরা আজ ◈ তরুণ ক্রিকেটার তানভীরের ফাইফারে সিরিজ সমতায় বাংলাদেশ ◈ 'শিক্ষা ও স্বাস্থ্য দখল করেছে জামায়াত': গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ◈ ১৪ হাজার কোটি রুপি কেলেঙ্কারি, যুক্তরাষ্ট্রে গ্রেপ্তার ভারতের নেহাল মোদি (ভিডিও) ◈ মোবাইল চুরির অভিযোগকে কেন্দ্র করে গ্রাম্য সালিস থেকে রক্তাক্ত ট্র্যাজেডি ◈ জাতীয় নির্বাচনে বাধা দেওয়ার শক্তি কারো নেই: কেরানীগঞ্জে বিএনপি সমাবেশে সালাহ উদ্দিন আহমদের হুঁশিয়ারি ◈ তুর্কমেনিস্তানকে কাঁ‌পি‌য়ে দি‌লো বাংলা‌দেশ, এশিয়ান কাপে যাচ্ছে ঋতুপর্ণারা ◈ চী‌নে জু‌নিয়র হ‌কি‌তে একদিনে বাংলাদেশ পুরুষ ও নারী দ‌লের জয়

প্রকাশিত : ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ০৪:১০ সকাল
আপডেট : ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ০৪:১০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

সতেরো কোটি মানুষের জন্য মাত্র তিনশোজনের মতো মনোবিজ্ঞানী, যার ফলে আত্মহত্যা রোধে কাউন্সেলিং করানো যাচ্ছে না, বললেন ড. তাজুল ইসলাম

জুয়েল খান : মনোবিজ্ঞানী ড. তাজুল ইসলাম বলেছেন, আত্মহত্যা রোধে মনোবিজ্ঞানীর সংখ্যা বাড়াতে হবে। একইসাথে বিভিন্ন পর্যায়ে যারা কমিউনিটি স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করে সেখানে মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক ইউনিট থাকতে হবে।
এ প্রতিবেদকের সাথে আলাপকালে তিনি বলেন, সাধারণ মানুষ আইনের সহায়তা পাচ্ছেন না, সমাজে অসৎ মানুষের দৌরাত্ম্য বাড়ছে। পুলিশ প্রশাসন ক্রিমিনালদের সহায়তা করছে, বেকারত্ব বাড়ছে, সর্বোপরি সমাজের সকল জায়গাতে মানুষ বঞ্চিত এবং হতাশ হয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছে।
তিনি বলেন, মানুষ এখন অনেক বেশি অস্থির হয়ে পড়ছে এবং ধৈর্য হারিয়ে ফেলছে। সমাজে ভালো কাজের মূল্যায়ন নেই, চাকরির সুবিধা নেই, পারিবারিক সম্পর্ক দুর্বল থাকার ফলে মানুষ হতাশ হয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছে। মানসিক সমস্যার জন্য ভালো কোনো মানসিক কাউন্সেলিং নেই এবং স্বাস্থ্য খারাপ থাকার ফলে মানুষের ধৈর্য ক্ষমতা কমে যাচ্ছে। তবে মাদকাসক্ত এখন আমাদের সামজের জন্য ব্যাধির রূপ নিয়েছে। মাদকাসক্তরা পরিবার, সমাজ এবং রাষ্ট্রের জন্য বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে, তাই তারা একসময় হতাশ হয়ে আত্মহত্যা করছে।
তিনি আরো বলেন, পারিবারিক কলহ এখন খুবই বাড়ছে। আমাদের নতুন প্রজন্মের আবেগ অনেক বেশি তারা অল্পতেই হাতশ হয়ে যায়, বাড়তি চাপ নিতে পারে না। আবেগকে নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা এই প্রজন্মের খুবই কম। সন্তানদের লালন-পালনের সময় সামাজিক এবং আবেগীয় শিক্ষা দিতে হবে। কীভাবে পরিপক্ক হতে হবে, কীভাবে সামাজিক দক্ষতা বাড়াতে হবে-এসব শিক্ষা পরিবার থেকে দিতে হবে।
তিনি জানান, সন্তানদের সবসময় ভালো মানুষের সাথে সঙ্গ গড়ে তুলতে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। এসবের পরেও যদি কারো কোনো সমস্যা দেখা দেয় তাহলে অবশ্যই মনোবিজ্ঞানীদের কাউন্সেলিং নিতে হবে। তবে আমাদের দেশে মনোবিজ্ঞানীর সংখ্যা খুবই সামান্য।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়