মাহফুজুর রহমান : ডাক্তার মিতুর পরকীয়া ও স্বামী ডাক্তার আকাশের আত্মহত্যা ফেসবুকিও সচেতন পুরুষ ও নারীর এটা নিয়ে তর্কাতর্কি জমে উঠেছে। তর্কাতর্কি নাকি যুক্তিতর্ক? পুরুষের দল নাকি ডাক্তার আকাশের পক্ষে, পুরুষরা নাকি একপেশে কথা বলে। তাই এই নিয়ে ফেসবুকিও সচেতন নারীরা ডাক্তার মিতুর পক্ষ নিয়েছেন।
কী অবাস্তব কথাবার্তা! কেন একটি অপরাধ নিয়ে সমাজের নারী-পুরুষ দুই ভাগ হলো? কেন ঘটনাটির একটি স্বতঃসিদ্ধ পয়েন্টে আসা গেলো না? নাকি পুরুষরা স্ত্রী জাতি দিয়ে নিষ্পেষিত? নাকি নারীরা পুরুষ জাতি দিয়ে নিষ্পেষিত? যে তারা এই ঘটনায় দল বেঁধে দুই দিকে অবস্থান নিলো? তসলিমা নাসরিন এই ঘটনা নিয়ে ডাক্তার মিতুর পক্ষে অবস্থান নিবার পরেই যেন দৃশ্যপট পুরোই পাল্টে যেতে থাকলো, তাবৎ নারীরা তসলিমার পথেই হাঁটা শুরু করলো?
বিবাহিত নারী-পুরুষরা না হয় এটা নিয়ে নিজেদের ইগো থেকে দুই ভাগ হলো, কিন্তু অবিবাহিত নারী-পুরুষরা? তারাও দেখি সেই একই বিতর্কে জড়িয়ে পক্ষ নিলো কেন? এসবে কী আমাদের সমাজ ব্যবস্থার বাস্তব চিত্র ফুটে উঠছে? আমরা কী নারী-পুরুষরা পরস্পরের প্রতি অসহিষ্ণু হয়ে উঠেছি? আমরা সবাই কী পরিবার নিয়ে কমবেশি অসুখী আছি?এসব ভাবার সময় এসেছে।
২. জনগণ ও সুশীল সমাজের দায়িত্ব কী? : অনেক বন্ধুই জাতীয় পার্টিকে নির্মমভাবে টিটকারি করে থাকেন যে, জাপা গৃহপালিত বিরোধী দল। যদিও আমরা সবাই চাই শক্তিশালী বিরোধী দল, কিন্তু জনগণ তা চায়নি। বিএনপিসহ অন্যান্য দলও নির্বাচনে সফলতা দেখাতে পারেনি। এর দায় জনগণ কাকে দেবে? জাতীয় পার্টি এতো কম সংখ্যক এমপি সংসদে নিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে কী ভূমিকা নিতে পারে? এ দেশের সুশীল সমাজ কী চেয়েছিলো যে সংসদে একটি শক্তিশালী বিরোধী দল থাকুক? এ দেশের সুশীল সমাজের উচিত ছিলো বিভিন্ন মিডিয়া ও রাজপথে সরকারের বিরুদ্ধে জোরালো বক্তব্য দিয়ে সংসদের বিরোধী দলকে সাহস যুগিয়ে যাওয়া, তা কী তারা পেরেছেন? ঘরে বসে নানা কথা বলাই যায়, কিন্তু জনগণের কী কোনোই দায়িত্ব নেই? ফেসবুক থেকে