মারুফুল আলম : আদরের কন্যাকে জড়িয়ে ধর্ষণের মিথ্যা অপবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছেন সাবেক সেনা কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন সাহেদ উল্লাহ চিশতী। তিনি বলেন, কোনো সন্তানের বাবারই এ ধরনের খবরের পর বেঁচে থাকার ইচ্ছে থাকে না। আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করতে গিয়ে মেয়ের মান-ইজ্জতেরও তোয়াক্কা করেননি আমার আগের স্ত্রী। শুক্রবার ফেইসবুক লাইভে তিনি দেশবাসীর উদ্দেশে বলেন, আমি সত্য উদঘাটন করার জন্যই নিজেকে শক্ত রেখেছি। তাছাড়া সত্য উন্মোচন না হলে আপনারাও ভ্রান্ত ধারণায় থাকবেন।
ঘটনার বর্ণনা করতে গিয়ে তিনি বলেন, দুই থেকে আড়াই বছর আগে স্ত্রী তাসলিমা রহমানের চারিত্রিক অধপতনের কারণে তার সঙ্গে আমার ডিভোর্স হয়। এরপর থেকে তিনি মালিবাগে আলাদা বাসায় আমার দুই সন্তান লামিয়া চিশতী এবং লাবিব চিশতীকে নিয়ে বসবাস করেন। আমি খিলগাঁওয়ে আলাদা বাসায় থাকলেও প্রতিদিন সকালে ও রাতে আমার সন্তানদের বাজার ও স্কুল খরচ দিয়ে আসি।
ঘটনার দিনও একইভাবে সন্তানদের যাবতীয় খরচ আগের স্ত্রীর হাতে দিয়ে আসছিলাম। ওই সময় তিনি অনুরোধ করলেন, মেয়ে মন খারাপ করেছে তুমি তাকে স্কুলে নিয়ে যাও না বলে, আজকে তুমি মেয়েকে স্কুলে নিয়ে যাও, আর আমি ছেলেকে স্কুলে নিয়ে যাবো। মেয়েকে ঠিক সাড়ে এগারটায় বাসা থেকে পিক করি এবং সাড়ে ১২টা বা তার চেয়ে কিছু বেশি সময়ে স্কুলে নামিয়ে দিয়ে আসি। এরপর আমি অফিসে চলে যাই।
সাহেদ উল্লাহ বলেন, সন্ধ্যার দিকে এক সাংবাদিক আমাকে জানালো, আমার স্ত্রী আমার মেয়েকে ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করিয়েছে এবং আমার বিরুদ্ধে আজেবাজে কথা বলছে। আমি হাসপাতালে ছুটে যাই এবং টিভি চ্যানেলে আমার বক্তব্য উপস্থাপন করি। ইতিমধ্যে আমি স্কুলের ম্যাডামের কাছে ফোনে জানতে পারি বেলা আড়াইটার দিকে তিনি আমার প্রাক্তন স্ত্রীকে ফোনে জানিয়েছেন, আমার মেয়ের পিরিয়ড হয়েছে। মেয়ের বয়স ১০ প্লাস। এটাই তার প্রথম পিরিয়ড, যার কারণে ব্লিডিং একটু বেশি হয়েছে। আমার প্রাক্তন স্ত্রী স্কুল থেকে মেয়েকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে আমার মানহানি করার লক্ষ্যে হাসপাতালে নেয়া হয়। আর আমার নামে মিথ্যা অভিযোগ দেয়া হয় এবং বিভিন্নভাবে সেটি প্রমান করার চেষ্টাও করা হয়।
ইতিমধ্যে আমি জানতে পারি, আমার আগের স্ত্রীর বাসায় বিভিন্ন লোকজন আসা যাওয়া করে। তার প্রাক্তন স্বামী সুজনও আসা যাওয়া করেন। এ রকম পরিস্থিতিতে ওই বাসায় আমার সন্তানদের থাকা অনিরাপদ জেনে আমি মামলা করার প্রস্তুতি গ্রহণ করি। বিষয়টি তিনি জানতে পেরেই এরকম একটি ঘটনা ঘটিয়েছেন। যাতে পরবর্তীতে আমি আমার সন্তানদেরকে আমার কাছে না আনতে পারি। আমার নামে তিনি রমনা থানায় একটি মামলাও দায়ের করেন।
https://www.facebook.com/schisti/videos/2312389155459058/