রিফাত জাহান : ইয়েমেনের রাজধানীতে একটি স্টেডিয়ামে কয়েকশ মানুষ। না, কোনো খেলা দেখতে নয়। ভয়াবহ এক ঘটনা প্রত্যক্ষ করতে তারা উপস্থিত হয়েছেন। তাদের সামনে হাজির করা হলো দুই যুবককে। তাদের হাত পেছন দিকে বাঁধা। নীল শার্ট ও ট্রাউজার পরা। মাটিতে বিছানার চাদরের মতো একটা কিছুর ওপর তাদেরকে উপর করে শুইয়ে দেয়া হলো। পাশে দাঁড়ানো অস্ত্রহাতে আরো কয়েকজন যুবক। নিউইয়র্ক পোস্ট
তারা ওই দুই যুবকের পিঠ বরাবর উঠে এলেন। অস্ত্র তাক করলেন ওই দুই যুবকের পিঠে। গর্জে উঠল অস্ত্র। রক্তে ভেসে গেল মাটি। মারা গেল ওই দুই যুবক। হ্যাঁ, প্রকাশ্যে এভাবেই ফায়ারিং স্কোয়াডে মৃত্যুদ- কার্যকর করা হয়েছে দুই যুবক ওয়াদাহ রেফাত (২৮) ও মোহাম্মদ খালেদ (৩১) এর।
অভিযোগ, তারা ১২ বছর বয়সী একটি বালক মোহাম্মদ সাদকে বলাৎকার শেষে হত্যা করেছে। এ অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে ফায়ারিং স্কোয়াডে মৃত্যুদন্ডের নির্দেশ দেয়া হয়। গত বছর মে মাসে তারা ওই বালকটির সঙ্গে অনৈতিক কাজ করে। ঘটনার সময় বালকটি রেফাত ও খালেদের একজনের বাড়ির কাছেই খেলছিল ।খেলার সময় তাদের একজন বালকটিকে টেনে হিঁচড়ে একটি ভবনের অভ্যন্তরে নিয়ে যায়।
সেখানে তার ওপর যৌন নির্যাতন চালায়। এক পর্যায়ে সাদ সাহায্যের জন্য কান্না শুরু করে। এ সময় ওই দুই যুবকের একজন একটি ছুরি নিয়ে যায় এবং সাদের গলা কেটে ফেলে। নিহত সাদের মৃতদেহ লুকিয়ে ফেলায় সাহায্য করার জন্য অভিযুক্তদের এক আত্মীয় (৩৩) কেও মৃত্যুদন্ড দেয়া হয়েছে। কিন্তু তিনি অন্তঃসত্তা হওয়ায় তার মৃত্যদন্ড স্থগিত করা হয়েছে।