সমকাল : ধর্ষণ মামলার আসামিদের 'হারকিউলিস' দিয়ে হত্যা করানো ভালো কাজ নয় বলে মনে করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।
তিনি বলেছেন, 'কোনো হত্যাকাণ্ডই সরকার বা রাষ্ট্রের কাম্য নয়। এই হারকিউলিস লাগিয়ে যারা হত্যা করছেন, তারাও ভালো কাজ করছেন না। তাদের (ধর্ষণে অভিযুক্ত) আইনের হাতে সোপর্দ করা উচিত ছিল।'
শুক্রবার রাজধানীর লালমাটিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এভাররোজ ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।আসাদুজ্জামান খান বলেন, ধর্ষকদের কঠোর শাস্তি হওয়া উচিত। তবে তাদের এভাবে হত্যা করা আইনসম্মত হচ্ছে না। যে দু-একটি ঘটনা ঘটেছে, সেগুলো তদন্ত করে এর রহস্য উদ্ঘাটন করা হবে।
সম্প্রতি ঝালকাঠির ভাণ্ডারিয়ায় ধর্ষণ মামলার এক আসামির লাশের সঙ্গে থাকা এক টুকরো কাগজে লেখা ছিল– 'ধর্ষকের পরিণতি ইহাই। ধর্ষকরা সাবধান। হারকিউলিস।' এ ছাড়াও কয়েকটি স্থানে ধর্ষণে অভিযুক্ত ব্যক্তির লাশের সঙ্গে থাকা কাগজে উল্লেখ ছিল, ধর্ষণের কারণেই তাদের ওই পরিণতি। কে বা কারা এসব হত্যাকাণ্ড ঘটাচ্ছে সে বিষয়ে কিছু জানাতে পারেনি পুলিশ। মানবাধিকার কর্মীরা এ ধরনের ঘটনাকে 'অশুভ লক্ষণ' হিসেবে মন্তব্য করেছেন।
অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষক, মসজিদের ইমাম, সংবাদকর্মীসহ সমাজের সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে মাদকের বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে হবে। প্রধানমন্ত্রী দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে ও সুশাসন প্রতিষ্ঠায় কাজ করে যাচ্ছেন। এই সুন্দর দেশ গঠনের নিয়ামক আগামী প্রজন্ম। এ প্রজন্মকে মাদকের ভয়াবহ পরিণতি থেকে রক্ষা করতে হবে।
অনুষ্ঠানে এমপি নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন ছাড়াও বিদ্যালয়টির পরিচালনা পর্ষদের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।