শিরোনাম
◈ ‘তুমি কেন ফুয়েল কেটে দিলে?’ ভারতীয় বিমান বিধ্বস্তের আগে পাইলটদের শেষ ককপিট ভয়েস রেকর্ডিং ◈ দক্ষিণ কোরিয়া প্রবাসীদের জন্য সুখবর: মৃত্যু হলে লাশ দেশে পাঠাবে সরকার, ক্ষতিপূরণ মিলবে বীমার আওতায় (ভিডিও) ◈ বিশ্বের সর্বাধিক মুসলিম জনসংখ্যার দেশ হতে যাচ্ছে ভারত: পিউ রিসার্চ ◈ বেপরোয়া বিএনপির অভ্যন্তরীণ সংঘাতে ছয় মাসে নিহত ৪৩ ◈ স্প‌্যা‌নিশ ক্যাবরেরাই থাক‌ছেন বাংলা‌দেশ ফুটবল দ‌লের কোচ ◈ সন্ধ‌্যায় নেপালের বিরু‌দ্ধে লড়াই‌য়ে নাম‌ছে বাংলা‌দে‌শের মে‌য়েরা ◈ ঢাকায় হবে এশিয়া কাপের সভা, ভারত অংশ নে‌বে না ◈ এবার যে কারণে বিএনপি থেকে পদত্যাগ করলেন ড. ফয়জুল হক ◈ ফিলিস্তিনকে অবিলম্বে স্বীকৃতি দিতে ব্রিটিশ সরকারকে ৬০ জন এমপির চিঠি ◈ সায়মা ওয়াজেদের ছুটি জবাবদিহির পথে গুরুত্বপূর্ণ প্রথম পদক্ষেপ : প্রেসসচিব

প্রকাশিত : ০৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ০৮:২৭ সকাল
আপডেট : ০৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ০৮:২৭ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

গাজীপুরে পুলিশের চাঁদাবাজি, প্রতিবাদের সাহস পাচ্ছে না কেউ

হ্যাপি আক্তার : কাগজপত্র পরীক্ষার নামে চালক ও সহকারিকে পুলিশ বক্সে ডেকে অর্থ আদায়ের ঘটনা ঘটছে গাজীপুরের মীরের বাজার চৌরাস্তয়া। মাসিক হার নির্ধারণ করে চালককে দেয়া হচ্ছে টোকেন। স্থানীয়দের অভিযোগ, সেখানকার ট্রাফিক পুলিশ রীতিমত বাহিনী গঠন করে চাঁদাবাজি করছে বলে কেউ প্রতিবাদের সাহস পাচ্ছে না। ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশন।

চাঁদাবাজির বড় স্পট এখন গাজীপুরের মীরের বাজার চৌরাস্তায়। পুলিশের সঙ্গে লাঠি হাতে তৎপর মানুষগুলোকে দেখে মনে হতে পারে, তারা যানজট সামাল দিতে ব্যস্ত। তবে অভিযোগ, এদের মাধ্যমেই চাঁদা আদায় করছে পুলিশ।

পুলিশের সঙ্গে লাঠি হাতে তৎপর তারা বলছেন, আমরা ৬ জন এখানে ডিউটি করি সকাল ৭টা থেকে ৩টা এবং ৩টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত। মূল কাজ হলো যানজট নিরসন করা।

এখানে দিনে কয়েক লাখ টাকা চাঁদা আদায়ের কথা জানিয়েছেন স্থানীয়-ভোক্তভুগীরা। প্রথমে প্রতিটি ট্রাক-কাভার্ড ভ্যান থামিয়ে, কাগজপত্র দেখার নাম করে নেয়া হয় পুলিশ বক্সে, তারপর হয় চাঁদা আদায়। ঘটনাস্থল থেকে মিলেছে এক ঘণ্টায় অন্তত ৩০ জনকে পুলিশ বক্সে। এর মধ্যে ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা হলেও, বাকিদের জনপ্রতি ৫’শ থেকে ২ হাজার টাকা নিয়ে ছেড়ে দেয়ার অভিযোগও পাওয়া গেছে।

চালক হেলপারদের অভিযোগ , ট্রাফিক পুলিশের সঙ্গে আরো লোকজন আছে তারা সবাই মিলে টাকা উঠায়। রোডে যানজট লেগে থাকার মূল কারণ হচ্ছে তারা নিজেরাই। অত্যাচার করে টাকা আদায় করে। সব ঠিক থাকার পরেও চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে পড়তে হয় নানা হয়রানির মুখে।

এই অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে পুলিশ বক্সে গিয়ে। সার্জেন্ট মশিউরের কাছ থেকে টোকেন নিয়ে চালকের সহকারিকে ছেড়ে দিচ্ছিলেন এ চক্রের সদস্য বাবুল। টেবিলের ওপরও ছড়ানো নানা রংয়ের টোকেন। এরপরও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন পুলিশ সার্জেন্ট।

মীরের বাজার চৌরাস্তায় চাঁদা আদায়ের কারণেই দিন-রাত ২৪ ঘণ্টাই দু’পাশে কয়েক কিলোমিটার যানজটের সৃষ্টি হয় বলেও অভিযোগ করেন স্থানীয়রা। সম্পাদনা : জামাল

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়