শিরোনাম
◈ ৩৫ বছর পর চাকসু নির্বাচন: ২৩২ পদে লড়বেন ৯৩১ প্রার্থী ◈ মন্ত্রিত্বের প্রস্তাব ফিরিয়ে নেপালের চিকিৎসক বললেন ‘রোগীদের ছেড়ে যাব না’! ◈ ইউপিইউ কাউন্সিলে বাংলাদেশ পুনর্নির্বাচিত হওয়ায় প্রধান উপদেষ্টার অভিনন্দন ◈ আইসিসি উ‌ত্তে‌জিত, পা‌কিস্তান ক্রিকেট দল কড়া শাস্তির মুখে পড়তে পা‌রে ◈ নি'ষিদ্ধ দলের লোককে বাসা ভাড়া না দিতে পুলিশের মাইকিং! (ভিডিও) ◈ নারীদের লেখা বই বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠক্রম থেকে সরানোর নির্দেশ তালেবানের, যৌন হয়রানি নিয়েও পড়ানো নিষেধ ◈ ঢাকাসহ বি‌ভিন্ন জেলায় আওয়ামী লী‌গের কর্মকা‌ণ্ডে অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্বেগ বাড়াচ্ছে?  ◈ টেকনাফের পাহাড় থেকে নারী শিশুসহ ৬৬ জন উদ্ধার! ◈ খেলাফত মজ‌লি‌সের মামুনুল হক হঠাৎ আফগানিস্তান সফরে কেন? ◈ শ্রীলঙ্কার কা‌ছে আফগা‌নিস্তান হে‌রে যাওয়ায় সুপার ফো‌রে খেলার সু‌যোগ পে‌লো বাংলাদেশ

প্রকাশিত : ০৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ০৮:২৭ সকাল
আপডেট : ০৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ০৮:২৭ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

গাজীপুরে পুলিশের চাঁদাবাজি, প্রতিবাদের সাহস পাচ্ছে না কেউ

হ্যাপি আক্তার : কাগজপত্র পরীক্ষার নামে চালক ও সহকারিকে পুলিশ বক্সে ডেকে অর্থ আদায়ের ঘটনা ঘটছে গাজীপুরের মীরের বাজার চৌরাস্তয়া। মাসিক হার নির্ধারণ করে চালককে দেয়া হচ্ছে টোকেন। স্থানীয়দের অভিযোগ, সেখানকার ট্রাফিক পুলিশ রীতিমত বাহিনী গঠন করে চাঁদাবাজি করছে বলে কেউ প্রতিবাদের সাহস পাচ্ছে না। ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশন।

চাঁদাবাজির বড় স্পট এখন গাজীপুরের মীরের বাজার চৌরাস্তায়। পুলিশের সঙ্গে লাঠি হাতে তৎপর মানুষগুলোকে দেখে মনে হতে পারে, তারা যানজট সামাল দিতে ব্যস্ত। তবে অভিযোগ, এদের মাধ্যমেই চাঁদা আদায় করছে পুলিশ।

পুলিশের সঙ্গে লাঠি হাতে তৎপর তারা বলছেন, আমরা ৬ জন এখানে ডিউটি করি সকাল ৭টা থেকে ৩টা এবং ৩টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত। মূল কাজ হলো যানজট নিরসন করা।

এখানে দিনে কয়েক লাখ টাকা চাঁদা আদায়ের কথা জানিয়েছেন স্থানীয়-ভোক্তভুগীরা। প্রথমে প্রতিটি ট্রাক-কাভার্ড ভ্যান থামিয়ে, কাগজপত্র দেখার নাম করে নেয়া হয় পুলিশ বক্সে, তারপর হয় চাঁদা আদায়। ঘটনাস্থল থেকে মিলেছে এক ঘণ্টায় অন্তত ৩০ জনকে পুলিশ বক্সে। এর মধ্যে ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা হলেও, বাকিদের জনপ্রতি ৫’শ থেকে ২ হাজার টাকা নিয়ে ছেড়ে দেয়ার অভিযোগও পাওয়া গেছে।

চালক হেলপারদের অভিযোগ , ট্রাফিক পুলিশের সঙ্গে আরো লোকজন আছে তারা সবাই মিলে টাকা উঠায়। রোডে যানজট লেগে থাকার মূল কারণ হচ্ছে তারা নিজেরাই। অত্যাচার করে টাকা আদায় করে। সব ঠিক থাকার পরেও চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে পড়তে হয় নানা হয়রানির মুখে।

এই অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে পুলিশ বক্সে গিয়ে। সার্জেন্ট মশিউরের কাছ থেকে টোকেন নিয়ে চালকের সহকারিকে ছেড়ে দিচ্ছিলেন এ চক্রের সদস্য বাবুল। টেবিলের ওপরও ছড়ানো নানা রংয়ের টোকেন। এরপরও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন পুলিশ সার্জেন্ট।

মীরের বাজার চৌরাস্তায় চাঁদা আদায়ের কারণেই দিন-রাত ২৪ ঘণ্টাই দু’পাশে কয়েক কিলোমিটার যানজটের সৃষ্টি হয় বলেও অভিযোগ করেন স্থানীয়রা। সম্পাদনা : জামাল

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়